গত বছরের ন্যায় চলতি বছরেও পাহাড়ী ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে যমুনায় সৃষ্ট বন্যায় সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলের খেত। চলতি বছর বন্যায় বিশ কোটি টাকারও অধিক ক্ষতি হয়েছে। এতে করে লোকসানে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জেলার প্রান্তিক চাষিরা।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, যমুনার চরাঞ্চলে অবস্থিত ছয়টি ইউনিয়নসহ ১২ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ৫০ হাজার কৃষক এবার মোট ১১ হাজার ৪৬৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ করেছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক বন্যায় এই ফসলের অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে। এতে রোপা আমন বীজতলা ক্ষতি হয়েছে ৩০ হেক্টর, রোপা আমন ২ হাজার ৫২০ হেক্টর, শাকসব্জি ১৫ হেক্টর, এবং কলার ক্ষেত ৩ হেক্টর। ক্ষতির শিকার হয়েছেন মোট ১৩ হাজার ৩৭১ জন কৃষক।
উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের চাষি মনসুর বলেন, চলতি বছর বেগুন চাষ করেছিলাম। গাছের বৃদ্ধিও ভাল ছিল আর কিছুদিন বাদে ফল ধরা শুরু হত। কিন্তু বন্যার পানিতে পুরো খেত পানির নিচে ডুবে থাকায় গাছের গোড়া পচে সব গাছ মরে যাচ্ছে। এতে করে তার অনেক টাকা লোকসান হয়েছে।
চরগিরিশ ইউনিয়নের চাষি হাসেম আলী বলেন, বন্যায় আধাপাকা ধান পানির নিচে ডুবে থাকার ফলে নষ্ট হয়ে গেছে। পানি সরে গেলেও সেই খেত থেকে কোন ফসল পাওয়া যাবেনা। সরকারি কোন সহায়তা পেলে লোকসান কাটিয়ে পুনরায় কৃষি কাজে মননিবেশ করা যেতে বলেও তিনি জানান।
এ প্রসঙ্গে কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রেজাউল করিম জানান, প্রকৃতির উপর কারো হাত নেই। তবে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। কৃষকের পাশে রয়েছি। তাদের জন্যে সরকারি সহায়তাও আসছে। সামনে মাসকলাই, সরিষা চাষের জন্যে কৃষকদের পরামর্শসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা দিচ্ছি।