ওবায়েদুল কাদের—অনলাইন কিংবা অফলাইনে জনপ্রিয় এক নাম। সোশ্যাল মিডিয়ার সময়টা ‘জেনারেশন জেড’ এর হলেও ওবায়দুল কাদেরের জনপ্রিয়তা শুধু এই জেনারেশনেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং ছোট-বড়, মধ্যবয়সী মানুষ থেকে শুরু করে লাঠিতে ভর করে হাঁটা বৃদ্ধরা পর্যন্ত সবার ভেতরই হাইপ তৈরি করেছেন ওবায়দুল কাদের। সম্পতি তাঁরই এক ভক্ত টুইট করেছেন, ‘ওবায়দুল কাদের কোনো নির্দিষ্ট সময় কিংবা গোষ্ঠীর নয়। তাকে কোনোভাবেই সময়ের ছকে বাঁধতে পারবেন না। তিনি সকল সময়ের, সকল যুগের…’
তবে বেশকিছুদিন ধরেই ভক্তকূলকে দুশ্চিন্তায় ফেলে রেখেছেন মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। জানা গেছে, ষোলো দিন কেটে গেলেও নতুন ছবি ফেসবুকে আপলোড হচ্ছে না বিধায় মুষড়ে পড়েছেন ভক্তরা। ইতিমধ্যে দেশের কয়েক জায়গায় কালো ব্যাজ পড়ে শোক দিবস পালন হয়েছে, কিছু জায়গায় অবস্থার উন্নতির জন্য হয়েছে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন৷
আজ সোমবার সকাল এগারোটার দিকে হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে এক ভক্ত eআরকি প্রতিনিধিকে বলেন, ‘আমাদের কী হবে! আমরা দিনই বা শুরু করবো কীভাবে! আমাদের যে আর কিছুই রইলো না! সকাল বেলা দিন শুরু করতাম স্যারের ছবি দেখে। যেদিন স্যার ছবি দিতো না সেদিন আগের দিনের ছবি দেখতাম! এমনকি ফোনের ওয়ালপেপারেও স্যারেরই ছবি৷ খুব আপসেট লাগছে। এমন বলা নাই, কওয়া নাই, হঠাৎ করে লোকটা এমন নাই হয়ে যায় কেনো? আমাদের চিন্তা হয় না?’
একটি সাধারণ জরিপে দেখা যাচ্ছে, এ ঘটনায় প্রায় ১৮ লাখ ভক্ত এক নিমিষেই যেন জীবনের আশা, আকাঙখা, বেঁচে থাকার সম্বল সব কিছু হারিয়ে ফেলেছে। কেউ কেউ স্যারের ছবির চিন্তায় এখন স্বাভাবিক জীবনে ফেরত যেতে পারছে না, কনসেন্ট্রেশন ডিফিকাল্টি দেখা দিচ্ছে। অবস্থা আরও খারাপ হলে সারাদেশে জরুরি অবস্থাও বিরাজ করতে পারে বলে গুনগুন শোনা যাচ্ছে। এমতাবস্থায়, কেউ কেউ ধারণা করছেন, ওবায়দুল কাদেরের ফটোগ্রাফার হয়তো ছবি তুলতে তুলতেই অক্কা পেয়েছে। এজন্য স্যার খানিকটা সময় নিচ্ছেন।
এ ধরনের উড়ো খবর শোনার পর প্রেসক্লাবের সামনে হাজার হাজার তরুণের লাইন পড়ে গেছে। এমনকি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা করছিলেন এমন ছাত্রও ইস্তফা দিয়ে দেশে চলে এসেছেন। এ ব্যাপারে মাশরুফ (৩৩) নামের এই যুবক বলেন, ‘জানি বিশ্বাস করবেন না, তবুও বলি, এই যে এত বছর ইউরোপে ছিলাম, ওবায়দুল কাদেরের মতো দ্বিতীয় ব্যক্তির দেখা পেলাম না। উনি আমার জীবনের আইকন। উনার ফটোগ্রাফার হিসেবে বাকি জীবন কাটাতে পারলে আমার জীবনটা সত্যিই সার্থক হবে ….স্যার আপনি যদি এই সঙবাদ পড়ে থাকেন, প্লিজ সাড়া দিন। অন্তত একটা সেল্ফি দিন। এভাবে অগোচরে থাকবেন না। আমরা অনেক মানুষ আপনার চিন্তায় না খেয়ে আছি। স্যার, আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন?’