গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পাইকারী ও খুচরা বাজারে আলুর দাম কমে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়ছিলো দেশের প্রান্তিক আলু চাষিরা। কিন্তু বর্তমানে সারাদেশে পাইকারী ও খুচরা পর্যায়ে আলুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খুশি ঠাকুরগাঁওয়ের প্রান্তিক চাষিরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঠাকুরগাঁও কার্যালয়ের সূত্রমতে, চলতি বছরে কৃষকেরা ২৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ করেছেন। ফলন হয়েছে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৬১৭ মেট্রিক টন। যদিও ২০২০ সালের আলু মৌসুমে জেলায় ২৫ হাজার ৩৫ হেক্টর (৬১ হাজার ৮৩৬ একর) জমিতে আলু আবাদ হয়েছিল। আলু উৎপাদন হয়েছিল ৬ লাখ ৭২০ মেট্রিক টন।
ঠাকুরগাঁওয়ের পাইকারি বাজারে জাতভেদে প্রতি কেজি আলুর দাম ৬–৭ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে লোকসানে মুখে পড়া কৃষক-ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। আলুর দাম বাড়লেও আবারও দাম কমে যাবে কিনা তা নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা।
সদর উপজেলার সিঙ্গীয়া গ্রামের আলুচাষি আবুল হায়াত বলেন, বর্তমানে আলুর খুব একটা দাম না পেলেও লোকসান হবেনা। চলতি বছর ৫০ একর জমিতে আলুর আবাদ করেছেন বলেও তিনি জানান।
পটুয়া গ্রামের কৃষক আবু সাঈদ বলেন, আলু ও সবজির আগাম আবাদ বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণেই আলুর দাম বেড়েছে। আলুর দাম বাড়ার কারণে কৃষক-ব্যবসায়ীরা হুমড়ি খেয়ে একসঙ্গে হিমাগারে সংরক্ষণ করা আলু বের করতে শুরু করেছেন। আর এ কারণেই আবার আলুর দরপতন হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।