পেয়ারা চাষে আব্দুল মালেকের অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। তিনি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার চন্ডিপুর এলাকার বাসিন্দা। পেয়ারা বাগান গড়ে নিজেকে স্বাবলম্বী করেছেন তিনি। নিজের কোনো জমি না থাকলেও অন্যের কাছ থেকে প্রথমে ২ বিঘা কৃষি জমি লিজ নিয়ে পেয়ারা বাগান গড়ে তোলেন তিনি। এরপর তাকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। এখন তিনি ১২ বিঘা জমিতে পেয়ারা চাষ করছেন। তার দেখাদেখি অনেকেই পেয়ারা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
আব্দুল মালেক বলেন, অভাব-অনটনের সংসারে ধারদেনা করে বিদেশে গিয়েছিলাম। সেখানে বিভিন্ন ফলের বাগানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছি। ছয় বছরে ধারদেনা পরিশোধ করে আর জমানো কিছু টাকা নিয়ে দেশেই এমন কিছু বাগান করার চিন্তা নিয়ে দেশে ফিরি। এরপর অন্যের জমি লিজ নিয়ে শুরু করি ফলের বাগান। গত বছর পেয়ারা বিক্রি করে লাখ দুয়েক টাকা লাভ হয়েছিল। এবার তিন লাখ টাকার ফল বিক্রির আশা করছি।
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. হায়াত মাহমুদের জানান, আব্দুল মালেক কৃষকদের জন্য রোল মডেল। তার মতো কৃষকদের বিভিন্ন ফলজ বাগান গড়ে তুলতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা উদ্বুদ্ধ করি। তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দিয়ে সহজে বাগান গড়ে তোলার জন্য বীজ ও সার সহায়তা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ সবরি কলা চাষে লাখপতি আব্দুস শহীদ
কৃষি প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার