তিস্তার চরে পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি গ্রীষ্মকালীন ও রবি মৌসুমে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় তিস্তা নদীর জেগে ওঠা চরে পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। বর্তমানে আধুনিক পদ্ধতিতে উন্নত বীজ ও নতুন চাষ পদ্ধতি কৃষি কাজের সবকিছু বদলে দিয়েছে। অন্যদিকে কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় জৈব সার ব্যবহারে কৃষকরা সুফল পাচ্ছেন।
জানা যায়, বিগত বছরের মতো গম ও তামাক চাষ না করে এবার চরাঞ্চলে শুধু পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষকরা। তিস্তা নদীর দুই কূলে জেগে উঠা চর সমূহে পেঁয়াজ চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এসব কৃষক। কয়েক বছর পেঁয়াজের সংকট এবং দাম বেশি হওয়ায় এসব চরাঞ্চলের কৃষক অন্যান্য ফসলের চেয়ে পেঁয়াজ চাষে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
পেঁয়াজ চাষি আনারুল বলেন, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও চরের জমি চাষের উপযোগী হওয়ার কারণে ক্ষেতে তেমন কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি। পেঁয়াজ ঘরে তোলার সময় পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লাভবান হওয়ার আশা করছেন কৃষকরা।
ডিমলার উপজেলা কৃষি অফিসার সেকেন্দার আলী জানান, চলতি বছরে এ উপজেলায় ১৮০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত বছর ছিল ১৫০ হেক্টর জমিতে। গত কয়েক বছর বাজারে পেঁয়াজের তীব্র সংকট এবং মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় সরকার উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ১৭৫ জন কৃষককে বিনা মূল্যে পেঁয়াজের বীজ ও সার সহায়তা করেছেন।