পুকুরে চুন প্রয়োগের কারণ ও প্রয়োগের মাত্রা সম্পর্কে মৎস্য চাষিদের সঠিক ধারণা থাকা দরকার। বর্তমান সময়ে পুকুরে মাছ চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পুকুরে মাছ চাষের জন্য সার ও চুন প্রয়োগের দরকার হয়ে থাকে। আজকের এ লেখায় চলুন জানবো পুকুরে চুন প্রয়োগের কারণ ও প্রয়োগের মাত্রা সম্পর্কে-
যে কারণে চুন প্রয়োগের প্রয়োজনঃ
চুনের প্রয়োগের মাত্রাঃ
চুন প্রয়োগের মাত্রা নির্ভর করে মাটির পিএইচ এবং চুনের ধরণের উপর। পোড়া চুনের মাত্রা পাথুরে চুনের দ্বিগুন ও কলিচুনের দেড় গুন। চুন ব্যবহারের পূর্বে মাটির পিএইচ পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।
পিএইচ পোড়া চুন (প্রতি শতাংশে)
পিএইচ ৩-৫, চুন ৬ কেজি
পিএইচ ৫-৬ (এঁটেল মাটি), চুন ৪ কেজি
পিএইচ ৬-৭ (দো-আঁশ মাটি), চুন ১-২ কেজি
মাটির ধরন অনুযায়ি নতুন পুকুর ও পুরাতন পুকুরের মধ্যে পোড়া চুনের প্রতি শতাংশে প্রয়োগ মাত্রা:-
মাটির ধরন নতুন পুকুর পুরাতন পুকুর
দো-আঁশ ১ কেজি ২ কেজি
এঁটেল ৪ কেজি ৬ কেজি
চুনের ব্যবহার পদ্ধতিঃ
শুকনা ও ভেজা মাটির পুকুরের ক্ষেত্রে পুকুর তৈরির সময় প্রয়োজনীয় চুন একটি বস্তার মধ্যে ভাল করে গুঁড়া করে অথবা মাটির চাড়ি বা এ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে গুলে পাড়সহ সমস্ত পুকুরে সমানভাবে ছিটিয়ে দিতে হবে। পানি ভর্তি পুকুরের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় চুন মাটির চাড়ি, টিনের বালতি বা ড্রামে গুলিয়ে পাড়সহ সমস্ত পুকুরে সমানভাবে ছিটিয়ে দিতে হবে। কড়া রোদে চুন বেশি কার্যকর।
চুন প্রয়োগের সময়ঃ
১। শুকনা পুকুরে চাষ দেয়ার দিন।
২। পুকুরে পানি সেচের পর পরই ভেজা মাটিতে।
৩। পানি ভর্তি পুকুরে সার প্রয়োগের ৬-৭ দিন পূর্বে।
৪। চাষকালীন সময়ে প্রতিমাসে অন্তত একবার চুন ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫। চাষকালীন সময়ে প্রতি শতাংশে ২০০ গ্রাম চুন ব্যবহার করা যেতে পারে (তবে এটি নির্ভর করবে পুকুরের মাটি ও পানির পিএইচের মানের উপর)।