নীলফামারীতে আগাম আলুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায় আগাম আলু চাষ করে বেশ ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। এসব এলাকায় আগাম আলুর চাষ করে অনেক কৃষকই আর্থিকভাবে হয়েছেন স্বাবলম্বী। গত বছরে যারা আগাম আলু চাষ করেছিলেন তারা তেমন লাভবান হতে পারেনি। তবে এবারের মৌসুমে আগাম আলুর ভালো ফলনের পাশাপাশি লাভবান হওয়ার আশা করছেন কৃষকরা।
কৃষকরা জানান, দেশের বাজারে আগাম আলুর জন্য বিখ্যাত এই কিশোরগঞ্জ। কিন্তু হঠাৎ বৈরি আবহওয়ার কারণে কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। তবে সঠিক যত্ন নেওয়ায় বাম্পার ফলন পাওয়ায় আশা করছেন তারা।
কৃষক আব্দুল মজিদ বলেন, বৈরি আবহাওয়ায় আলুর পাতা-ডাল মরে যাচ্ছে। এতে করে আলুর ক্ষতি হতে পারে। যদি এই সমস্যা কেটে উঠতে পারি তাহলে আলুর ভালো ফলন ও দাম পাবো বলে আশায় আছি। আমি ১০ বিঘা আলু লাগিয়েছি এতে যদি ভালোমানের আলু ধরে তাহলে ১০০ বস্তার মতো আলু আসবে। বাজার মূল্য যদি ৬০ থেকে ৮০ টাকা হয় তাহলে এক থেকে দেড় লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো।
উপজেলার কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, এবারের মৌসুমে উপজেলায় ৬৫০০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ করা হয়েছে। তবে মাঠে দেখা গেছে বাম্পার ফলন হয়েছে আলুর। ১০ দিনের মধ্যে বাজারে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদি কৃষকেরা সঠিক মূল্য পান ও বাজারজাতের জন্য ভালো কোনো ব্যবস্থা থাকে তাহলে লাভবান হতে পারবেন।