মাছ চাষের পুকুরে সার প্রয়োগ ও প্রাকৃতিক খাদ্য ব্যবস্থাপনা কেমন হওয়া উচিত তা মাছ চাষিদের আগে থেকে জেনে নিয়েই মাছ চাষ করতে হবে। তা না হলে মাছ চাষে নানা জটিলতার সৃষ্টি হবে ও লোকসান দেখা দিতে পারে। তাই সঠিক মাত্রায় সার প্রয়োগ করে প্রাকৃতিক খাদ্যের পরিমাণও ঠিক রাখতে হবে। চলুন তাহলে জানবো মাছ চাষের পুকুরে সার প্রয়োগ ও প্রাকৃতিক খাদ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে-
সার ব্যবস্থাপনাঃ
মাছ প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে প্রাণী কণা, উদ্ভিদকণা, তলদেশের পোকা মাকড়, ছোট ছোট কীট, তলার কেঁচো, মৃত জৈব পদার্থ ইত্যাদি খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে থাকে। এ গুলোকে প্লাংকটন বলা হয়। সার প্রয়োগের উদ্দেশ্য হলো মজুদকৃত মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা। পুকুরে সার প্রয়োগ করার মাধ্যমে প্রাকৃতিক খাবারের প্রাচুর্যতা রাখতে পারেল মাছ চাষে খরচ অনেকাংশে কমানো যায়।
প্রাকৃতিক খাদ্য ব্যবস্থাপনাঃ
প্রাকৃতিক খাদ্যের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য পোনা মজুদের পূর্বে ও চাষ চলাকালীন সময়ে নিয়মিত ও পরিমিত জৈব ও অজৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। এ সকল সার পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদনে সহায়তা তথা মাছের পুষ্টি ও উৎপাদনে সাহায্য করে।
সারের প্রকারভেদঃ সার দুই ধরনের-
১। জৈব সার
২। অজৈব সার (ইউরিয়া, টিএসপি ও এমওপি)
পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্যের পরিমানের উপর সারের প্রয়োগ মাত্রা কম/বেশী হতে পারে। সারের পরিমাণ নিচের বিষয়ের উপর নির্ভরশীল-
সার প্রয়োগের মাত্রাঃ
পুকুর শুকানো থাকলে জৈব সার পানি ভর্তির আগে এবং অজৈব সার পানি ভরাটের পরে প্রয়োগ করতে হয়। আবার পানি ভরাট থাকলে জৈব ও অজৈব সার ৩গুণ পানিতে মিশে রোদ্রে সকালে বেলায় সমানভাবে ছিটাতে হয়।
সারের নাম পরিমান মাত্রা (প্রতি শতকে)
ইউরিয়া (সাদা সার) ১০০-১৫০গ্রাম
টি,এস, পি (কালো সার) ৫০-৭৫গ্রাম
(গোবর/ কম্পোষ্ট) ৫-১০কেজি
সার প্রয়োগের বিবেচ্যঃ