আধুনিক তরুণ তরুণীদের কাছে কনসার্ট এক আবেগের নাম। এই আবেগের বহিঃপ্রকাশ একেকজনের কাছে একেকরকম। সুপারস্টারদের মঞ্চে দেখে কেউ হয়তো মনের আনন্দে কেঁদে ওঠেন, কারো হয়তো হাসিই থামে না, কেউ আবার মাথা দোলাতে দোলাতে ঘাড় লক করে ফেলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সবসময়ই কেউ না কেউ কনসার্টে আমাদের গান শুনিয়েছেন। তবে সম্প্রতি ঢাবির শতবর্ষ উদযাপনের কনসার্টে এসেছিলেন নগরবাউলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান ভোকাল জেমস।
তরুণ তরুণীদের মাতোয়ারা করে দিয়ে পরপর ৯টি গান শুনিয়েছেন জেমস। এদের মধ্যে ছিলো দুষ্টু ছেলের দল, মা, তারায় তারায় ইত্যাদি। কার্জন হলের সামনের মাঠে তিল ধারণের জায়গা ছিলো না—এমনটিই জানিয়েছেন উপস্থিত ভক্ত ও স্থানীয়রা। তবে কনসার্ট শেষ হওয়ার পর আশ্চর্য এক দাবী জানান কিছু ভক্ত।
আজিজ মোল্লা(২৯) নামের এক ভক্ত জানান, ‘গুরুর উপর মাইন্ড করলাম। সেই গ্রাম থেকে কনসার্ট দেখতে আসছি, ছয় মাস ধরে চুল রাখছি একটু হেডব্যাং দেওয়ার জন্য, অথচ গুরু নিজে না গাইয়া আমাদেরকে দিয়া অর্ধেক গাওয়াইছে। গুরু গাইছে ’সুন্দরীতমা আমার’, আমরা গাইছি ‘তুমি নীলিমার দিকে তাকিয়ে বলতে পারো…’, গুরু আবার গাইছে ‘বলতে পারো,’ আমরা আবার গাইছি ‘এই আকাশ আমার।‘ মনে হইলো ছোটবেলার মতো শূণ্যস্থান পূরণ করতেছি। ভয়ে ছিলাম কখন কখন কনসার্টে লিরিক্স ধরা শুরু করে…’
আজিজ মোল্লার রাগ সীমিত পরিমাণে থাকলেও প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে গুরু জেমসের আরেক অন্ধ ভক্ত জানান, ‘গুরুর কণ্ঠে পুরা গান শুনতে আসছি। অথচ শুনলাম পাশের ব্যাডার বেসুরা গলা। মন চাইছে কষায়া চড় দিয়া থামায়া দেই! যেহেতু আমরা গান গাইছি, আমরাও পারিশ্রমিক চাই। আলাদা করে পারিশ্রমিক না দিলে গুরুর থেকে দেওয়া হোক। শুনছি তিনি গান প্রতি এক লাখ টাকা দেন। আমরা যারা গাইছি তাদেরকে একশো না হোক, পঞ্চাশ করে দেওয়া হোক। আর যারা গান প্লাস তালি দিছে, ওদেরকে সত্তর টাকা করে দিক। একবেলা মুরগী ভাত খাইতে পারবো…’