লাভজনক হওয়ায় আগাম সবজি চাষে ঝুঁকছেন জয়পুরহাটের বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা। আবহাওয়া ও জমি চাষের উপযোগী হওয়ায় সবজির ফলনও বেশ ভালো পাচ্ছেন চাষিরা। আর আগাম সবজিতে দাম বেশি পাওয়া যায় বলে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। লাভবান হলে আগামীতে আরও বেশি জমিতে সবজির চাষাবাদ করবেন বলেও জানান চাষিরা।
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, আগাম জাতের সবজি চাষ অধিক লাভজনক হওয়ার কারণে কৃষকরা দিন দিন এ ধরণের সবজির চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছেন। জেলার পাঁচ উপজেলায় এবার আগাম জাতের সবজি চাষের মধ্যে রয়েছে বেগুন ৫০০ হেক্টর, করলা ৩০০ হেক্টর, মূলা ৬৫০ হেক্টর, লাল শাক ২০০ হেক্টর, লাউ ২৭৫ হেক্টর, শিম ২৫০ হেক্টর, পটল ৭০০ হেক্টর, বাধাঁ কপি ২শ ও ফুল কপি ২৫০ হেক্টরসহ অন্যান্য সবজি রয়েছে। এ ছাড়া আগাম জাতের আলুও রয়েছে ২৩০০ হেক্টর জমিতে।
কৃষক নূর মোহাম্মদ বলেন, গত বছর ৩০ শতাংশ জমিতে আগাম জাতের আলু ও বেগুন চাষ করে ৮০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। সে কারণে এবারও আলু ও বেগুন চাষ করেছেন অধিক লাভের আশায়।
আরেক কৃষক ছানোয়ার জানান, গত বছর কপিতে অধিক লাভ হওয়ায় এবার সাড়ে তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের কপি চাষ করেছেন তিনি। বর্তমান জয়পুরহাটের হাট-বাজার গুলোতে বেগুন ৩৬ থেকে ৪০ টাকা কেজি, করলা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মূলা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, কপি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, শিম ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার বলেন, এসব সবজিতে লাভ বেশি হওয়ায় জেলায় আগাম জাতের সবজি চাষ দিন দিন বেড়েই চলেছে। আগামীতে আগাম জাতের সবজি চাষ আরও বাড়বে বলে আশা করছি।