ডিম ফোটানোর পর বাচ্চা ও মুরগির যত্নে যা করতে হবে

ডিম ফুটানোর পর বাচ্চা ও মুরগির যত্নে করণীয় যেসব কাজ রয়েছে সেগুলো খামারিদের সঠিকভাবে জেনে রাখতে হবে। অধিক লাভের আশায় বর্তমানে অনেকেই মুরগি পালন করে থাকেন। মুরগি পালনের ক্ষেত্রে বাচ্চা ফোটানো ও মুরগির যত্ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসুন আজকে জেনে নিব ডিম ফুটানোর পর বাচ্চা ও মুরগির যত্নে করণীয় সম্পর্কে-

ডিম ফুটানোর পর বাচ্চা ও মুরগির যত্নে করণীয়ঃ

গরম কালে বাচ্চার বয়স ৩-৪ দিন এবং শীত কালে ১০ থেকে ১২ দিন পর্যন্ত বাচ্চার সাথে মাকে থাকতে দিতে হবে। তখন মুরগি নিজেই বাচ্চাকে উম দিবে। এতে কৃত্রিম উমের প্রয়োজন হবে না। এ সময় মা মুরগিকে খাবার দিতে হবে। মা মুরগির খাবারের সাথে বাচ্চার খাবার ও কিছু আলাদা করে দিতে হবে। বাচ্চা গুলো মায়ের সাথে খাবার খাওয়া শিখবে।

উক্ত সময়ের পর মুরগিকে বাচ্চা থেকে আলাদা করতে হবে। এ অবস্থায় বাচ্চাকে কৃত্রিম ভাবে ব্রুডিং ও খাবার দিতে হবে। তখন থেকেই বাচ্চা পালনের মত বাচ্চা পালন পদ্ধতির সব কিছুই পালন করতে হবে। মা মুরগিকে আলাদা করে লেয়ার খাদ্য দিতে হবে। এ সময় মা মুরগিকে তাড়াতাড়ি সুস্থ হওয়ার জন্য পানিতে দ্রবনীয় ভিটামিন দিতে হবে।

মা মুরগি ও বাচ্চা এমনভাবে আলাদা করতে হবে যেন তারা দৃষ্টির বাহিরে থাকে। এমন কি বাচ্চার চিচি শব্দ যেন মা মুরগি শুনতে না পায়। তা না হলে মা ও বাচ্চার ডাকা ডাকিতে কেউ কোন খাবার বা পানি কিছুই খাবে না। আলাদা করার পর অবস্থার সাথে খাপ খাইয়ে গেলে আর কোন সমস্য থাকে না।

প্রতিটি মুরগিকে এ সময় ৮০ থেকে ৯০ গ্রাম লেয়ার খাবার দিতে হবে। সাথে সাথে ৫-৭ ঘন্টা চড়ে বেড়াতে দিতে হবে। প্রতি ৩ থেকে ৪ মাস পর পর কৃমির ঔষধ এবং ৪ থেকে ৫ মাস পর পর আর.ডি.ভি. টীকা দিতে হবে। দেশে একটি মুরগি ডিম পাড়ার জন্য ২০ থেকে ২৪ দিন সময় নেয়। ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর জন্য ২১ দিন সময় নেয়। বাচ্চা লালন পালন করে বড় করে তোলার জন্য ৯০ থেকে ১১০ দিন সময় নেয় ।

ডিম থেকে এ ভাবে (৯০-১১০ দিন ) বাচ্চা বড় করা পর্যন্ত একটি দেশী মুরগির উৎপাদন চক্র শেষ করতে স্বাভাবিক অবস্থায় ১২০ থেকে ১৩০ দিন সময় লাগে। কিন্তু মাকে বাচ্চা থেকে আলাদা করার ফলে এই উৎপাদন চক্র ৬০ থেকে ৬২ দিনের মধ্যে সমাপ্ত হয়। বাকি সময় মুরগিকে ডিম পাড়ার কাজে ব্যবহার করা যায়।