খামারে লেয়ার মুরগির বাচ্চার পরিচর্যায় করণীয় কি কি কাজ করতে হবে সেগুলো খামারিদের সঠিকভাবে জেনে রাখতে হবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বর্তমানে ব্যাপকহারে লেয়ার খামার গড়ে উঠেছে। লেয়ার খামারের উৎপাদিত ডিম দেশের চাহিদা পূরণ করছে। অনেকেই লেয়ার খামার করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। চলুন আজকে জানবো খামারে লেয়ার মুরগির বাচ্চার পরিচর্যায় করণীয় সম্পর্কে-
লেয়ার খামারে বাচ্চার পরিচর্যায় করণীয়ঃ
লিটার ব্যবস্থাপনাঃ
- খাঁচায় বাচ্চা ব্রুডিং করলে মেঝেতে লিটার বসানোর প্রয়োজন নেই। সরাসরি ব্রুডার খাঁচা স্থাপন করতে হয়।
- শুকনো মেঝেতে ১ থেকে ২ ইঞ্চি পুরু করে লিটার সামগ্রী বিছানোর পর ব্রুডার গার্ড, হোভার এবং হিটিং সরঞ্জাম বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে;
- ভিজা লিটার তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে নেওয়া।
- প্রতিদিন লিটার নাড়া চাড়া করা।
- লিটার জমাট বাঁধতে না দেওয়া।
আর্দ্রতাঃ
মুরগি পালন করা ঘরের মেঝেতে যে লিটার বিছানো হয় তার আর্দ্রতা শতকরা ২০ ভাগ থাকা উচিত। লিটারের আর্দ্রতা কমে গেলে মুরগির দেহের জলীয় অংশ শুষে নেয়, ফলে ডিহাইড্রেশন হয়। লিটারের আর্দ্রতা বেশি হলে ঘরে এ্যামোনিয়ার উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং মুরগির শ্বাস-কষ্টজনিত সমস্যা হয়।
বাতাস চলাচলঃ
- ঘরের দূষিত বাতাস বের হওয়া এবং বিশুদ্ধ বাতাস প্রবেশের জন্য বাতাস চলাচলের প্রয়োজন।
- বাচ্চার যাতে ঠান্ডা না লাগে সে জন্য সীমিতভাবে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হয়।
- ছোট ঘরের উপরিভাগে দূষিত বাতাস বের হওয়ার জন্য ফাঁকা জায়গা রাখা হয়।
- শীতের সময় বিশেষ সতর্কতা করতে হয়। ব্রুডার ঘরের চতুর্পাশে পরিবেশের তাপমাত্রা অনুসারে চট লাগিয়ে দেয়া যেতে পারে। ঘরের ভিতরের তাপমাত্রার উপর এই চট উঠা-নামা করতে হবে। তবে কোন অবস্থাতেই পলিথিন সীট ব্যবহার করা যাবে না।
খাদ্যঃ
- প্রথম দুই দিন বিছানো কাগজের উপর গম বা ভূট্টা ভাঙ্গা বা চালের ক্ষুদ।
- তৃতীয় দিন হতে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত সুষম বা সম্পূর্ণ ষ্টার্টার খাদ্য।
- তৃতীয় দিন পাত্রে ষ্টার্টার রেশন দেয়া শুরু।
- চতুর্থ দিন কাগজের উপর খাদ্য দেয়া বন্ধ করতে হবে।
পানিঃ
- প্রাথমিভাবে ৪-৫ ঘন্টা গ্লুকোজ বা চিনি মিশ্রিত পানি প্রদান।
- পরবর্তিতে ৩ দিন ভিটামিন মিশ্রিত পানি প্রদান।
- ব্রুডারের তাপে পানি গরম হতে দেওয়া, কখনও ঠান্ডা পানি প্রদান করা উচিত নয়।
আরও পড়ুনঃ
পোল্ট্রি প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার