করোনায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশের সম্ভাবনাময় পোল্ট্রি শিল্প। এছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে ফিড তৈরির অন্যতম কাঁচামাল সয়াবিক মিল। এমনিতেই দেশে উৎপাদিত এসব উপকরণের চাহিদার তুলনায় যোগান অপ্রতুল যেখানে কিছু কোম্পানি বিদেশে রপ্তানি করছে সয়াবিন মিল । যার প্রভাব এসে পোড়েছে ফিড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও প্রান্তিক খামারিদের উপর। সয়াবিন মিলসহ অন্যান্য কাঁচামালের দাম বৃদ্ধিতে বেড়েছে ফিডের দাম। যারফলে পাইকারী ও খুচরা পর্যায়েও বেড়েছে ফিডের দাম। এমতাবস্থায় উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে দেশের প্রান্তিক খামারিদের। যার দরুন লোকসানে পড়েছেন তারা।
ভোজ্যতেলের পাশাপাশি পোল্ট্রি ফিশ খাদ্যে ব্যবহৃত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কাঁচামাল হলো সয়াবিন মিল। যার অধিকাংশই আমদানি নির্ভর। দেশীয় সয়াবিন তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে মোট চাহিদার মাত্র ৫০ শতাংশ সয়াবিন পাওয়া গেলেও বাকী ৫০ শতাংশই বিদেশ থেকে আমদানী করা হয়। কিন্তু দেশের চাহিদা শতভাগ না মিটিয়ে পোল্ট্রি শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ এই উপাদানটি ভারতে রপ্তানি করছে বেসরকারী কোম্পানি সিটি গ্রুপ এবং মেঘনা গ্রুপ। সম্প্রতি ভারতে পাঠানো একটি ট্রাকের সামনে থাকা ব্যানারে দেখা যায়, বেনিফিট ইন্ডিয়ান লাইভ স্টোক ফার্মার্সে সয়াবিন মিল রপ্তানী করেছে মেঘনা গ্রুপ।
দেশের চাহিদা পূরণ না করে কেন রপ্তানি করা হচ্ছে? জানতে চাইলে মেঘনা গ্রুপের কর্মকর্তা মুঠোফোনে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, দেশে সয়াবিন মিলের কোনো সংকট নেই। দেশের চাহিদা পূরণ না করে অন্যদেশে সয়াবিন মিল রপ্তানী করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ।
এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, যারা কৃত্রিম সংকট তৈরী করে-তারাই অতি মুনাফার আশায় এখন রপ্তানি করছে।
দেশীয় স্বার্থ রক্ষায় সয়াবিন মিল রপ্তানী বন্ধে যথাযথ উদ্যোগ নেয়ার কথাও জানান তিনি। উৎপাদনকারী দেশগুলোর চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বে উৎপাদিত সয়াবিনের মাত্র ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ বা ১ কোটি ২৬ লাখ টন তেল আসে আন্তর্জাতিক বাজারে। সয়াবিন তেল আমদানিকারক দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। আর সবচেয়ে বেশি আমদানি করে ভারত।
এদিকে
আরও পড়ুনঃ ব্রয়লার মুরগিকে টিকা প্রদানের আগে সতর্কতাসমূহ
সূত্রঃ এসএ টিভি
পোল্ট্রি প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার