কুমিল্লার বরুড়ায় দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে বিদেশি অর্থকরী ফল রকমেলন বা সাম্মান চাষ। এ ফল চাষ করে অনেকেই সাফল্য পেয়েছেন। ফলে অনেকে এ ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। বরুড়ায় রকমেলন ফল প্রথম চাষ করেন পৌর এলাকার জিনসার গ্রামের কৃষক মো. আবদুল করিম মিয়া।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, আবদুল করিম মিয়ার জমিতে ছড়িয়ে আছে উজ্জ্বল হলদে কিংবা সবুজের মাঝে অফহোয়াইট রঙের নজরকাড়া গোলাকার রকমেলন। জমিতে মাচা করে এ ফলের চাষ হচ্ছে। করিম মিয়ার দেখাদেখি অনেকেই এ ফলের চাষ করছেন বরুড়ায়। রকমেলন মূলত বাঙ্গি, তরমুজ কিংবা মিষ্টিকুমড়া গোত্রের ফল। দেখতে অনেকটা বাঙ্গির মতো হলেও সুমিষ্ট ও সুস্বাদু এ ফল। এটির মূল উৎপাদনস্থল ইউরোপ হলেও এখন চীন, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতে উৎপাদন হচ্ছে।
আবদুল করিম বলেন, ইউটিউবে রকমেলন চাষাবাদ পদ্ধতি দেখে অনুপ্রাণিত হন তিনি। তবে তিনি কিছু হতাশার কথাও বলেছেন। যেমন- কিছু কিছু গাছে ভাইরাস আক্রমণ করেছে। এতে কিছু গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, ঠিক কী ধরনের ভাইরাসের আক্রমণে এই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে ইউটিউবে তার সঠিক সমাধান পাচ্ছেন না। এ ক্ষেত্রে কৃষি বিভাগের সহযোগিতা পেলে অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি সফলতা লাভ করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলীব বলেন, আমরা কৃষক পর্যায়ে যে কোনো সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। করিমের মতো যারাই এমন উদ্যোগ নিচ্ছেন, তাদের সহযেগিতা করা হবে। তিনি আরও বলেন, করিমের প্রজেক্টে আমি গিয়েছি। তার সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।