আধুনিক পদ্ধতিতে মনোসেক্স তেলাপিয়া চাষ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ মৎস্য চাষিদের সঠিকভাবে জেনে রাখা দরকার। অধিক লাভজনক হওয়ার কারণে বর্তমানে আমাদের দেশের অনেক মৎস্য চাষিই তাদের পুকুরে তেলাপিয়া মাছের চাষ করছেন। চলুন আজ তাহলে জানবো আধুনিক পদ্ধতিতে মনোসেক্স তেলাপিয়া চাষ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ সম্পর্কে-
আধুনিক চাষ পদ্ধতিঃ
তেলাপিয়া চাষের জন্য অনেক আধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। পুকুরে চাষ করার পাশাপাশি খাঁচা তৈরি করে এ মাছ চাষ করা হচ্ছে হাওর-বাওর, বিল ও নদীতে।
খাঁচার আয়তনঃ ২০ ফুট ×২০ ফুট × ৬ ফুট অথবা ১০ ফুট × ১০ফুট × ৬ ফুট আকারের খাঁচা তৈরি করা যেতে পারে। খাঁচায় যে ধরনের জাল ব্যবহার করা হবে তার মেশ সাইজ হবে ৩/৪ ইঞ্চি থেকে ১১/৪ ইঞ্চির মধ্যে। খাঁচার প্রতি ঘনমিটারে ৩০-৪০ টি পোনা দিতে হবে এবং পোনার ওজন হবে ২৫-৩০ গ্রাম।
মাছ আহরণ ও উৎপাদনঃ
আধা-নিবিড় পদ্ধতিতে চাষ করলে ৩-৪ মাসে তেলাপিয়া মাছের গড় ওজন ২০০-২৫০ গ্রাম হবে। জাল টেনে ও পুকুর শুকিয়ে মাছ ধরতে হবে। এ পদ্ধতিতে ৩-৪ মাসে একর প্রতি ৫-৬ টন উৎপাদন পাওয়া সম্ভব।
প্রয়োজনীয় পরামর্শঃ
পোনা মজুদের পর প্রতি মাসে শতাংশ প্রতি ২৫০ গ্রাম চুন (চুন পানিতে ভিজিয়ে রেখে ঠান্ডা করে প্রয়োগ করতে হবে) বা ১৫০ গ্রাম জিওলাইট প্রয়োগ করতে হবে।
খাবার প্রয়োগের ১ ঘণ্টা পর পুকুর পর্যবেক্ষণ করা করতে হবে। যদি পুকুরে খাবার পাওয়া যায় তা হলে বুঝতে হবে পুকুর/মাছের কোন সমস্যা হয়েছে অথবা খাবার বেশি দেওয়া হচ্ছে।
প্রতি ৭-১০ দিন পর পর জাল টেনে মাছের বৃদ্ধি পর্যবেণ করে খাবারের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।
একটানা মেঘলা আবহাওয়ায় কিংবা অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে পুকুরে বা খাঁচায় খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে অথবা খাবার দেওয়া বন্ধ রাখতে হবে।
গ্রীষ্মকালে অনেক সময় পুকুরের পানি কমে যায় ফলে পানির তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে পুকুরে প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি দিতে হবে।