রাজশাহীতে মাল্টা চাষে কৃষক কাদিরের সাফল্য এসেছে। কৃষক মঞ্জুরুল কাদির রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলার থানাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। গ্রামে বাড়ির পাশের জায়গাগুলো অনেকেই পরিত্যক্ত রাখেন। সেখানে অযত্নে অবহেলায় তৈরি হয় ঝোপঝাড়। এরকম পরিত্যক্ত একখণ্ড জমিতে মাল্টা চাষ করে সফল হয়েছেন তিনি। তার এই সফলতা দেখে এখন অনেকেই মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়েছেন।
কৃষক কাদির বলেন, উপজেলার কৃষি অফিসের উপ-সহকারী মাঠ কর্মকর্তা বজলুর রহমান প্রথম আমাকে মাল্টা চাষের পরামর্শ দেন। ২০১৭ সালে উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় এক বিঘা জায়গায় মাল্টা চাষ শুরু করি। মাল্টা গাছের চারা, সার, কীটনাশক ও পরামর্শ সবই বিনা মূল্যে দেয় কৃষি বিভাগ। চারা রোপণের তিন বছরের মাথায় আশাতীত ফলন পেয়েছি।
তিনি বলেন, গত বছর প্রায় ৫০ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করেছি। এবার গত বছরের চেয়ে মাল্টার দাম বেশি পেয়েছি। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২২০ টাকা দরে। তাই এ বছর বেশি লাভের আশা করছি। আমার এই মাল্টা বাগান দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন লোকজন।
উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ জানান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ২০০৩ সালে ‘বারি মাল্টা-১’ নামের মাল্টার উন্নত জাত উদ্ভাবন করে। এটি দেখতে সবুজ, খেতে সুস্বাদু ও রসাল। চারঘাটে এই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা চাষ হচ্ছে। মঞ্জুরুল কাদিরকে দেখে আরও অনেকে মাল্টা চাষে আগ্রহী হবেন।
আরও পড়ুনঃ পঞ্চগড়ে চা বাগানে মাল্টা চাষে লাভবান কৃষকরা
কৃষি প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার