প্রকাশিত: ১২:২৩ পূর্বাহ্ণ, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
কয়েক মাস ধরে কৃষকদের মুখের হাসি মেঘের আড়ালে লুকিয়ে ছিল। অতি বর্ষণের ফলে চাষের বীজতলা পচন ধরে বেহাল দশায় জীবন যাপন করেছেন বরগুনার চাষীরা। যা প্রকৃত কৃষকদের কষ্টদায়ক অবস্থার কারণ হয়েছিল। তবে সব বাঁধা পেরিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছেন কৃষকরা তাদের নিজ উদ্যোগে নিজ অবস্থানে। অতিবর্ষণ পেরিয়ে শুরু করেছেন আমন তলার বীজ রোপন। এ যেন কৃষকদের মাঝে এক স্বস্তিদায়ক ও হাসির খোরাক জুগিয়েছে।
আমনের বীজতলা তৈরি ও বীজ রোপণের সময় এক মাস পূর্বে হলেও অনাকাঙ্ক্ষিত দীর্ঘদিনের অতি বর্ষণে কৃষকদের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল। আজ সে ভাঙ্গা স্বপ্ন আবার জোড়া লাগতে শুরু করেছে। বরগুনা সদর উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়ন সরেজমিনে দেখা গেছে কৃষকদের তৈরিকৃত আমনের বীজতলায় বীজ রোপন করতে। বুনছে তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন। যে স্বপ্ন অল্প সময়ের মধ্যেই তৈরি করে দিবে হাজারো মানুষের খাদ্যের (চাল) চাহিদা।
নেছার উদ্দিন নামের একজন কৃষক বলেন- এক থেকে দেড় মাস পূর্বে আমনের বীজতলা তৈরি ও বীজ বপনের কথা থাকলেও অতি বর্ষণের ফলে সবটাই ভেস্তে যায়। তবুও তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন লালন করে রেখে দিয়েছে। ইউসুফ নামের অন্য এক কৃষক জানান- টানা বৃষ্টির কারণে আমনের বীজ রোপণ করতে পারেনি। কিছু কিছু বীজ নষ্ট হওয়ার কারণে আবারো কিনতে হয়েছে। গরীব ও অসহায় বলে ঋণে টাকা এনে বীজতলা তৈরি ও বীজের যোগান দিয়েছে। এতে করে ভিন্ন এক সমস্যা দেখা দিয়েছে। কৃষকদের এ সকল সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেনি বরগুনার কৃষি বিভাগ।
অথচ এ অবস্থায় কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও প্রণোদনা অতিব জরুরী বলে মনে করছেন বরগুনার কৃষককুল। এ ব্যাপারে বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আবদুর রশীদ জানান- অতি বর্ষণের ফলে কৃষকদের বীজতলায় পচন ধরে। ফলে আমনের বীজ রোপণে কৃষকরা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। পানিতে বীজতলা তলিয়ে থাকার কারণে নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন কৃষকরা। যেহেতু আবারো কৃষকরা তাদের স্বপ্নের সেই কাঙ্খিত আমনের বীজ রোপন। শুরু করেছে; সে ক্ষেত্রে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।
ফরমান/মস