ঝালকাঠিতে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষ। এ পদ্ধতিতে পানিতে ভাসমান সবজির চাষাবাদ করে লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। এ জেলা উপকূলীয় হওয়ায় প্রায় সময়ে এ অঞ্চলের কৃষকদের চাষাবাদ নিয়ে সমস্যা লেগেই থাকত। সেই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ দিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এখন ভাসমান বেডে বিভিন্ন রকমের সবজি, মসলা সারা বছরই চাষ করছেন কৃষকরা।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ জেলা নিম্নাঞ্চল হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পানিতে ডুবে নষ্ট হতো কৃষকের তৈরি বীজতলা। কৃষি বিভাগ নিজেদের উদ্যোগে কৃষকদের কলা গাছের ভেলা ও কচুরিপানা দিয়ে বেড তৈরি করে দেওয়া হয়। এসব বেডে চাষ করা হচ্ছে লালশাক, মুলা শাক, লাউ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ঢেঁড়স, ধনিয়াসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি।
কৃষক মোকসেদ আলী বলেন, প্রথমে পানির ওপরে কলাগাছ অথবা বাঁশ বিছিয়ে বেড বা মাচা তৈরি করতে হয়। তার ওপর কচুরিপানা তুলে বেড প্রস্তুত করা হয়। এরপর কচুরিপানা পচিয়ে তার ওপরেই বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়। বর্ষা বা বন্যার পানি যতই হোক বেডের ওপরে রোপণ করা চারার কোনো ক্ষতি হয় না।
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ফজলুল হক জানান, জলাবদ্ধ ও বন্যাদুর্গত এলাকার কৃষকরা এ ধরনের ভাসমান বেডে সারা বছরই সবজি চাষ করতে পারেন। এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ লাভজনক হওয়ায় কৃষকদের মাঝে আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।
আরও পড়ুনঃ আলুর শুকনো ও নরম পচা রোগের প্রতিকারে করণীয়
কৃষি প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার