পুকুরে পরিমিত চুন প্রয়োগের উপকারিতা কি কি তা মৎস্য চাষিদের সঠিকভাবে জেনে রাখা দরকার। প্রাকৃতিক উৎসে মাছের উৎপাদন কমার সাথে সাথে পুকুরে মাছ চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে পুকুরে সঠিক ব্যবস্থাপনা না মানার কারণে অনেকেই লাভবান হতে পারেন না। পুকুরে মাছ চাষে চুন প্রয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসুন জেনে নেই পুকুরে পরিমিত চুন প্রয়োগের উপকারিতা সম্পর্কে-
১। মাটি ও জলের রোগ জীবাণু, ক্ষতিকর কীট পতঙ্গ ও পরজীবী ধংস করে।
২। মাটি ও জলের অম্লীয় ভাব কমিয়ে ক্ষারত্ব ভাব বাড়ায়।
৩। জলের ঘোলাত্ব কমায় ( নেগেটিভলি চার্জড মাটি কণাকে পজিটিভ করে)।
৪। মাটি ও জলের হার্ডনেস ( কার্বনেট ও বাইকার্বনেট) বাড়ায়।
৫। রোগ জীবাণু, ক্ষতিকর কীট পতঙ্গ ও পরজীবীর বংশ বিস্তার রোধ করে।
৬। জলের পিএইচ নিয়ন্ত্রণ করে বাফারিং এর মাধ্যমে নিরপেক্ষ মান বজায় রাখে।
৭। মাছের হাড় ও মাংসপেশী গঠনে সহায়তা করে।
৮। মাছের দেহ পরিষ্কার রেখে রোগ জীবাণুকে দেহে সেঁটে থাকতে দেয় না।
৯। পুকুরের মাটি ও জলের দূষিত পদার্থ শোধন করে।
১০। মাছের খাদ্যের অবশিষ্টাংশকে পঁচতে সাহায্য করে।
১১। মাটির কণাকে ভেঙ্গে ফাটল মুছে ফেলে পুকুরের জল ধারন ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
১২। চুন এটি নিজেই একটি সার হিসাবে কাজ করে;৯। পুকুরের মাটির পুষ্টি ( ফসফেট ) ছাড় করে।
১৩। জৈব পদার্থ ও পেরিফাইটনের সাথে যুক্ত হয়ে তলায় জলের চুয়ানো কমিয়ে দেয়।
১৪। এটি মাছের দেহের উজ্জলতা বাড়িয়ে মাছের বাজার দর বাড়তে সাহায্যকরে।
১৫। এটি বিষাক্ত গ্যাস ( এমোনিয়া সহ) জল থেকে বের করে দেয়।
১৬। প্রয়োগকৃত চুনের প্রায় ৫০% মাছের ওজন হিসাবে ফেরত পাওয়া যায়।
১৪। এটি চিংড়ি ও প্রানি কণার খোলস তৈরিতে প্রয়োজন হয়।
১৫। চুন মাছের মল-মূত্র সহ সব ধরনের বর্জ্য পদার্থ শোধন করে।
১৬। চুন পানিতে অক্সিজেনের প্রবেশাধিকার বাড়িয়ে মাছের শ্বাস কষ্টকে নিশ্চিতভাবে কমিয়ে দেয়।