বাগেরহাটের শরণখোলায় দিন দিন আলু চাষে আগ্রহ কমছে কৃষকদের। উৎপাদিত আলু সংরক্ষণ ও সহজ বাজারজাত করার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় আলু চাষ থেকে সরে আসছেন কৃষকরা। কোল্ডস্টোরেজ স্থাপন এবং দুর্যোগের ক্ষতিপূরণ পেলে আবার আলু চাষে আগ্রহী হবেন বলে জানান তারা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, সিডরের আগেও এলাকায় আলু চাষ হতো। তবে সিডরের পরেই মূলত আলুসহ অন্যান্য ফসল চাষে ঝুঁকে পড়ে চাষিরা। এভাবে ৭-৮বছর গোটা উপজেলায় ১২০ থেকে ১৩০ হেক্টর জমিতে একটানা চাষ হলেও গত ৩-৪ বছর ধরে তা আবার কমতে শুরু করে। দুই বছর আগেও ১২৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। আর এ বছর চাষ হয়েছে মাত্র ৮৫ হেক্টর জমিতে।
কৃষক দুলু তালুকদার বলেন, সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় মাঠ থেকেই কম দামে বিক্রি করতে হয়। এক মণ আলু ৪০০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকা দর কাটে পাইকাররা। তাতে উৎপাদন খরচের পর যা লাভ হয় তাতে পোষায় না। গত বছর দুর্যোগ ও অন্যান কারণে তার একারই প্রায় তিন লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। যে কারণে আলু চাষ কমে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওয়াসীম উদ্দিন জানান, আমরা মাঠপর্যায়ে গিয়ে চাষিদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে আলু চাষে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছি। এখানে কোল্ডস্টোরেজ করা হলে আলুর পাশাপাশি অন্যান্য ফসলও সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।