সুন্দরবন ডেক্স: ধোঁয়ায় ওড়ানো গরম পানি, কাপে টুং টাং শব্দে চা বানিয়ে দিচ্ছেন বিভিন্ন জনের হাতে। চাহিদামতো অন্য জিনিসপত্রও তুলে দিতে ভুল হচ্ছে না একটুও। এভাবেই সকাল গড়িয়ে রাত। বাধ্যবাধকতা নেই দোকানে আসা যাওয়ার।
বলছি বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার সাউখখালী ইউনিয়নের মডেল বাজারের চা দোকানি কহিনুর বেগমের কথা। চা বিক্রি করেই জীবন চলে তাদের।
প্রায় ৩০ বছর আগে উপজেলার সোনাতলা গ্রামের জামাল হাওলাদারের সাথে পবিত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তাদের ঘরে জন্মনেয় ২ ছেলে ২ মেয়ে এর মধ্যে মেয়েদের বিয়ে দিলেন। ভালই চলছিল দিনমজুর জামাল ও কহিনুরের সংসার।
সেই সুখ রইল না বেশি দিন। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন জামাল হাওলাদার, ডাক্তার দেখানোর পর জানতে পারলেন তার দুটি কিডনিই অকেজো! পরে দুই ছেলে নিয়ে কষ্টের আরেক জীবন শুরু হয় তাদের।
স্বামী অসুস্থ, দিশেহারা কহিনুর স্বামীর চিকিৎসা ও সংসার চালানোর উদ্দেশ্যে স্বামীর সেই ছোট্ট চায়ের দোকানটি কোন মতে শুরু করলেন তিনি। বাঁচার তাগিদে জীবনযুদ্ধ শুরু হয় তার। তবে বেঁচে থাকার তাগিদে থেমে থাকার উপায় নেই তার। চায়ের দোকানটি তাদের জীবন চলার একমাত্র সম্বল।
কিন্তু দীর্ঘ ৫ বছর যাবত স্বামীর ব্যয়বহুল চিকিৎসা ও সংসার চালাতে গিয়ে দোকাটির মালামাল ফুরিয়ে যায়, ধার-দেনায় জর্জরিত হয়ে পড়েন কহিনুর। তাদের এই করুন অবস্থা গরিবের বন্ধু রাসেল আহম্মেদ এর মাধ্যমে জানতে পেরে সামাজিক সংগঠন ডু সামথিং ফাউন্ডেশন ব্যবসায়িক ভাবে সাবলম্বি করার জন্য দোকানে মালামাল তুলে দেন। স্ত্রী কহিনুর বেগম তার স্বামীকে বাচাঁতে সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেন।