শিং, মাগুর বা টেংরা চাষে পুকুর খনন ও প্রস্তুতিতে করণীয় যেসব কাজ রয়েছে সেগুলো মৎস্য চাষিদের সঠিকভাবে জেনেই মাছ চাষ শুরু করা উচিত। আগের দিনগুলোতে নদী-নালা ও খাল-বিলে প্রচুর পরিমাণে মাছ পাওয়া যেত তবে এখন আর তেমন পাওয়া যায় না। চলুন আজকে জেনে নিব শিং, মাগুর বা টেংরা চাষে পুকুর খনন ও প্রস্তুতিতে করণীয় সম্পর্কে-
পুকুর খননঃ
মাছের রেণু চাষ করার জন্য পুকুরের মাঝখানটা ৩-৩.৫ ফুট গভীর হয়ে থাকে।
তারপর মাঝখান থেকে যত পাড় এর দিকে যাবেন তত গভীরতা কমতে থাকবে ৪৫ ডিগ্রী এঙ্গেলে, তার কারণ ছোট পোনা ও রেণু গুলো পুকুরের পাড়ের কাছাকাছি থাকে আর যত বড় হতে থাকে তত গভীর পানিতে বিচরন করে।
পুকুর খনন সঠিক নিয়মে না হওয়ার কারণেও অধিকাংশ রেণু নষ্ট হয়ে যায়, তাই পুকুর কাঁটার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।
পুকুর প্রস্তুত করাঃ
১। রেণু চাষের জন্য পুকুরের পানি সেচের পর কাল মাটি তুলে পুকুর থেকে দূরে ফেলতে হবে। তারপর যতটা সম্ভব পুকুর শুকিয়ে ফেলতে হবে। এতে জীবাণুগুলো ধংস হয়ে যাবে।
২। প্রথম দিন প্রতি শতাংশে ২০ গ্রাম হারে ব্লিচিং পাওডার ছিটিয়ে দিতে হবে।
৩। মাটির পিএইচ মান পরীক্ষা করে প্রতি শতাংশে ৫০০ গ্রাম থেকে ২ কেজি পর্যন্ত চুন প্রয়োগ করতে হবে।
৪। পুকুরে চুন দেওয়ার ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা পর পুকুরে ফ্রেশ আয়রন মুক্ত ৩ ফিটের মত পানি প্রবেশ করাতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে পানির পিএইচ মান ৭ এর নিচে যাতে না হয়।
৫। ৩৬ ঘন্টা পূর্বে পুকুরকে হাঁসপোকা মুক্ত করার লক্ষে পরিমিত মাত্রায় প্যারাটিক্স বা সুমিথিয়ন দেওয়া যেতে পারে,
৬। মাছ ছাড়ার আগের দিন প্রতি বিঘায় ১ কেজি লাইভ ফুড + ৫০০ গ্রাম নার্সারি ফিড + ১ সুজি +৫০০ গ্রাম চিটা গুড় ২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে + ১০০ গ্রাম ইস্ট মিশিয়ে সূর্যালোকিত দিনে সকাল ১০-১১ টার মধ্যে সমস্ত পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে।
৭। মাছের রেণু অবমুক্ত করার ২০ থেকে ৩০ মিনিট পূর্বে পরিমিত মাত্রায় স্যালাইন দেওয়া যেতে পারে
সতর্কতাঃ