চিংড়ির অস্বাভাবিক মৃত্যু বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা যেগুলো রয়েছে তা চাষিদের সঠিকভাবে জেনে রাখা দরকার। চিংড়ি চাষ লাভজনক হওয়ার কারণে এখন অনেকেই চিংড়ি চাষে ঝুঁকছেন। চিংড়ি চাষে অনেক সময় অস্বাভাবিক মৃত্যু লক্ষ্য করা যায়। এটি বন্ধ করা না গেলে লোকসান দেখা দিতে পারে। আজকে আমরা জেনে নিব চিংড়ির অস্বাভাবিক মৃত্যু বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে-
চিংড়ি চাষে এমন অস্বাভাবিক মৃত্যু দেখা দিলে নিম্নোক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে-
১। এমন সমস্যা দেখা দিলে পানির গুণাগুণের উন্নয়ন করতে হবে। পানির পিএইচ ও অ্যামোনিয়া পরীক্ষা করে দেখতে হবে। পানিতে পিএইচ ও অ্যামোনিয়া অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পেলে পানি পরিবর্তন করে ফেলতে হবে।
২। চিংড়ি চাষের পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে হবে।
৩। চিংড়ি চাষে সঠিক মজুদ ঘনত্ব বজায় রাখতে হবে। তা না হলে মাছের অস্বাভাবিক মৃত্যু হতে পারে।
৪। চিংড়ির জন্য সঠিক মান সম্পন্ন সম্পূরক খাবার দিতে হবে। কোন ভাবেই প্রয়জনের তুলনায় বেশি খাদ্য প্রদান করা যাবে না। এতেও জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে।
৫। সম্ভব হলে পানি ও মাটি শোধনকারী উপযুক্ত প্রোবায়োটিক ব্যবহার করতে হবে।
৬। ফাইটোপ্লাংকটনের সঠিক ব্লুম বজায় রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
৭। চিংড়ি চাষে পুকুরের তলার অবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। কোন অবস্থাতেই পুকুরের তলদেশে যাতে অতিরিক্ত কাঁদা বা আবর্জনা না জমতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।