লেখা: মোহাম্মদ ইমাম হোসেন

একের পর এক সুখবর আর অভিনন্দন বার্তায় ভাসছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।  

কিম জং উন ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে স্বৈরাচার সোসাইটির আলোকবর্তিকা আখ্যায়িত করার পর পাল্টাতে থাকে বিশ্ব রাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতি।    

বরাবরের মতোই বিশ্ব রাজনীনিতে নিজেদের এগিয়ে রাখতে চীন সরকারের এক জরুরী সভায় সিদ্ধান্ত হয় চীনের গ্রেট-ওয়ালে র নাম পালটে ফরিদ-ওয়াল রাখা হবে । অসমর্থিত এক ভুয়া সুত্র থেকে আমাদের কাছে তথ্য আসে, চীনের উত্তরাঞ্চলীয় এক কট্টর কমিউনিস্ট নেতার দেয়া প্রস্তাব চীনের নীতি নির্ধারকরা এমন সিদ্ধান্তে ঐক্যমতে আসেন।  

আলোচনায় অংশগ্রহণকারী উচ্চ পর্যায়ের কয়েকজন নেতা মন্তব্য করেন, ‘এই শতাব্দীতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় একনায়কতন্ত্রের একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। পুরো বিষয়টির একমাত্র কৃত্বিতের দাবিদার ফরিদ উদ্দিন। এমন দৃঢ়চিত্তের একনায়ক আমরা আর দেখিনি। এই একনায়ককে নিয়ে দ্রুতই আমরা সিনেমা বানাবো। চারপাশে এত এত নায়ক, ওদেরকে নিয়ে সিনেমা বানাতে আর ভালো লাগে না।’  

অসমর্থিত সূত্রটি আরও জানায়, চীনের গ্রেটওয়াল যেমন দৃঢ়চেতা হয়ে বিশ্ব সভ্যতায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ঠিক তেমনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসভবনে তিনি দৃঢ়চেতা হয়ে লড়ে যাচ্ছেন। এত আন্দোলন, অনশন, চারদিকে এত সমালোচনা ওনাকে নিজের অবস্থান থেকে একচুলও নড়াতে পারছে। দেখে মনে হয় উনি প্যারসুট নারিকেল তেল মাখেন। একদম একচুলও ছাড় নয়। এমন আস্ত একটা জীবন্ত গ্রেটওয়ালকে আমাদের উচিত তার প্রাপ্য স্বীকৃতি দেওয়া। ‘  

যতদূর জানা যাচ্ছে, আগামীকালের মধ্যে এই সংক্রান্ত ফাইলে প্রেসিডেন্ট সিগনেচার করবেন।

এর মধ্যে দিয়ে বাঙালি ইতিহাসে এক নব যুগের সূচনা ঘটবে। এই খবর ছড়িয়ে যাবার পর থেকে চীনে বসবাসকারী বাঙালিদের মধ্যে উৎসবের আমেজ দেখা দিয়েছে। একাধিক প্রবাসী বাঙালি বলেন, ‘আমরা এখন ইচ্ছেমতো গ্রেটওয়ালে উঠে লাফালাফি করবো।‘ এমনও গুঞ্জন উঠেছে,  চলমান করোনা বিধি নিষেধ কিছুটা শিথিল হলে ‘গ্রেটওয়ালে লাফালাফি’ নামে ইভেন্ট খুলবে অজ্ঞাতনামা কয়েকটি ভ্রমণ গ্রুপ।  

এখনো পর্যন্ত ফরিদ উদ্দিনের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, পুলিশ কিংবা ছাত্রলীগ মারফত উনি নিজের মন্তব্য পাঠাবেন। যদিও এমন ধারণায় কিছুটা ভড়কে গেছে চীন সরকার। তারা আতঙ্কে কাঁপতে কাঁপতে বলেন, ‘স্যার, ওদের দিয়ে পাঠায়েন না প্লিজ। ভয় লাগে।’