মুরগির ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা কেমন হবে তা অনেক খামারিরাই ভালোভাবে জানেন না। অধিক লাভজনক হওয়ার কারণে বর্তমানে অনেকেই খামার গড়ে তুলছেন। তবে খামারের সঠিক ব্যবস্থাপনা অনেকেই করতে পারছেন না। বিশেষ করে খাদ্য ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ। চলুন তাহলে আজ জেনে নিব মুরগির ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে-
মুরগির ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও খাদ্য ব্যবস্থাপনাঃ
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণঃ
খামারের মুরগির বাচ্চা নিয়ে আসার অন্তত ৪৮ ঘন্টা আগে ঘরটি পরীক্ষা করতে হবে। প্রত্যেক সপ্তাহে বাচ্চার ঘরের তাপমাত্রা হবে ৩৫০ সেঃ (৯৫০ ফাঃ)। শাবক ঘরের তাপমাত্রা প্রতি সপ্তাহ ৫০ ফাঃ বা ২.৮০ সেঃ হিসেবে কমানো যেতে পারে। সেটা অবশ্য নির্ভর করবে বাইরের আবহাওয়ার ওপর।
মুরগির খাদ্য ব্যবস্থাপনাঃ
প্রথম কয়েকদিন ডিম নেওয়ার কাটুনে খাদ্য দেওয়া দেওয়া যেতে পারে। বাচ্চা পিছু খাবার জায়গা দিতে হবে ২.৫ সিমে (১”)।
এই ব্যবস্থা চলবে বাচ্চার ১ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত। প্রথম প্রথম খাবারের জায়গা পুরো ভরে দিলে চলবে। কিন্তু একটু বড় হয়ে যাবার পর খাবারের জায়গা আধা আধি ভর্তি করতে হবে। এভাবে চললে খাবার নষ্ট কম হবে। দিনে ৪ বার খাবারের জায়গায় দখাবার দিলে চলবে। খাবারের জায়গা বার বার ভরে দিলে মুরগি বাড়ে ভাল।
৪ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত মুরগি প্রতি খাবারের জায়গা হবে ৫ সেমি। পরে বেড়ে সেটা দাড়াবে ৭.৫ সেমি (৩”)। সমস্ত দিনভর বাচ্চাদের পরিষ্কার ঠান্ডা পানি জুগিয়ে যেতে হবে। পানির জায়গা বেশি সংখ্যায় দিতে হবে। মনে রাখতে বাচ্চা ডিমপাড়া মুরগি থেকে ব্রয়লার বাচ্চা বেশি পানি খায়। গরমকালে, বিশেষ করে গরম প্রবাহ চললে মুরগি প্রচুর পানি খেয়ে নিজেকে ঠান্ডা করার চেষ্টা করে থাকে।
আরও পড়ুনঃ ব্রয়লার মুরগি পালনে খামার ব্যবস্থায় যা করা…
পোলট্রি প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার