পুকুরে মাগুর চাষে যা বিবেচনা করা উচিত তা মৎস্য চাষিদের সঠিকভাবে জেনে রাখতে হবে। বর্তমানে অনেকেই তাদের পুকুরে মাগুর মাছের চাষ করছেন। এতে অনেকেই লাভবান হচ্ছেন। তবে মাগুর চাষে অধিক লাভবান হওয়ার জন্য কিছু বিষয় বিবেচনা করা উচিত। আসুন আজকে জানবো পুকুরে মাগুর চাষে যা বিবেচনা করা উচিত সেই সম্পর্কে-
পুকুরে মাগুর চাষে যা বিবেচনা করা উচিতঃ
১। পুকুরে মাগুর মাছ চাষ করার শুরুতেই পুকুর প্রস্তুতকালে শতকে ২ কেজি করে চুন প্রয়োগ করে দিতে হবে। এতে পুকুরের তলায় পচনশীল পদার্থকে সম্পূর্নভাবে পচিয়ে পুকুরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে সাহায্য করবে।
২। পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরী করে মাছ চাষ করতে গেলে মাছের বৃদ্ধি কম হবে ও সময় বেশি লাগবে। কম সময়ে মাগুর মাছ বড় করতে চাইলে মাগুর মাছকে দ্রুত বর্ধনশীল খাদ্য প্রদান করতে হবে। মাগুর মাছ প্রায় সব ধরণের খাদ্যই গ্রহণ করে থাকে।
৩। মাগুর চাষের পুকুরে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরি করার জন্য শুরুতেই শতক প্রতি ৫ থেকে ৬ কেজি কম্পোষ্ট, ২০০ গ্রাম ডিএপি গুলিয়ে পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে। মাগুর মাছের খাদ্য হিসেবে শামুক ভেঙ্গেও খাওয়ানো যাবে।
৪। মাগুর চাষ করার সময় প্রতি শতকে ২৫০টির বেশী পোনা ছাড়া যাবে না। এর চেয়ে বেশি পরিমাণ মাগুরের পোনা শতক প্রতি ছাড়লে মাছের বৃদ্ধি কমে যাবে ও মাছ চাষে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে।
৫। মাগুর মাছ চাষের শুরুতেই মাছের পোনার ওজনের ১২%-১৫% খাদ্য প্রদান করতে হবে। শুরুতেই পরিমাণমতো খাদ্য প্রদান করতে হবে। খুব কম বা খুব বেশি পরিমাণ খাদ্য প্রদান করা যাবে না। ১০ দিন পর পর মাছের খাদ্যের পরিমান ২% করে কমাতে হবে।
আরও পড়ুনঃ কার্প মাছের খাদ্য প্রয়োগে যা করতে হবে
মৎস্য প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার