কুমিল্লায় গোমতীর চরে বারোমাসি মুলার চাষ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। চরের জমি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুলার ফলনও বেশ ভাল পেয়েছেন চাষিরা। তবে শ্রমিকের মূল্য বেশি হওয়ার কারণে ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না কৃষকরা।
জানা যায়, কুমিল্লার প্রধান নদী গোমতীর চরের বুড়িচং উপজেলার বাবু বাজার, ভাংতি, ফরিজপুর, পূর্বহুরা, বালিখাড়া, মীরপুর, কুসুমপুর, গোবিন্দপুর, কাঠালিয়া, বাজেবাহেরচর, বাজেহুরা, মইনপুর, গোবিন্দপুর, এতবারপুর, কংশনগরসহ নদী তীরের চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় কৃষকরা বছরের বারো মাস জুড়েই নানান শাক-সবজির রোমাসি মুলাও উৎপাদন করেন।
কৃষকরা বলেন, বর্ষায় চর এলাকা আগে ডুবে যাওয়ায় চাষাবাদ ব্যাহত হতো। সাম্প্রতিক সময়ে বর্ষায় নদীতে পানি বাড়লেও চর এলাকা অনেকটা অক্ষত থাকে। এতে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে না। তবে বাজারমূল্য নিয়ে তাদের আক্ষেপের শেষ নেই। প্রতিটা ফলন তুলছে কৃষকদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে কমপক্ষে ৪০ দিন। উৎপাদন ব্যয় থেকে বিক্রিয় মূল্যে খুব একটা তফাৎ না থাকায় লাভের মুখ দেখেন না কৃষকরা।
পাইকারী ব্যবসায়ী ফতেহ আলীর জানান, জমি থেকে প্রতি মন মুলা ৫ থেকে ৬’শ টাকায় কিনে সেটা নিমসার বাজারে পাইকারদের কাছে এক হাজার থেকে ১২’শ টাকায় বিক্রয় করি।
উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বলেন, সার, বীজ বা অন্যান্য উপকরণ আমাদের বরাদ্দ না থাকায় দেওয়া সম্ভব হয়না। আমরা সবসময় মাঠ পর্যায়ে গিয়ে তাদের পরামর্শ দিয়ে থাকি।