কমলার বাম্পার ফলন হলেও হতাশায় রয়েছেন মৌলভীবাজারের চাষিরা। চাষের শুরুতেই ফুল ঝরাসহ সাময়িক বির্পযয় দেখা দিলেও পরবর্তীতে আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন কৃষকরা। মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী উপজেলা জুড়ী এলাকার লাটিটিলা বনভূমির লালছড়া, রূপা ছড়া, শুকনা ছড়ার টিলায় টিলায় ছোট-বড় কমলার গাছ। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে সবুজ কমলা। তবে সাফারি র্পাক নির্মাণের ঘোষণার পর থেকে চাষিরা হতাশায় পড়েছেন।
কৃষকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় জাতের কমলার চাষ করছেন তারা। তাদের দুটি বাগানে স্থানীয় জাতের দুই শতাধিক কমলা গাছ রয়েছে। অনেক দিন আগ থেকে হায়ছড়া ,লালছড়া, শুকনাছড়া, রুপাছড়া, জরিছড়া ও কচুরগুল গ্রামের লোকজন বিছিন্নভাবে নিজ উদ্যোগে কমলা চাষ করে আসছেন। ২০০১ সালের দিকে কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে এ এলাকায় নতুনরূপে কমলা চাষ শুরু হয়।
কৃষক মুর্শেদ মিয়া বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শে ফলটির বীজ থেকে চারা উৎপাদন করি। ছোট সাইজের কমলার জন্ম চীনে। সে কারণে বাজারে এটা চায়নিজ কমলা নামে পরিচিত। স্থানীয় জাতের চেয়ে চায়নিজ কমলা মিষ্টি বেশি। ফলে অনেকেই সেটা পছন্দ করে।
আরেক কৃষক জয়নুল মিয়া জানান, চায়নিজ কমলার একেকটি গাছে এক থেকে দেড় হাজার ফল ধরেছে। কার্তিক মাসের শেষ দিকে ফল পুরোপুরি পাকবে। তখন বিক্রি শুরু করবেন। স্থানীয় জাতের কমলায় রোগবালাই বেশি দেখা দেয়। তবে চায়নিজ কমলায় এখনো রোগবালাই দেখা দেয়নি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে যেসব বাগান আছে সেখানে তেমন সমস্যা হয়নি। সাময়িক বির্পযয়ের পরও আশানুরূপ ফলন হয়েছে। আমরা কমলা চাষিদের আমরা পরামর্শ দিয়ে আসছি।
আরও পড়ুনঃ কিশোরগঞ্জে পাটের বাম্পার ফলন, লাভের আশায় চাষিরা
কৃষি প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার