টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: বিভ্রান্তিকর ক্রিপ্টো-অ্যাসেট প্রচার মোকাবিলা নতুন আইন পাস করা হবে যুক্তরাজ্যে। যদিও যুক্তরাজ্যে ২৩ লাখ মানুষ ক্রিপ্টো ব্যবসায় জড়িত। তবে সরকার চিন্তিত যে, কিছু ভোক্তা না বুঝেই ক্রিপ্টো অ্যাসেট কিনছেন। বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টো মূলত অনিয়ন্ত্রিত। ফলে বিনিয়োগকারীদের জন্য সুরক্ষার জায়গায় বেশ অভাব রয়েছে। ক্রিপ্টো-অ্যাসেট নতুন আইনের আওতায় আসলেও নন-ফাঞ্জিবল টোকেনগুলি নতুন নিয়মের আওতায় থাকছে না।
সরকারের এই নতুন আইন প্রণয়ন পরিকল্পনার ফলে যোগ্যতা অর্জনকারী ক্রিপ্টো আর্থিক আচরণ কর্তৃপক্ষের (এফসিএ) আইনের আওতায় আসবে। এফসিএ-র আইনটি এখন স্টক, শেয়ার এবং বীমা পণ্যগুলির জন্য প্রযোজ্য। ক্রিপ্টো-অ্যাসেট টাস্কফোর্সের ২০১৮ সালের এক রিপোর্ট বলছে, ক্রিপ্টো বিজ্ঞাপন প্রায়ই গ্রাহকদেরকে বাড়তি সুবিধার লোভ দেখায়, তবে এতে কম সতর্কের গ্রাহকরা তাদের বিনিয়োগ হারাতে পারেন। এফসিএ পরবর্তীতে জানায়, “যদিও অনেক বেশি লোক বিনিয়োগ করছে তবুও ক্রিপ্টো-সম্পদ সম্পর্কে জনসাধারণের বোঝাপড়া সন্তোষজনক না।”
চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক বলেছেন, “নতুন নিয়মগুলির ফলে ভোক্তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি ক্রিপ্টো-অ্যাসেট মার্কেটের উদ্ভাবনকেও সমর্থন করবে।” তিনি আরও বলেন, “ক্রিপ্টো-সম্পদ অনেক লোভনীয় নতুন সুযোগ প্রদান করতে পারে। এমনকি গ্রাহককে লেনদেন এবং বিনিয়োগের নতুন উপায় অফার করতে পারে। তবে ভোক্তাদেরকে বিভ্রান্ত করে পণ্য বিক্রি করছে কিনা সেটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।”
সরকার বলেছে, “এটি এখন ক্রিপ্টো-সম্পদগুলির একটি সংজ্ঞা তৈরি করছে যা নতুন নিয়মের অধীনে পড়বে। কিন্তু এতে ‘নন-ফাঞ্জিবল’ টোকেন অন্তর্ভুক্ত থাকবে না।”
সূত্র : বিবিসি/জেডএ
আরও পড়ুন
বছরের শুরুতেই ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে যা ঘটলো
ক্রিপ্টো বিজ্ঞাপন নিষেধাজ্ঞা থেকে সরে আসছে ফেসবুক!