স্টাফ রিপোর্টার ।।
নগরীর ময়লাপোতা মোড়ে খানজাহান আলী হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় ইলিয়াস ফকির নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পরপরই হাসপাতালের পরিচালক ও চিকিৎসকরা পালিয়ে যান। রবিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইলিয়াস ফকির দাকোপ উপজেলার জয়নগর গ্রামের হাবিবুর রহমান ফকিরের ছেলে।
নিহতের স্ত্রী পারভীন বলেন, ৫ মাস আগে ইলিয়াস ফকিরের হার্নিয়ার সমস্যা হয়। সে সময় তিনি ওই এলাকার গ্রাম্য চিকিৎসককে দেখাতে থাকে। সাথে ঔষধ গ্রহনও করে। তাতে সমাধান না হওয়ায় তিনি নগরীর মোহাম্মাদ নগরের ফার্মাসিস্ট মনির সাথে কথা বলেন। তখন ইলিয়াসকে খানজাহান আলী হাসপাতালে গিয়ে অপারেশন করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী রবিবার দুপুর ১টার দিকে বাড়ি থেকে হাসপাতালে আনা হয়। বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটের দিকে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোস্তফা কামাল, ডা. মোর্শেদ ও ইন্টার্ণী ডা. মোহন রোগীকে অপারেশনের জন্য কক্ষে প্রবেশ করেন। অস্ত্রপ্রচার সফল হয়েছে বলে চিকিৎসকরা রোগীর স্বজনদের জানান। এর কিছুক্ষণ পর ইলিয়াস ফকিরের এক আত্মীয় গিয়ে দেখে তার খিচুনী উঠেছে। রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে নিহতের পরিবারের এক সদস্যকে ডেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দিয়ে ওই হাসপাতালের এক চিকিৎসক সটকে পড়েন। এ ঘটনায় পুলিশ হাসপাতালের হিসাব রক্ষক ও একজন সেবিকাকে আটক করেছে।
স্টাফ রিপোর্টার
নগরীর নতুন রাস্তা মোড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ সময় তাঁর সহযাত্রীও আহত হন। নিহত আরোহীর নাম প্রশান্ত কুমার বালা (৪০) এবং আহতের নাম সুজিত বিশ্বাস (২৫)। তারা উভয়েই গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার বাসিন্দা। রবিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, খুলনা শহর থেকে একটি ট্রাক ও মোটরসাইকেল নতুন রাস্তার দিক থেকে দৌলতপুরের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় মোটরসাইকেলটির সামনে পথচারী চলে আসায় পিছলে ট্রাকের তলায় চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল চালক প্রশান্ত বালা নিহত ও সুজিত বিশ্বাস আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
দৌলতপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান জানান, পথচারীকে বাঁচাতে গিয়ে মোটরসাইকেলটি ট্রাকের নিচে চলে গেলে দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রাকের চালক পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
স্টাফ রিপোর্টার
মহানগর পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে নগরীর বিভিন্ন থানা এলাকা হতে ৩০০ গ্রাম গাঁজা ও ৪০ পিস ইয়াবাসহ দু’মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন নগরীর টুটপাড়া সার্কুলার রোডের মো. জাহাঙ্গীর মোল্লার ছেলে মো. বাপ্পি মোল্লা (২৪) ও খালিশপুর রাজধানীর মোড়ের আব্দুল সোবহান হাওলাদারের ছেলে মো. হাসান হাওলাদার (২১)।
কেএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. কামরুজ্জামান পিপিএম জানান, গত ২৪ ঘন্টায় নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এসময় এসময় ৩০০ গ্রাম গাঁজা ও ৪০ পিস ইয়াবাসহ দু’মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্টাফ রিপোর্টার
জেলার ডুমুরিয়া ও বটিয়াঘাটা থানা এলাকায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের খুলনা জেলা কার্যালয়। রবিবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ২৩টা পর্যন্ত অভিযানে জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক শিকদার শাহীনুর আলম এ জরিমানার আদেশ প্রদান করেছেন।
বাজার তদারকিকালে ডুমুরিয়া বাজারের ঝর্ণা ফার্মেসীকে মূল্যবিহীন ও প্রচুর মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণের অপরাধে ১০ হাজার টাকা ও কৃষি ভান্ডারকে মেয়াদ উত্তীর্ণ সার /কিটনাশক বিক্রির অপরাধে ৩ হাজার টাকা এবং বটিয়াঘাটার কৈয়া বাজারের প্রান্ত ঘোষ ডেয়ারীকে মূল্য তালিকা নেই, নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি তেরি ও সংরক্ষণের অপরাধে ৩ হাজার টাকা ও জনতা ফার্মেসীকে মূল্যবিহীন ও প্রচুর মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয়ের জন্য সংরক্ষণের অপরাধে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ অভিযানে সকলকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুসারে ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যাবলী হতে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মূল্য তালিকা প্রদর্শন, ক্রয়/বিক্রয় রশিদ সংরক্ষণ করতে অনুরোধ জানানো হয় এবং সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ করা হয়। এই তদারকিমূলক অভিযানে সার্বিক সহায়তা করেন ৩ এপিবিএন, শিরমনি, খুলনা, কৃষি বিপনন কর্মকর্তা ও ক্যাব প্রতিনিধি, খুলনা। জনস্বার্থে এ তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
খবর বিজ্ঞপ্তি
চরমোনাইয়ের নমুনায় তিন দিনব্যাপী বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল নগরীর গোয়ালখালি জামেয়া রশীদিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে গত ২০ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার বাদ জোহর শুরু হয়ে গতকাল ২৩ জানুয়ারী রবিবার বাদ ফজর আখেরি বয়ান ও মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিল সমাপ্ত হয়।
চরমোনাইয়ের পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম মাহফিলের সমাপনী দিনে আখেরি বয়ানে বলেন, জীবনের সর্বক্ষেত্রে আল্লাহপ্রদত্ত শরীয়ত ও রাসূলে খোদার (সা.) তরীকা অনুসরণ না করে অলী হওয়া যায় না। অনেকে মনে করেন, শুধু তসবিহ-তাহলিল ও পীর-মুরীদী করলেই অলী হয়ে যাবেন। সমাজ, রাষ্ট্র, বাণিজ্যসহ সর্বক্ষেত্রে আল্লাহ ও তার রাসূলের (সা.) জীবনাদর্শ পুরোপুরি মানতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম মানবতার ধর্ম। ইসলামের নামে বিশৃঙ্খলা করার সুযোগ এখানে নেই। দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্যে চক্রান্ত চলছে। পূজামন্ডপে মন্দিরে হামলা, হিন্দুদের বাড়ী ঘরে হামলায় ইসলামপন্থিরা জড়িত তা প্রমাণ করতে পারেনি। তারপরও সেইসূত্র ধরে ত্রিপুরা রাজ্যে মুসলমানদের বাড়ী ঘর, দোকানপাট ও মসজিদে হামলা এবং মুসলমানদের উপর জুলুম নির্যাতন করা হচ্ছে। ওই মহলটি দেশে ইসলামী রাজনীতি বন্ধের চক্রান্ত করছে। রাসূল (সা.) এর আগমনের পূর্বে বিশ্বব্যাপী এক মহাপরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। সমাজ ও রাষ্ট্রের সকলক্ষেত্রে রাসূল (সা.) এর আদর্শ প্রতিষ্ঠা ছাড়া শান্তি আসবে না।
পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন আমরা মদীনার সনদে রাষ্ট্র চালাবো। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তিনি তা ভুলে গেছেন। মদিনা সনদে বিচার ফায়সালা এবং আইন ছিল আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলের। মানুষের মনগড়া আইন মদিনা সনদ স্বীকৃতি দেয় না। পীর সাহেব চরমোনাই মানুষের নাগরিক ও ভোটাধিকার সহ সকল অধিকার ফিরে পেতে হলে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে ফিরে আসার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি খুলনা জেলার ব্যবস্থাপনায় তিন দিনব্যাপী চরমোনাইর নমুনায় মাহফিলে বয়ান করেন পীর সাহেব চরমোনাই রহ. এর খলিফা ও নায়েবে আমীরুল মুজাহিদীন মুফতী সৈয়দ মোঃ ফয়জুল করিম শায়েখে চরমোনাই, হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল, অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ, মুফতী সৈয়দ ইসহাক মোঃ আবুল খায়ের, আল্লামা মুফতি ফরিদ উদ্দিন আল মোবারক, চেয়ারম্যান আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল মজিদ, মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী, বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটির সেক্রেটারী জেনারেল খন্দকার গোলাম মওলা, মুফতি নেয়ামতুল্লাহ আল ফরিদী, মাওলানা আলী আজাদ, মুফতী ওমায়ের হোসাইনী, মুফতী গোলামুর রহমান, হাফেজ মোসতাক আহমেদ, মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহ, মাওলানা মেজবাহ উদ্দিন, মুফতী রশিদ আহমদ, মুফতী আব্দুল্লাহ ইয়াহহিয়া, মুফতী রবিউল ইসলাম, মাওলানা আরিফুর রহমান, মুফতী আব্দুর রহমান।
চরমোনাই নমুনায় তিন দিনব্যাপী মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন হযরত মাওলানা ফরিদ আহমদ, মুফতী মাহবুবুর রহমান গওহরী, মাওলানা মনিরুজ্জামান, মাওলানা জাহিদুর রহমান, মুফতী ওমর ফারুক নুরী, আলহাজ্ব আব্দুল গনি জমাদ্দার, শেখ হাসান ওবায়দুল করিম, মাওলানা আব্দুস সাত্তার হামিদী, মুফতী আবু রায়হান, আলহাজ্ব মুফতি আমানুল্লাহ, অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরান, শেখ মোঃ নাসির উদ্দীন, হাফেজ আসাদুল্লাহ আল গালিব, আব্দুল্লাহ-আল-নোমানসহ বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরামবৃন্দ।
খবর বিজ্ঞপ্তি
২৩ জানুয়ারি (রবিবার) সকাল ১০ টায় কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের আংটিহারা গ্রামে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স এর আয়োজনে, ব্রেড ফর দ্যা ওয়ার্ল্ড এর আর্থিক সহযোগিতায় এবং রেনেটা বাংলাদেশ লিমিটেড এর কারিগরি সহযোগিতায় জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে ক্ষতিগ্রস্থ উপকূলবাসীর জন্য দিন ব্যাপী বিনামূল্যে স্ত্রীরোগ ও মাতৃসাস্থ্য সেবা ক্যাম্প পরিচালিত হয়।
স্বাস্থ্য সেবা নিতে দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নে সুবিধা বঞ্চিত নারীরা স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেন। উক্ত স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্পটির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ইউপি সদস্য রেহানা পারভীন, আরও উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম খাঁন, সমাজ কল্যান যুব সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সায়ফুর রহমান, সদস্য মাসুম করীম, রেনেটা লিমিটেড এর প্রতিনিধি উৎপল কুমার মন্ডল, লিডার্স এর মনিটরিং অফিসার রনজিৎ কুমার মন্ডল, রোগী দেখেন, ডাঃ তানিয়া সুলতানা, এমবিবিএস, পিজিটি (গাইনী এন্ড অবস)।
উক্ত মাতৃস্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতি বলেন “লবনাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় নারীরা বিভিন্ন রোগে আগের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। আমাদের এখানে ভাল ডাক্তার না থাকায় এবং উপজেলা শহর অনেক দূরে ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ায় নারীরা এসব সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। লিডার্স নারীদের স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
মোংলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বাবা ও ছেলেকে কুপিয়ে-পিটিয়ে মারাত্নক জখম করেছে প্রতিপক্ষ গ্রুপ। রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের আন্ধারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন রুহুল আমিন শেখ (৬০) ও তার ছেলে রুবেল শেখ (২৫)। রাতেই গুরুতর অবস্থায় তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মোংলা থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মোঃ আকরামুল হক বলেন, আহতদের অবস্থা গুরুতর, তাই উন্নত চিকিৎসা নিতে বলেছি। এ ঘটনায় পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আহত রুহুল আমিন শেখের ছোট ভাই তোতা শেখ বলেন, স্থানীয় ইউপি মেম্বর আজমল শেখের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষ মিজান ও মঞ্জু তার বড় ভাই এবং বড় ভাইয়ের ছেলে রুবেলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। পরে এলাকার লোকজন এসে তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় প্রেরণ করে। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বর আজমল শেখ বলেন, ঘটনার সময় আমি এলাকায় ছিলাম না, পরে এসে শুনেছি।
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উল আলম হিরন ও শরীফ আব্দুল হান্নান ‘৭৫ পরবর্তী সময়ে দলকে সুসংগঠিত করতে আজীবন কাজ করেছেন। নিজেদের ভাগ্যেন্নয়নে কাজ না করে আমৃত্যু মানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন। বিএনপি-এরশাদের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে হুংকার দিয়ে রাজপথে থেকে রাজনীতি করেছেন। তারা ছিলেন বিএনপি-এরশাদ স্বৈরাচারের আতংক। তারা রাজপথের সাহসী যোদ্ধা, রাজপথই ছিল তাদের ঠিকানা।
তিনি আরো বলেন, হিরন ও হান্নান এমন ত্যাগী নেতা ছিলেন যে তারা নিজেদের হাতের ঘড়ি-আংটি বিক্রি করে সংগঠন চালাতেন। তাদের ত্যাগ ও চিন্তা চেতনাকে লালন করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথে জননেত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।
রবিবার বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র প্রার্থী ও সাবেক ছাত্রনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উল আলম হিরন এবং খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ আব্দুল হান্নান এর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্বরণ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময়ে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ শহিদুল ইসলাম, খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম সানাউল্লাহ নান্নু, সোনাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমেদ আশা। মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, শেখ ফারুক আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, বীরেন্দ্র নাথ ঘোষ, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, শেখ নুর মোহাম্মদ, এ্যাড. সাইফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, এস এম আকিল উদ্দিন, মো. আমির হোসেন, মোতালেব মিয়া, রনজিত কুমার ঘোষ, মীর বরকত আলী, মো. সফিকুর রহমান পলাশ, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, এ্যাড. রাবেয়া ওয়ালী করবী, আইরিন চৌধুরী নীপা, কাউন্সিলর সাহিদা আক্তার, তোতা মিয়া ব্যাপারী, বাদল সরদার বাবুল, এমরানুল হক বাবু, মীর মো. লিটন, মো. সিহাব উদ্দিন, পারভীন ইলিয়াছ, সমীর কৃষ্ণ, মোফাজ্জল হোসেন মিন্টু, সেলিম শেখ, মো. আব্দুল কাদের, কবির পাঠান, মো. জিলহজ্জ হাওলাদার, মো. আলমগীর মল্লিক, আইউব আলী খান, নাছরিন আক্তার, নাসরিন ইসলাম তন্দ্রা, আফরোজা জেসমিন বিথী, রেজওয়ানা প্রধান, রেখা খানম, মেহজাবিন খান, মো. শহীদুল হাসান, ইলিয়াছ হোসেন লাবু, বাদশা মিয়া, জব্বার আলী হীরা, জহির আব্বাস সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
স্মরণ সভা শেষে মরহুম শরীফ আব্দুল হান্নান ও মাহবুব উল আলম হিরনের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। একই সাথে মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হায়দার আলী ও যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শেখ ফারুক হাসান হিটলুর সুস্থ্যতা কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি মো. রফিকুল ইসলাম ও হাফেজ মো. আব্দুর রহিম।
খান নাজমুল হুসাইন, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় আদালতের আদেশ অমান্য করে এ এস আই লিটনের নির্দেশে জমিতে দোকানঘর নির্মাণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা জেলার পাটকেলঘাটা থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের প্রয়াত ছলেমান শেখ এর ছেলে গোলাম মোস্তফা শেখ (৭৫) ৫৮১ দাগে ৬২ শতক জমির মধ্যে গত ইং ০৫.০১.১৯৯৫ তারিখে ১২১ নং রেজিস্ট্রি কবলা মূলে ৬ শতক জমি একই গ্রামের প্রয়াত ছৈয়দ আলীর ছেলে জবেদ আলীর নিকট থেকে ক্রয় করেন । এছাড়া পৈত্রিক সূত্রে গোলাম মোস্তফা গং ৪৬৭, ৪৬৮,৪৬৯,৪৭০,৫৮১ দাগে ০১ একর ৩৮ শতক জমির মধ্যে ৮৬ শতক জমি প্রাপ্ত হয়ে স্ব স্ব দখলীয় জমিতে বাড়িঘর নির্মাণ, পুকুর খনন এবং বৃক্ষরোপন করে শান্তিপূর্ণভাবে ৫০ বছর যাবৎ বসবাস করে আসছিলেন। বসবাস করার এক পর্যায় পাঁচপাড়া গ্রামের প্রয়াত ছবেদ আলী গাজীর ছেলে জিয়ারুল ও মোঃ রেজাউল, আমিরুল সহ একই গ্রামের বাবর আলী’র পুত্র রজব আলী এবং রজব আলীর পুত্র মোজাফফার , মৃত জবেদ আলী গাজীর পুত্র জাহাঙ্গীর গাজী, প্রয়াত বরকত আলী গাজী’র পুত্র কুদ্দুস গাজী সম্মিলিতভাবে উক্ত তফশীল বর্ণিত সম্পত্তিতে গত ২৭/০৯/২১ ইং তারিখে দুই দফায় দখল করার চেষ্টা করে। এসময় গোলাম মোস্তফা ও স্থানীয়রা দখলে বাঁধা প্রদান করায় জিয়ারুল বাহিনী দখলে ব্যর্থ হয়। এর প্রেক্ষিতে গোলাম মোস্তফা গত ইং ৩০/০৯/২১ তারিখে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ অতিঃ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারা দায়ের প্রার্থনা করেন। সে মতে বিজ্ঞ আদালত ফৌজদারী কার্যবিধি মতে যাহাতে শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট না হয় সে আলোকে বিজ্ঞ আদালত ১৪৫ ধারায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে চেয়ারম্যান মেম্বররা মিমাংসার চেষ্টা করলে তা ব্যর্থ হয়। ব্যর্থ হওয়ার এক পর্যায়ে এ এস আই লিটনের নির্দেশে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে বাঁশ পুঁতে টিনের চাল ও ঘেরাবেড়া দিয়ে দোকান ঘর নির্মাণ করে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করে বলেন, “ পাটকেলঘাটা থানার এ এস আই লিটন আমার কাছ থেকে জমি যাতে বেদখল না হয় সেজন্য নগদ ১০ হাজার টাকা গ্রহণ করে। পরবর্তীতে জিয়ারুল গং এর কাছ থেকে এ এস আই লিটন মোটা অংকের টাকা গ্রহণ করে । এবং তারই নির্দেশে গত ২২/০১/২২ ইং তারিখে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে জিয়ারুল গং আমার জমিতে দোকান ঘর নির্মাণ করে। দোকান ঘর নির্মাণের বিষয়ে আমি এ এস আই লিটনকে জানালে তিনি বলেন আদালতে করা ১৪৫ এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। আপনি থানায় এসে একটি অভিযোগ করেন।” গোলাম মোস্তাফা আরোও বলেন, এ ঘটনায় আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে জিয়ারুলের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে ১৪৫ ধারা উপেক্ষা করে দোকানঘর নির্মাণের চেষ্টার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ স্থানীয়দের সালিশ মিমাংসার পরে পাটকেলঘাটা থানার এএসআই লিটনের নির্দেশে দোকানঘর নির্মাণ করেছি।”
এ বিষয়ে পাটকেলাঘাটা থানার এ এস আই লিটন এর কাছে মুঠোফোনে আলাপকালে মোস্তফার কাছ থেকে টাকা গ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রশ্নবিদ্ধ হন। শান্তিপূর্ণভাবে স্ব স্ব এবং জিয়ারুল এর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা গ্রহণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,“ না আমি টাকা নেইনি।” তবে ১৪৫ ধারা থাকা স্বত্ত্বেও এবং দখলের বিষয়ে অবহিত করার পরেও কেন তিনি থামাননি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন থানায় যদি আবার কোন অভিযোগ দেয় বা আদালতের কোন নির্দেশনা আসে তখন তাদেরকে আটক করব।
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু বলেছেন, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি সারাদেশে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে সরকার। সরকারের এসব কার্যক্রম গ্রাম ও শহরের মধ্যে শিক্ষার সুযোগ ও গুণগত মানের পার্থক্য হ্রাসে ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার নতুন ভবন নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ করছে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে প্রাথমিকে প্রায় শতভাগ ভর্তি, শিক্ষায় লিঙ্গ সমতা এখন বিশ্বের কাছে উদাহরণ। বছরের প্রথম দিনে দশম শ্রেণি বা সমমান পর্যন্ত বিনামূল্যে নতুন পাঠ্যবই বিতরণেও বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল। গত শনিবার বিকালে কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুরের নোয়ানীতে এন,এ,জি,ডি কান্তরাম মেমোরিয়াল ইউনাইটেড একাডেমির নব-নির্মিত বহুতল ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এন,এ,জি,ডি কান্তরাম মেমোরিয়াল ইউনাইটেড একাডেমির সভাপতি গোপাল চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক শাহানেওয়াজ শিকারী, উপজেলা আ’লীগের সদস্য কপিল মাস্টার, প্রকৌশলী আকরাম হোসেন, আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাবু, জেলা যুবলীগ নেতা শামীম সরকার, অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষক ব্রজেন্দ্রনাথ মন্ডল, আ’লীগ নেতা দূর্গাপদ মন্ডল, পলাশ কান্তি জোয়ার্দার, জেলা ছাত্রলীগের উপ-সম্পাদক মনিশংকর মন্ডল, ইউপি সদস্য গনি মোড়ল, মহাশিষ সরদার, মনি রায়, আলমগীর, ডাবলু, খোকন, সাবেক ইউপি সদস্য ভবতোষ, ছাত্রলীগ নেতা তুহিন, রিপন, অজিত মন্ডল প্রমুখ।
খবর বিজ্ঞপ্তি:
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরন করেন খুলনা জেলা ছাত্রলীগের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোঃ রাসেল। রবিবার সন্ধ্যায় নগরীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে অসহায়দের মাঝে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করেন তিনি।
এসময় শেখ মোঃ রাসেল বলেন –আমরা বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এই ছাত্র সংগঠনের কার্যক্রমকে তারই আদর্শে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সবসময়ই গরীব মেহনতী মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে। তারই ধারাবাহিকতায় এই সংগঠনের ৭৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছি। এসময় তিনি আরও বলেন বিগত সময়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অক্সিজেন সেবা, অ্যাম্বুলেন্স সেবা, মাস্ক বিতরন, বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, লাশ দাফন, মেডিকেল টিম সহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ভবিষ্যতে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রনেতা জুলকার নাইম, হিমেল রাব্বি সোহান,নির্ঝর সজীব, মিঠুন মন্ডল, রিয়াজুল ইসলাম,হিমেল রাব্বি শিপান প্রমুখ।
আশাশুনি প্রতিনিধি
আশাশুনির শ্রীউলা ইউনিয়নে সাংবাদিক শ্যামল বিশ্বাসের ভিটেবাড়ির জমিতে জবর দখলের চেষ্টা পুলিশী হস্তক্ষেপে বন্দ হয়েছে। শনিবার নছিমাবাদ গ্রামের মৃত নূরালী গাজীর ছেলে রুহুল আমিন জবর দখলের চেষ্টা চালান।
নাকতাড়া গ্রামের সিদাম বিশ্বাসের পুত্র সাংবাদিক শ্যামল বিশ্বাস তার ঠাকুর দাদার আমল থেকে বংশ পরম্পরায় মাড়িয়ালা মৌজায় বিএস ১১৭৬ নং খতিয়ানের জমিতে বসবাস করে আসছেন। তাদের বসতভিটার পাশে মাড়িয়ালা মৌজায় বিএস ১১৭৬ নং খতিয়ানে ৩১৩১, ৩০৭২ ও ৩০৮০ দাগে ৫.৪১ একর জমির মধ্যে ২১ শতক জমি হাজরাখালী গ্রামের মৃত আত্তাপ গাজীর ছেলে আঃ হামিদ গাজীর নিকট থেকে তিনি ও তার ভাই সুমন বিশ্বাস ১৫/৭/২১ তাং ১৮৮৩ নং রেজিঃ কোবালা দলিলে ক্রয় করেন। উভয় জমিতে শান্তিপূর্ণ ভোগদখলিকার থাকা অবস্থায় রুহুল আমিন ঐ জমিতে তাদের অংশ আছে দাবী করে জবর দখলের চেষ্টা করে আসছে। শ্যামলের কাকা সুবল চন্দ্র বিশ্বাস জনৈক নির্মল পরামানিক ও রামপদ পরামানিকের নিকট থেকে একই দাগের জমি ২০০০ সালে ক্রয় করেন এবং ১১/২/২১ তাং তিনি রুহুল আমিনের কাছে ৭৭৪ নং দলিলে বিক্রয় করেন। অথচ দ্বাতা নির্মল ও রামপদ নামে কেউ এসএ রেকর্ডের মালিক নন এবং এমন কোন ব্যক্তিকেও তারা চেনেনা বলে জানান। বিধায় দলিলটি তঞ্চকিকতাপূর্ণ বলে দাবী করেন। অন্যদিকে শ্যামল বিশ্বাস এসএ মালিক মাদারের ওয়ারেশসূত্রে জমির মালিক এবং এসএ মালিকের থেকে ক্রয়কৃত জমির মালিক হামিদ গাজীর থেকে তিনি ও তার ভাই নিজেরা জমি ক্রয় করে দখলিকার আছেন।
এব্যাপারে শ্যামল বিশ্বাস সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশাশুনি বরাবর পুনঃ বিচারের জন্য আপীল করেছেন। এতকিছু স্বত্তেও রুহুল আমিন আইন আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষা না করে শনিবার ভাড়াটিয়া লোকজন, দখলের কাজে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে দখল চেষ্টা করলে পুলিশী হস্তক্ষেপে বন্দ হয়ে যায়। শ্যামল ও তার পরিবার জবর দখল চেষ্টাকারীদের অন্যায় তৎপরতায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। বিষয়টি যথাযথ ভাবে নজরে নিয়ে আইন শৃংখলা রক্ষা ও প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক শ্যামল, তার বৃদ্ধ পিতামাতা ও পরিবারের সদস্যরা।
আশাশুনি প্রতিনিধি
আশাশুনির বুধহাটা বাজারে একই রাতে ৫ দোকান ও এনজিও অফিসের ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী চুরি হয়েছে।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে বাজারের করিম সুপার মার্কেটে এ চুরির ঘটনা ঘটে। প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার রাতে ব্যবসায়ীরা ও এনজিও অফিস বন্ধ করে চলে যায়। রাতের কোন এক সময় চোরেরা এনজিও বন্ধু কল্যাণ ফাউন্ডেশন, খোকন এর চা’র দোকান, আরিফুলের মাংসের দোকান, মামুনের চা’র দোকান ও আজিজুলের চা’র দোকানের অনেকগুলো বাল্ব ও হোল্ডার চুরি করে নিয়ে যায়। প্রতিদিন রাতে বাজার ও করিম সুপার মার্কেটে পাহারাদার পাহারা দিয়ে থাকে। পাহারাদার থাকার পরও চুরির ঘটনা ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বাজারে নতুন কমিটি গঠনের পর দীর্ঘ এক বছরে নিয়মিত পাহারার ব্যবস্থা করায় বাজারে চুরির ঘটনা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
সম্প্রতি কমিটির সদস্যদের মধ্যে মতভেদের সৃষ্টি হওয়ায় সামগ্রিক পরিবেশে এর প্রভাব পড়েছে। এরই মধ্যে একরাতে ৫ প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ব্যবসায়ীদেরকে হতাশ করে তুলেছে।
চুরির ঘটনা তদন্ত পূর্বক চোর শনাক্ত করে পুনরায় চুরি প্রতিরোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ব্যবসায়ী ও সচেতন মহল।
আশাশুনি প্রতিনিধি
আশাশুনিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২ নং পোল্ডারের ডিভিশন- ১ এর মরিচ্চাপ নদীভূক্ত জমি বাদ রেখে এসএ-বিআরএস রেকর্ডীয় ব্যক্তি মালিকানাধীন ধান ও মাছ চাষের জমি খনন বন্ধ দাবীতে জানিয়েছেন জমির মালিকরা। এব্যাপারে রবিবার (২৩ জানুয়ারী) উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
বুধহাটা ইউনিয়নের কুঁন্দুড়িয়া গ্রামের মৃত অনন্ত কুমার মণ্ডলের ছেলে আদিত্য মণ্ডল, চয়ন মণ্ডল, অজয় মণ্ডল, উদয় কৃষ্ণ মণ্ডল, রমেশ পরামান্য ও এড. গোপাল মণ্ডল লিখিত আবেদন ও সাংবাদিকদের জানান, মরিচ্চাপ নদী খনন কার্যক্রম চলছে কিন্তু এসএ ও বিআরএস ১নং খতিয়ানে নদীভূক্ত সম্পত্তিতে নদী খনন না করে সরকারি সম্পত্তিতে অবৈধভাবে মৎস্যচাষ করা ব্যক্তিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তাদের নিজস্ব রেকর্ডীয় সম্পত্তি কেটে নদী করে দিচ্ছেন নদী খননকারী কমিটি। আবেদনকারী আদিত্য মণ্ডল জানান, চুমুরিয়া ও কুন্দুড়িয়া মৌজার এসএ- ২০, ১২ ও ১৮ নং খতিয়ানের মধ্যে এসএ – ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৮, ১০, ১১, ১২, ১২, ১৪, ৮৫সহ অন্য দাগের বিআরএস ৪৯ নং খতিয়ানে ৫.৪১ একর সম্পত্তি ওয়ারেশ সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে জমিতে ধান ও মাছ চাষ করে আসছি। জমির পশ্চিম পাশে নদীভূক্ত সরকারের ১ নং খাস সম্পত্তি রয়েছে। নদী ভরাটের পর পশ্চিম পাশে বসবাসকারীরা তাতে মাছ চাষ করে ভোগ দখলে আছেন। নদীর নাব্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নদীভূক্ত জমিতে খনন কাজ চলবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু খনন কমিটি নদীভূক্ত জমি খনন না করে পশ্চিম পাশের অবৈধভাবে দখলবাজদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে খনন কার্যক্রম চালাচ্ছে। নিরুপায় হয়ে আমরা বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান ইঞ্জি. আ ব ম মোছাদ্দেককে অবহিত করলে তিনি স্থানীয় মেম্বর মতিয়ার রহমানকে সরজমিন তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেন। মেম্বর তদন্ত করে দেখেন প্রকৃত নদীভূক্ত জমি খনন না করে আবেদনকারীদের (আমাদের) জমি খনন করা হচ্ছে। মেম্বরের মাধ্যমে বিআরএস জরিপের কাগজপত্র দেখার পর খনন কমিটি কিছুদিন খনন কাজ বন্ধ রাখেন। কিন্তু পরবর্তীতে আবার কাজ শুরু করেছেন। এভাবে চলতে থাকলে ওই জমিটুকু হারিয়ে আমাদের দেশত্যাগ করতে হবে।
সাতক্ষীরা সদরের জোড়দিয়া গ্রামের কেফায়েতুল্যাহ’র ছেলে আব্দুল মান্নান জানান, জোড়দিয়া মৌজার এসএ ৩২১ এর সাবেক ১২৭৮ দাগের হাল ৪৪৯৪ ও ৪৪৯৬ নং দাগে আমাদের ২.২৩ একর ও কুন্দুড়িয়া মৌজায় ৫১ নং এসএ এর সাবেক ৭ ও ৯ নং খতিয়ানের হাল ১০৫ দাগের ১৭ নং ডিপিতে ১.২০ একর রেকর্ডীয় সম্পত্তি রয়েছে। খনন কমিটির লোকজন তাদের ফ্লাগ পোতা নিশানা পর্যন্ত না খুড়ে পশ্চিম পাশের অবৈধভাবে দখলবাজদের কাছে টাকা খেয়ে অবৈধভাবে আমার রেকর্ডীয় জমি খুড়ে নদী করে চলেছেন। আমার শত অনুরোধ না শোনায় বিজ্ঞ আদালতের স্মরনাপন্ন হয়েছি।
জোড়দিয়া গ্রামের হামিদ সরদারের ছেলে আকবর আলী জানান, ব্যাংদহ মৌজায় ৮১ নং খতিয়ানের ২৪৫ দাগে আমার ক্রয়কৃত ৮৩ শতক জমির ১৪২৮ সন পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করে জমিতে সবজি চাষ, নার্সিং পয়েন্ট ও পাকা দোকান ঘর করে ব্যবসা করছি। খনন কমিটি বেআইনিভাবে আমার জমি খনন করে যাচ্ছেন।
এছাড়া কুন্দুড়িয়া গ্রামের শরৎ মণ্ডলের ছেলে নিধু ভূষণ গংএর কুন্দুড়িয়া মৌজায় এসএ ১৫১ খতিয়ানের হাল ১৯৮ খতিয়ানে ২.৫৮ একর, বিহারী লালের ছেলে বিরেন্দ্র নাথ মণ্ডলের এসএ ৫১ খতিয়ানের সাবেক ২৫৪ দাগের হাল ১০৫ দাগে ৫৫ শতক, একই মৌজায় ধ্রুবপদ পরামান্যর স্ত্রী বাসন্তী রানী এসএ ৮৩ খতিয়ানের ১৩, ১৭ সহ ১২টি দাগে ২.৫১ একর জমি, একই মৌজায় ৮৩, ৮৫, ৮৬ নং এসএ খতিয়ানে আব্দুল মান্নান, গোপাল সরকার গং ও রমেশ গং এর খরিদা সূত্রে ২.৪৫ একর সম্পত্তিতে ধান ও মাছ চাষ করে আসছেন। কিন্তু খননকারীরা অন্যের কাছে টাকা নিয়ে রেকর্ডীয় জমির মালিকদের জমি খনন করে তাদের নিঃস্ব করে চলেছেন। ভূক্তভোগীরা আবেদনের অনুলিপি বিভাগীয় কমিশনার খুলনা, অতিঃ বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) খুলনা, অতিঃ জেলা প্রশাসক (এলএ) সাতক্ষীরা বরাবর প্রেরণ করেছেন।
চুমুরিয়া ও কুন্দুড়িয়া মৌজার নালিসি সম্পত্তির পাশে নদীভূক্ত জমিতে খনন না করে বেআইনীভাবে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে নদী খনন বে-আইনি হওয়ায় নদী খনন কমিটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উক্ত দরখাস্তে সুপারিশ করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম। একই সুপারিশ করেছেন বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জি. আ ব ম মোছাদ্দেক।
বুধহাটা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মাহাবুবুল হক ডাবলু জানান, সরজমিনে আমি নালিসি এলাকা পরিদর্শন করেছি। কাগজপত্র ও জমির ম্যাপ দেখে বুঝেছি যে নদীভূক্ত জমিতে খনন না করে নদী খনন কমিটি বা ঠিকাদারের লোকজন পশ্চিমপাশ থেকে যারা টাকা দিচ্ছেন তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে রেকর্ডীয় সম্পত্তি নির্বিচারে খনন করে চলেছেন। আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাতক্ষীরা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ ও কয়েকজন দায়িত্বরত এসও’র সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চাইলে তারা তালবাহানা করে পিছিয়ে যায়। আমি সমস্ত রকম অনৈতিক কার্যক্রম থেকে দুরে থেকে বিধি মোতাবেক নদী খনন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। স্থ’ানীয় মেম্বর মতিয়ার রহমান জানান, ২০১৯ সাল থেকে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুসহ অন্যদের রেকর্ডীয় সম্পত্তি রক্ষা করতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। এর আগেও বিষয়টি নিয়ে ১১/১২/২০১৯ তারিখে ক্ষতিগ্রস্ত ২৬৫ ব্যক্তির স্বাক্ষর নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর দরখাস্ত করেছিলাম। ১৫/১২/২০১৯ তারিখে রেভিনিউ কালেক্টর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য পত্র প্রেরণ করেন। কিন্তু বর্তমানে যারা কর্মরত আছেন তারা কোন কিছুরই তোয়াক্কা করেন না। কিছু বললেই তারা চাঁদাবাজী মামলাসহ সরকারী কাজে বাঁধা দেওয়ার মামলা করার হুমকি দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ডিভিশন-১ এর কর্ত্যবরতরত পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও মো. রনি এর সাথে তার ব্যবহৃত (০১৭১৪-৬৩২৩৫৮) মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
পাইকগাছা প্রতিনিধি।।
পাইকগাছা উপজেলা নার্সারী মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১০ টায় উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী গদাইপুর বাজার চত্তরে শিক্ষক শিব শংকর রায় এর সভাপতিত্বে ও আকরামুল ইসলামের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন গদাইপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়া, স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সমিতির সভাপতি আক্তারুল ইসলাম আক্তার, উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মোঃ আনিসুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার পাল, ইউপি সদস্য শেখ হারুন অর রশীদ হিরু,আবু সালেহ মোহাম্মদ ইকবাল, কামাল সরদার, শিক্ষক অনিল কৃষ্ণ সরকার,শিক্ষক বিমল ঘোষ,আব্দুল ওহাব,কোষাধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান, নির্বাহী সদস্য মিজানুর রহমান, আল আমিন প্রমুখ। সভা শেষে সমিতির সদস্যদের মাঝে পুরুষ্কার বিতরন করেন অতিথিরা।
খবর বিজ্ঞপ্তি
মেয়র কাপ কিশোরী ফুটবল টুর্ণামেন্টের ২য় দিনে (রবিবার) দু’টি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুর ২টায় ‘মধুমতি’ দলের সাথে ‘ভৈরব’ দল এবং বিকাল সাড়ে ৩টায় ‘কপোতাক্ষ’ দলের সাথে ‘হরিণটানা’ দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
খেলায় মেয়র প্যানেলের সদস্য (সংরক্ষিত আসন নং-০৫) মেমরী সুফিয়ার রহমান শুনুর নেতৃত্বাধীন ‘ভৈরব’ দল, প্রতিপক্ষ সংরক্ষিত আসন নং-৪ এর কাউন্সিলর পারভীন আক্তারের নেতৃত্বাধীন ‘মধুমতি’ দলকে ১০-০ গোলে এবং সংরক্ষিত আসন নং-৯ এর কাউন্সিলর মাজেদা খাতুনের নেতৃত্বাধীন ‘কপোতাক্ষ’ দল, প্রতিপক্ষ সংরক্ষিত আসন নং-১০ এর কাউন্সিলর রেকসনা কালাম লিলি’র নেতৃত্বাধীন হরিণটানা দলকে ৪-০ গোলে পরাজিত করে।
উল্লেখ্য, দাতা সংস্থা ইউনিসেফ-এর সহযোগিতায় কেসিসি খুলনা জিলা স্কুল মাঠে ‘‘মেয়র কাপ কিশোরী ফুটবল টুর্ণামেন্টের’’ আয়োজন করেছে। সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক গতকাল শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করেন। টুর্ণামেন্টে কেসিসি’র ১০জন সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরের নেতৃত্বে ১০টি কিশোরী টীম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আজও খেলা উপভোগ করেন। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো: ফারুক আহমেদ, মেয়র প্যানেলের সদস্য মেমোরী সুফিয়া রহমান শুনু, কাউন্সিলর ফকির মো: সাইফুল ইসলাম, এমডি মাহফুজুর রহমান লিটন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পারভীন আক্তার, মাজেদা খাতুন, রেকসনা কালাম লিলি, সচিব মোঃ আজমুল হকসহ কেসিসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ইউনিসেফের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
খাইরুল ইসলাম নিরব, ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার দুধসর গ্রামের কৃতি সন্তান নোয়াখালি জেলার সাবেক পুলিশ সুপার ও বর্তমানে ঢাকা পুলিশের বিশেষ শাখায় কর্মরত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জাতীয় পুলিশ সপ্তাহ ২০২২ এ বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পদক বিপিএম (বাংলাদেশ পুলিশ ম্যাডেল) সেবা মনোনীত হয়েছেন।
আলমগীর হোসেন ১৯৭৫ সালের ২৯শে অক্টোবর ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার দুধসর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । তার পিতার নাম মোঃ জমির উদ্দিন মন্ডল ও মাতাঃ মিসেস আলেয়া খাতুন। তিনি ১৯৯০ সালে ভাটই মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১ম বিভাগে এস.এস.সি. এবং ১৯৯২ সালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে ১ম বিভাগে এইচ.এস.সি. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৯৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতক এবং ১৯৯৬ সালে প্রথম শ্রেণীতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
চাকুরিরত অবস্থায় ২০১১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাষ্টারস ইন পুলিশ সায়েন্স (এমপিএস) এবং ২০১৭ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি ২০০৩ সালে ২২তম বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে পেশাগত জীবণ শুরু করেন। পরবর্তীতে ২৪তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০০৫ সালের ২রা জুলাই বাংলাদেশ পুলিশে এএসপি পদে যোগদান করেন। বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি হতে প্রশিক্ষণ শেষে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, বরিশাল জেলা, ট্যুরিস্ট পুলিশ, কুমিল্লাা জেলা এবং রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশে বিভিন্ন পদে সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৯-১০ সালে তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আইভরিকোষ্টে প্লাটুন কমান্ডার এবং ২০১৬-১৭ সালে মালিতে ডেপুটি কমান্ডার হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট থেকে ফরাসি ভাষায় উচ্চতর ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন।
নোয়াখালি জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে ২১ জুন ২০১৯ থেকে ১ আগষ্ট ২০২১ পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা জেলার বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত আছেন।
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
ডুমুরিয়ায় খর্ণিয়া ইউনিয়ন পরিষদে আব্দুল হালিম সরদার প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। গতকাল রবিবার দুপুরে ইউপি মিলনায়তনে ব্যালটের মাধ্যমে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে প্যানেল চেয়ারম্যান পদে ৮জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেন।
জানা যায়,গত ১১ নভেম্বর’২১ ইউপি নির্বাচনে ডুমুরিয়ার খর্ণিয়া ইউনিয়ন পরিষদে নব-নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান শেখ দিদারুল হোসেন দিদারের সভাপতিত্বে ইউপি সচিব মোঃ কামরুল হাসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ভোটে ১২জন সদস্য’র মধ্যে আব্দুল হালিম ও সঞ্জয় কুমার মল্লিক ৮ ভোট করে পায়। পরে সঞ্জয় মল্ল্কি আব্দুল হালিম কে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে সমর্থন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত ইউপি সদস্য আলেয়া বেগম, শিউলি বেগম, রাশিদা বেগম, সাধারন সদস্য মোল্যা আবুল কাশেম,শেখ মহসিন হোসেন, শেখ রবিউল ইসলাম, মোজাফ্ফর হোসেন, মুক্তার হোসেন,শেখ হযরত আলী ও লুৎফর রহমান।
বিশেষ প্রতিনিধি ॥
শনিবার দিবাগত রাত ৮ টা। হঠাৎ বস্তার গোডাউনে আগুন। নেভাতে আশপাশের লোকজন ছুটে যাওয়ার আগেই প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার বস্তা পুড়ে ছাই। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের নিমতলা বাসস্টান্ডের পাইকারী বস্তা ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম নবার গোডাউনে। ক্ষতিগ্রস্থের দাবি,এতে তার কমপক্ষে সাড়ে ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরে সংবাদ পেয়ে কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ী আরব আলী জানান, রবিউল ইসলাম একজন পাইকারী বস্তার ব্যবসায়ী। আশপাশের দোকাপাট খোলা থাকা অবস্থায় লোকজন তালাবদ্ধ বস্তার আড়তের মধ্যে কালো ধোঁয়া দেখতে পায়। পরে নিমিষের মধ্যেই কুন্ডলী আকারে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এরমধ্যে গোডাউনের সকল বস্তা পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মামুনুর রশিদ জানান, সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে তারা ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয়দের সহযোগীতা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এর আগেই গোডাউনে থাকা এক হাজারের বেশি কমপক্ষে সাড়ে ৪ লক্ষাধিক টাকার বস্তা আগুনে পুড়ে ভষ্মিভূত হয়ে যায়। তবে, কোথা থেকে আগুনের সুত্রপাত তা বোঝা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট শার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
ফকিরহাট প্রতিনিধি।
বাগেরহাটের ফকিরহাটে মধু বাগচী (৩৫) নামের এক ভ্যান চালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার বাহিরদিয়া-মানসা ইউনিয়নের হোচলা গ্রাম থেকে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ভ্যান চালককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মধু বাগচী উক্ত গ্রামের মৃত মুকুন্দ বাগচীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক ছিলেন। নিহতের স্ত্রী সুমি রানী বাগচী জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার স্বামী রাতের খাবার খেয়ে ঘর থেকে বের হন। এর কিছুক্ষণ পর তারা বাড়ির পাশে বাগানে চিৎকার শুনতে পান। সেখানে ছুটে গিয়ে একজনকে দৌড়ে যেতে দেখেন। এসময় তার স্বামী রক্তাক্ত অবস্থায় একটি গর্তের ভেতর পড়ে ছিলেন। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এব্যাপারে নিহতের ভাই বারিন বাগচী বাদী হয়ে পার্শ¦বর্তী সাতবাড়িয়া গ্রামের বাবুল ফরাজী নামের একজনকে আসামী করে রবিবার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে অভিযুক্ত আসামী ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আবু সাইদ মোঃ খায়রুল আনাম জানান, নিহতের স্ত্রীকে পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাবুল ফরাজী নামের এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে উত্যোক্ত করে আসছিল। এতে নিহত মধু বাধা দেওয়া কারনে এই খুনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছেন। তিনি বলেন হত্যাকারীকে আটকের জোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সোহাগ হোসেন কলারোয়া সাতক্ষীরা:
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সীমানাপ্রাচীরের চারিধারে দীর্ঘদিনের পানিতে জমে থাকা ময়লা আবর্জনায় ভনভন করে মাছি এছাড়াও নিয়মিত পরিষ্কার পরিছন্নতা ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসনিক নজরদারির অভাবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আঙ্গিনায় মিলছে পরিত্যক্ত মাদকদ্রব্যের চিহ্ন।
রবিবার (২৩ জানুয়ারি) সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চারিধারে রয়েছে হলুদ রং এর পুরাতন নড়বড়ে প্রাচীরের যার চারিদিকে ময়লা আবর্জনায় জমে থাকা পানিতে মশা মাছি তো আছেই তার সাথে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। হাসপাতালের সামনে পুকুর পাড় এলাকায় পরিত্যক্ত ফেনসিডিলের বোতল সহ ময়লা আবর্জনায় ঘেরা। কিন্তু উপজেলার তিন লক্ষ মানুষের চিকিৎসা সেবা চলছে এখানে। অন্যদিকে হাসপাতালের সামনের ফটকের প্রাচীরের সামনেই গড়ে উঠা ফার্মেসি ক্লিনিকের পরিত্যক্ত ইনজেকশন অপারেশন কাজে ব্যবহৃত গজ কাপড়সহ বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা ফেলা রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার জিয়াউর রহমান জানান, হাসপাতালে দীর্ঘদিনের দুর্দশা চারিধারে পানি জমে থাকা জায়গাটি অনেক নিচু পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে মাটি ভরাটের জন্য অনেক বার বলেও এর কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না যে কারণে পানিতে তলিয়ে থাকে হাসপাতালে চারিধার যেখানে ময়লা আবর্জনা পানির উপরে ভাসে। পানিতে জমা ময়লা আবর্জনা থেকে বিষাক্ত জীবাণু এমনকি মশা মাছির জন্মাতে পারে। পৌরসভার তত্ত্বাবধানে নিয়মিত ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করার ফলেই বেহাল দশা তবে মাটি ভরাটের বরাদ্দ পেলে হয়তো এই দুর্দশা মুক্তি হওয়া সম্ভবত পৌরসভার মেয়র ও প্রশাসনিক কর্মকর্তার সহযোগিতা চেয়েছেন।
এ বিষয়ে পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান বুলবুল বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আঙ্গিনায় ইতিমধ্যে পরিদর্শন করা হয়েছে তবে পৌরসভার নির্দিষ্ট যে স্থানে ময়লা ফেলার কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেখানে না ফেলে চারিধারে ফেলেন যেটি পরিষ্কার করতে পরিচ্ছন্নকর্মীর পক্ষে অনেক কষ্টসাধ্য তবে হাসপাতালের নিচু জায়গা ভরাটের জন্য প্রজেক্ট বরাদ্দ পেলে সুব্যবস্থা করা হবে।
পার্শ্ববর্তী যশোর জেলার চাকলা এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা গাজী আজহারুল গাজী বলেন, হাসপাতালের চারিপাশ ময়লা আবর্জনায় ভরে গেছে তা থেকে মানুষের রোগ আরো বাড়বে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে দুর্গন্ধ পড়ে না হাসপাতালের নির্দিষ্ট জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলেও চারিপাশে যে বেহাল দশা তা সাধারণ মানুষকে আরও অসুস্থ করে ফেলবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিয়মিত নজরদারি না থাকায় চারিপাশে বাগানা গানে ভরে গেছে এবং যে নির্দিষ্ট কোন স্থানে ময়লা না ফেলে পার্শ্ববর্তী ফার্মেসি গুলোও হাসপাতালের চারিধারে ময়লা আবর্জনা ফেলছে। প্রশাসন যদি বিষয়টি আমলে না নেয় তবে হাসপাতাল একসময় ময়লা আবর্জনার স্তুপে পরিণত হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক কর্তৃপক্ষের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে যাতে হাসপাতালে আঙ্গিনা চত্তর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে সুন্দর মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করা যায় সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং হাসপাতালের সামনে যারা ময়লা-আবর্জনা ফেলে পরিবেশ নষ্ট করছে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইলিয়াস হোসেন, তালা (সাতক্ষীরা)::
রবিবার (২৩ জানুয়ারী) সকালে সোনালী ব্যাংক তালা শাখায় দুস্থ, অসহায় ও হতদরিদ্রদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের তালা শাখার ম্যানেজার শেখ নাহিদুজ্জামান মিঠু (এসপিও),দ্বিতীয় কর্মকর্তা সুমান কুমার পাল (পিও), ক্যাশ ইনচার্জ ত্রিদেব ঘোষসহ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার তালায় তিন সন্তানের জননী রাশিদা বেগম (৪৮) গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার ভোর রাতে উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের মাগুরডাঙ্গা গ্রামে। রাশিদা বেগম মাগুরডাঙ্গা গ্রামের কাশেম সরদারের স্ত্রী।
নিহতের স্বজনরা জানান, রাশিদা বেগম বহুদিন যাবৎ মানসিক রোগে ভুগছিলেন। শনিবার রাতে নিজ ঘরে তিনি গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। রবিবার সকালে তালা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খাঁন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কপিলমুনি (খুলনা) প্রতিনিধি
নিজ ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে শোকজ প্রাপ্ত খুলনার পাইকগাছা কপিলমুনি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক সৌমিত্র সাধু শনিবার (২২ জানুয়ারি) তার বিরুদ্ধে শোকজের জবাব দিয়েছেন। বিষয়টি স্বীকার করেছেন, কলেজটির অধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ বাহার। পাশাপাশি অভিযোগকারী ছাত্রীর কাছ থেকে তার দাখিলকৃত অভিযোগপত্রটি প্রত্যাহারে একটি অনাপত্তিপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র। অভিযুক্ত পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক সৌমিত্র সাধু তার শোকজের জবাবে লিখেছেন যে, কোনো ছাত্রীর সাথে তার কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ২০১২ সালে কলেজে যোগদানের পর থেকে কলেজের সুনাম ও ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকতার পাশাপাশি একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করে আসছেন। যেখানে আলাদাভাবে কাউকে পড়ানো হয়না। কলেজের সুনাম ক্ষুন্ন ও তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে কেউ উক্ত ছাত্রীর কাছ থেকে অভিযোগপত্রটি লিখিয়ে নিয়েছে বলে দাবি তার। এর আগে গত ২১ডিসেম্বর কপিলমুনি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের জনৈকা মেধাবী ছাত্রী একই কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সৌমিত্র সাধুর বিরুদ্ধে কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর একটি অভিযোগ করেন যে, তিনি তার কোচিং সেন্টারে তাকে একা পেয়ে তার সাথে অশোভন আচারণ করেন। যা শ্লীলতাহানীর পর্যায়ে পড়ে। যদিও কলেজের অধ্যক্ষ দাবী করেন, অভিযোগপত্রটি সম্প্রতি ডাকযোগে তার কাছে পৌঁছেছে। যার প্রেক্ষিতে গত ১৫ জানুয়ারি অভিযেুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৭ কার্যদিবসের সময় দিয়ে শোকজটি করেন। যার স্মারক নং-৮০/৩৯৩/২২। এদিকে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র দাবি করছে, সংশ্লিষ্ট ছাত্রীর কাছ থেকে লিখিয়ে আনা অনাপত্তিপত্রে সে জানায়, ঘটনার দিন অভিযুক্ত শিক্ষক তার কোচিং সেন্টারে তাকে একা পেয়ে অশোভন আচারণ করেন। যা শ্লীলতাহানীর পর্যায়ে পড়ে। এছাড়া অভিযোগ পত্রটি সে আবেগের বশবর্তী হয়ে করেছিল। অন্যদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক সৌমিত্র সাধু দাবি করেছেন যে, কলেজের সুনাম ক্ষুন্ন ও তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে কেউ ঐ ছাত্রীকে দিয়ে অভিযোগপত্রটি দাখিল করিয়েছিল। প্রসঙ্গত, কপিলমুনি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক সৌমিত্র সাধুর বিরুদ্ধে তারই এক মেধাবী ছাত্রী তাকে শ্লীলতাহানী করেন বলে অভিযোগ করে। সূত্র জানায়, প্রথমত কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও পরে ব্যাপকভাবে চাউর হয়ে পড়ায় স্থানীয় সংবাদকর্মীদের পর্যন্ত পৌঁছায়। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে অধ্যক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শোকজেপত্রটি প্রদান করেন। মূলত. এরপর থেকেই অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচাতে তার পক্ষ নিয়ে তারই সহকর্মীসহ একটি মহল বিভিন্ন স্থানে দৌঁড়-ঝাঁপ শুরু করে। সূত্র দাবি করছে, শুক্রবার খুলনায় অবস্থানরত ঐ ছাত্রীর কাছ থেকে প্রত্যাহারপত্রে স্বাক্ষর করাতেও তারাই যান সেখানে। যদি সত্যিই ছাত্রীর পক্ষে অভিযোগপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করা হয় তাহলেও আবেদনপত্রটি কারা উপস্থাপন করেছেন? ছাত্রী নিজে, তার কোনো অভিভাবক নাকি অভিযুক্ত শিক্ষকের পক্ষের কোনো সহকর্মী কিংবা তার অভিভাবক? যদিও অনাপত্তি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেননি অধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ বাহার। নির্ভরযোগ্য সূত্র দাবি করছে, শোকজপত্র প্রাপ্তির পর থেকেই সৌমিত্র’র সহকর্মীসহ একটি মহল বিষয়টিকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে জোর অপতৎপরতা চালিয়ে আসছে। অধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ বাহার বরাবরের মত জানান, ঘটনার সময় তিনি কলেজের কাজে ঢাকায় ছিলেন। তবে পরষ্পর শোনার পর সৌমিত্রকে মৌখিকভাবে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার যান। সর্বশেষ সম্প্রতি ডাকযোগে তিনি একটি অভিযোগপত্র পান। এরপর তিনি গত ১৫ জানুয়ারি সংশ্লিষ্ট অভিযুক্ত শিক্ষককে একটি শোকজ করেন। শনিবার শেষ দিনে শিক্ষক সৌমিত্র তার জবাব প্রদান করেছেন। সর্বশেষ ঘটনায় একের পর এক নাটকে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে অভিভাবক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
মোঃ আবু তাহের, নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইলে রেজাউল মোল্যা হত্যা মামলায় একজনকে ফাঁসির আদেশ ও অপরজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ এবং উভয়কে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড দিয়েছেন জেলা দায়রা জজ আদালত। রোববার (২৩ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুন্সি মোঃ মশিয়ার রহমান। নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মোঃ ইমদাদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন-যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার কামকুল গ্রামের সোনা মোল্যার দুইছেলে বাছের আলী মোল্যা এবং কামাল মোল্যা। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্তিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আসামি বাছের মোল্যা ও কামাল মোল্যা মামলার এজাহারকারী মোঃ বাবুল মোল্যার বিধবা বোনকে প্রায় উত্যক্ত করত। নড়াইল সদর উপজেলার কলোড়া ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামের এজাহারকারী মোঃ বাবুল মোল্যার পুত্র রেজাউল মোল্যা আসামিদের তাদের বাড়িতে না আসতে এবং বিধবা ওই মহিলাকে উত্যক্ত না করতে নিষেধ করতে থাকেন। এ কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২০১৯ সালের ২৬ জুন রাতে আসামিরা ভিকটিম রেজাউলের বাড়িতে আসে এবং তাকে টানতে টানতে বাড়ির বাইরে নিয়ে আসামি কামাল মোল্যা লাঠি দিয়ে রেজাউল মোল্যার মাথায় আঘাত করে। পরে অপর আসামি বাছের মোল্যা লোহার পেরেক লাগানো বাঁশ দিয়ে রেজাউলের বাম কানের উপরে আঘাত করে এতে তিনি মারাত্মক জখম হন। এরপর আসামিরা তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন আহত রেজাউলকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে তাকে
নড়াইল সদর হাসপাতাল আনলে অবস্তার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেয়া হয়। পরেরদিন ২৭ জুন তার মৃত্যু হয়। পরে নড়াইল সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ ওই দু’আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট প্রদান করে।সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় অসামাজিক কার্যকালাপের অভিযোগে তিন নারী সহ চারঁ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২২ জানুয়ারী) রাতে কোটালীপাড়া উপজেলার রামশীল বাজারের পুর্বপার বড় সুইজগেটের দক্ষিন পাশে রাতে কোটালীপাড়া থানার এস আই আব্দুল করিম গোপন সংবাদের ভিক্তিতে খবর পেয়ে সঙ্গিও ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে।এসময় একজন পুরুষ সহ তিনজন নারী কে আটক করতে সক্ষম হয় বাকীরা পালিয়ে যায়। এ সময় নগদ ১ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা সহ বিভিন্ন যৌন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা হলেন- সরদারাণী পলি সরকার,স্বপ্না আক্তার, শিখা বাড়ৈ ও খদ্দের সাব্বির হাওলাদার। পরে আজ সকালে আটকৃতদের ২৯০ ধারায় গোপালগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনার সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, জনগণের সম্পৃক্ততা থাকেলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজ পরিচালনা সহজতর হয়। অতীতে নাগরিক ফোরাম যেভাবে সিটি কর্পোরেশনকে সহযোগিতা করেছে সে ধরণের কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি। এ জন্য নাগরিক ফোরামকে সক্রিয়করণ জরুরী।
তিনি রোববার বিকেলে খুলনা নগর ভবনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রূপান্তর-এর আয়োজনে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে “সুশাসন উন্নয়নে অংশগ্রহণ ও জনসম্পৃক্তকরণ” প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, সক্রিয় নাগরিক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে কাজের স্বচ্ছতা, গতিশীলতা ও সংবেদনশীলতা জোরদার হয়। খুলনায় নাগরিক ফোরাম যখন সক্রিয় ছিল তখন নগরীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জনঅংশগ্রহণ অনেক বেশী ছিল। আর এ জন্যেই ব্যক্তিগতভাবে আমি আগেও নাগরিক ফোরামকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছি, ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) লস্কার তাজুল ইসলাম এবং খুলনা প্রেস ক্লাব সভাপতি এস.এম. নজরুল ইসলাম। সভায় সভাপতিত্ব করেন রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ। এছাড়া উপন্থিত ছিলেন কেসিসি’র কর্মকর্তাবৃন্দ, নাগরিক নেতা, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, দরিদ্র প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, সাংবাদিক ও যুবনেতৃবৃন্দ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম খোকন। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন কেসিসি’র প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, কেসিসি’র কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী, খুলনা মহানগর নাগরিক ফোরামের মহাসচিব প্রদ্যুৎ রুদ্র চৈতী, নাগরিক নেতা নাসির জাভেদ, মোঃ সাবির খান, রফিকুল হসলাম বাবু, সাদিকুর রহমান সবুজ, কুলসুম জাহান হীরা, মিজানুর রহমান রাজা, সাংবাদিক এইচ এম আলাউদ্দিন, মোঃ নূরুজ্জামান, যুব ফোরাম খুলনার আহ্বায়ক রুকসানা পারভীন প্রমূখ।
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
বাগেরহাটের শরণখোলায় মামলা তুলে না নেয়ায় মোঃ আবু ছালে (৪০) নামের এক যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে দিয়েছে আসামি পক্ষ। শনিবার (২২জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের বগী বাজারে এঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা আবু ছালেকে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাতেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত আবু ছালে বগী গ্রামের মোঃ আঃ রহমান খলিফার ছেলে এবং বগী বন্দর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বগী বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী ।
আবু ছালের মা নুরুন্নাহার বেগম বলেন, দেড় মাস আগে আমার ছেলেকে অন্যায়ভাবে মারধর করে স্থানীয় ইউপি সদস্য রিয়াদুল পঞ্চায়েতের ভাই মোঃ আসাদুল পঞ্চায়েত। এরপর শালিস বৈঠক বসার কথা বললেও তা আর হয়নি। পরে আমার ছেলে শরণখোলা থানায় ওদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলা তুলে নিতে শনিবার রাত ৮টার দিকে আসাদুল পঞ্চায়েত, ফারুক খাঁন ও পলাশ মিলে আমার ছেলের মৎস্য আড়তে হামলা চালিয়ে তার হাত-পা ভেঙে দেয়। পরে খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ছালে অজ্ঞান অবস্থায় দোকানের সামনে পড়ে আছে। তখন স্থানীয়রা উদ্ধার করে ছালেকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তবে, সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মোঃ রিয়াদুল পঞ্চায়েত বলেন, একটি কম্পিউটারের ডিক্স নিয়ে প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া হয়। এসময় আসাদুলকে মারধর করে হানিফসহ কয়েকজন। পরে আসাদুলসহ ১০/১২ জন এক হয়ে বগী গিয়ে ছালেকে পেয়ে মারধর করে ।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামি ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে ।
কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
কয়রায় বামিয়া সার্বজনীন শ্রী শ্রী কর্তামাতা মন্দিরে পরিচালনা কমিটি সর্বস্মতিক্রমে নির্বাচিত করেছেন ভক্তবৃন্দ। শনিবার বিকেলে মন্দির চত্তরে বাগালী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের ভক্তবৃন্দের উপস্থিতিেিত সর্বস্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন শ্রী পরেশ চন্দ্র মন্ডল (মহাশয়) এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মাষ্টার অচিন কুমার রায়। ৩১ সদস্যের উক্ত কমিটিতে সহ সভাপতি মাষ্টার বুদ্ধদেব মন্ডল, সহ সম্পাদক প্রভাষক চন্দন রায়, কোষাধাক্য মাষ্টার অচিন্ত মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষ্ণ মন্ডল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিবানী মাঝি, দপ্তর সম্পাদক কিরণ চন্দ্র মন্ডল, প্রচার সম্পাদক গোবিন্দ গাইন, সমাজসেবা সম্পাদক মিলন মাঝি, গ্রন্থাগার সম্পাদক মনোজ কান্তি মন্ডল প্রমুখ। কমিটির নব-নির্বাচিত সম্পাদক অচিন কুমার রায় জানান, ১৯৯৭ সালে মন্দির প্রতিষ্ঠার পর থেকে মন্দিরের কমিটি নিয়ে ব্যাপক ষড়যন্ত্র করছে একটি পক্ষ এবং দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি মন্দিরের লক্ষ লক্ষ টাকা হিসাব না দেওয়ায় সাবেক কমিটির নামে দূর্নিতীর মামলায় জেল হাজতেও গেছেন তারা। তিনি বলেন, মন্দিরের নামে ২২ বিঘা সম্পত্তির আয়ের অর্থ লুটপাট করায় বাগালী ইউনিয়নের ৬/ ৭টি গ্রামের শ্রী শ্রী কর্তামাতার অনুসারী ভক্তবৃন্দ সম্মিলিতভাবে মন্দির পরিচালনার জন্য জমিদাতার দলিল অনুযায়ী তার বংশের সদস্যদের সহযোগিতায় নতুন করে পরিচালনা কমিটি করা হয়েছে।
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
ডুমুরিয়ায় ভূমি জবর-দখলকারির পক্ষে ওসির হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার সকালে ডুমুরিয়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক প্রেমানন্দ সরকার। উপজেলার খর্ণিয়া ইউনিয়নের গোনালী গ্রামের মৃত রবীন্দ্রনাথ সরকারের ছেলে কৃষক প্রেমানন্দ সরকার লিখিত বক্তব্যে বলেন,পৈত্রিক সূত্রে বিজ্ঞ দেওয়ানী আদালত ১০৫/২০০৫ সালে ডিগ্রি প্রাপ্ত হইয়া উপজেলার গোনালী মৌজায় বিআরএস ৫৮৪ নং খতিয়ানে ১০১৯,১০২০,১০২১,১০২৫ ও ১০২৬ নং দাগের মধ্যে ৪৩ শতাংশ জমি ভূল বশতঃ খ তফশিল ভুক্ত হয়ে পড়ে। এ দূর্বলতা কে পুঁজি করে একই এলাকার বজলুর রহমান খান,আতিয়ার রহমান,অলিয়ার রহমান ও মুজিবুর রহমান খান নামের ৪ ভাই পেশিশক্তি প্রভাব খাটিয়ে ওই জমির কিছু অংশ জবর দখল করে নেয়। এরআগে ২০২০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী ওই জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল পূর্বক জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নাম ও অংশ হতে কর্তণ পূর্বক রেকর্ডীয় মালিক হয়ে আমি নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে আসছি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সালিশী বৈঠকে একাধিক বার আমার পক্ষে রায় হলেও প্রতিপক্ষ তা মানে না। উপরন্ত আমার পরিবারকে নানা ধরনের ভয়-ভীতি ও হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন,গত ১১ জানুয়ারী একটি লিখিত অভিযোগ সহ ডুমুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবাইদুর রহমানের দ্বারস্থ হই। ওসি বিষয়টি আমলে নিয়ে গত ২২ জানুয়ারী উভয় পক্ষকে নিয়ে নিজ কার্যালয়ে এক সালিশী বৈঠকের আয়োজন করেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় আমি স্থানীয় মেম্বর,গণ্যমান্য ব্যক্তি ও আমার পক্ষের আইনজীবি নিয়ে ওসির রুমে ঢুকা মাত্রই আমাদের কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়েই বলেন,যান যান এরা দখলে আছে দখলে থাকবে,যা ইচ্ছা তাই করবে,প্রয়োজনে ১০তলা বিল্ডিং দিতে পারবে এ নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি করবে না। তখন আমরা ওসির একচোখা আচরনে ভয়ে ও ক্ষোভে তার রুম থেকে বেরিয়ে আসি। যে কারনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন। আশু ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে পেতে যথাযর্থ মহলের সু-দৃষ্টি কামনা করেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক। তবে এ বিষয়ে থানার ওসি মোঃ ওবাইদুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,উক্ত জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। শান্তি শৃংখলা রক্ষার্থে যে যে অবস্থায় আছে তাকে সেখানে থাকতে বলা হয়েছে।
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
ডুমুরিয়ায় হাসান আলী নামের এক ইটভাটা শ্রমিক ২ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভাটা সর্দার শেখ শাহিনুর রহমান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,উপজেলার খর্ণিয়ায় কেবি-২ ব্রিক্স’র সর্দার শাহিনুর রহমান তার আওতায় থাকা ভাটার শ্রমিক সুন্দরমহল এলাকার হাসান আলী খান কে অগ্রিম দেড় লাখ টাকা দেয়। গত ২০ জানুয়ারী ৬০জন শ্রমিকের সাপ্তাহিক বিল বাবদ আরও ৭১ হাজার ৫শত টাকা তাকে দেয়া হয়। ওই টাকা কোন শ্রমিক কে না দিয়ে হাসান ভাটা থেকে লাপাত্তা হয়। এ ঘটনায় ভাটা সর্দার শেখ শাহিনুর রহমান ২১ জানুয়ারী থানায় একটি অভিযোগ করেন।
খবর বিজ্ঞপ্তি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘উইটসা এমিনেন্ট পারসনস অ্যাওয়ার্ড-২০২১’ এ ভূষিত হওয়ায় তাঁকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে বলিষ্ঠ নেতৃত্বদান ও তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্স (উইটসা) সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীকে এ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করে।
এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুসংহত হয়েছে। এর ফলে তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের অর্জন বিশ্বে ভাবমূর্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। প্রধানমন্ত্রী এর আগেও বিভিন্ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও খেতাবে ভূষিত হয়েছেন। যা বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার কারণে বাংলাদেশে ডিজিটাল বিপ্লব সূচিত হয়েছে। যার ফলে এখন মুহূর্তের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানসহ সেবা সহজীকরণে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। করোনা মহামারির মধ্যেও ডিজিটাল সেবার কারণে দেশের সকল কিছু সচল রাখা সম্ভব হয়। যে কারণে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও অব্যাহত সাফল্য কামনা করেন।
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যের প্রসার ও বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজের সুরক্ষায় মোংলা বন্দরের জেটিতে রাবার ফেন্ডার স্থাপনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের মধ্যে এ রাবার ফেন্ডার স্থাপন চুক্তি সম্পাদিত হয়। এ সময় এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কমডোর মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার ও খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর এম সামছুল আজজি। অনুষ্ঠানে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও শিপইয়ার্ড’র বিভাগীয় প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন। ৮ কোটি ৫০ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে এ রাবার ফেন্ডার স্থাপন করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কমডোর মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার বলেন, বন্দরের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর জেটিতে প্রায় ১০ বছর আগে রাবার ফেন্ডার লাগানো হয়েছিলো, যার অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে। তাই জেটিতে বিদেশী জাহাজ ভিড়তে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। যদিও এর আগে জেটিতে কাঠের লগ ব্যবহার করা হতো যা লাগানো কিছুদিন পর পচে ও জাহাজের আঘাতে পড়ে যেত। এ সকল সমস্যার সমাধানে কাঠের লগের পরিবর্তেব নতুন করে রাবার ফেন্ডার স্থাপন করা হচ্ছে। এটির স্থাপন সম্পন্ন হলে মোংলা বন্দরে আসা বিদেশী জাহাজগুলো জেটিতে নিরাপদে ভিড়তে পারবে বলেও জানান তিনি।
মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার করমদি বাজারে ইমদাদুল হক নামে এক ভুয়া দন্ত চিকিৎসককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে র্যাব-৬ এর একটি টিম ও ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে তাকে এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, ‘করমদি ডেন্টাল কেয়ার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে এমদাদুল হক চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৬ গাংনী ক্যাম্প কমান্ডার এএসপি তারেক আনামের নের্তৃত্বে একটি টিম ও ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় তার কাগজপত্র পরীক্ষা করে ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) নাজমুল আলম ওই দন্ত চিকিৎসককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করেন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার পারভেজ।
যশোর প্রতিনিধি
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে এবার ৩৫ জনের করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। তাদের শরীরে ঠান্ডা, গলাব্যথা, মাংসপেশীতে ব্যথা ও হালকা জ্বর রয়েছে।
রবিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে যবিপ্রবির জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রশিদের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, আজ যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ওমিক্রন শনাক্তের বিষয়টি প্রকাশ করেন। গবেষক দলটি গত ৩১ ডিসেম্বর হতে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৪১ জনের (২৬ জন পুরুষ ও ১৫ জন নারী) নমুনার স্যাঙ্গার সিকুয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে ৩৫ জনের প্রাথমিকভাবে ওমিক্রন শনাক্ত করেন। বাকিগুলো ডেল্টা ধরন বলে শনাক্ত করা হয়েছে।
গত ১২ জানুয়ারি জিনোম সেন্টারে তিন জনের নমুনা পরীক্ষায় ওমিক্রন শনাক্ত হয়। এ নিয়ে যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে মোট ৩৮ জনের ওমিক্রন শনাক্ত করা হলো।
জিনোম সেন্টারে ৩৮ জনের নমুনার আগেই তিনটি নমুনার পূর্ণাঙ্গ জীবন রহস্য উন্মোচন করা হয়। বাকি ৩৫ জনের স্পাইক প্রোটিনের স্যাঙ্গার সিকুয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে ১২ থেকে ১৩টি মিউটেশনের ওপর ভিত্তি করে ওমিক্রন শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বয়স ২০ থেকে ৭১ বছরের মধ্যে।
যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদের নেতৃত্বে ওমিক্রন শনাক্ত করা হয়।
তিনি জানান, শনাক্তের বিচারে আক্রান্তদের এখনও গুরুতর উপসর্গ নেই। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এটাকে উদ্বেগের ধরন বলে আখ্যায়িত করেছে।
যবিপ্রবি উপাচার্য ও জিনোম সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ওমিক্রন দ্রুত সংক্রমণশীল। এ কারণে যশোর অঞ্চলে এটা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং ৩০ শতাংশের বেশি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হচ্ছে। তাই সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের পাশাপাশি টিকা গ্রহণ ও মাস্ক ব্যবহারের কোনও বিকল্প নেই। ওমিক্রন শনাক্তের কাজটি জিনোম সেন্টারে অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনটির স্থানীয় সংক্রমণের বিষয়ও যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে শনাক্ত করা হয়।
ড. ইকবাল কবীর জাহিদসহ গবেষক দলের অন্য সদস্যরা হলেন-বায়ো মেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাসান মো. আল-ইমরান, অণুজীববিজ্ঞন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শোভন লাল সরকার, এএস এম রুবাইয়াতুল আলম, প্রভাষক শামিনুর রহমান, জিনোম সেন্টারের গবেষণা সহকারী প্রশান্ত কুমার দাস, আলী আহসান সেতু, তৌকির আহমেদ, আব্দুল্লাহ আল তারিক, আনজীর রুমি, নাজনীন সুলতানা সুমনা, বিথি খাতুন প্রমুখ।
এদিকে যশোর সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে যশোরেও সংক্রমণ বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে ১৯৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৪০৬টি নমুনা পরীক্ষা করে তাদের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৪৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় তীব্র শীতের মধ্যে শনিবার (২২ জানুয়ারি) সকাল থেকে সারাদিন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। এতে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। অসহায় খেটে খাওয়া মানুষরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
এদিকে, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপকূলীয় বেড়িবাঁধের ওপর আশ্রয় নেওয়া ভূমিহীন পরিবারগুলোতে ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে হাজির হয়েছে তীব্র শীতের সঙ্গে এ বৃষ্টি। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে অসময়ের বৃষ্টিতে ধান চাষ ব্যাহত হচ্ছে।
সাতক্ষীরা জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন বলেন, ‘পশ্চিমা লঘুচাপের কারণে জেলাজুড়ে সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মাত্র দুই মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির কারণে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও শীতের তীব্রতা বেড়েছে। আগামীকাল রবিবারও সাতক্ষীরা উপকূলীয় অঞ্চলে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি শেষ হওয়ার পর শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ মাসের শেষ দিকে জেঁকে বসতে পারে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। চলতি মাসে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামতে পারে। ডিসেম্বরের ২০ তারিখে জেলায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী জেলার আকাশ শনিবার ভোর থেকেই মেঘলা ছিল। মধ্যরাত থেকেই হালকা প্রবল কুয়াশা দেখা দেয়।’
এদিকে, বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন বাইরে কাজে বের হওয়া মানুষরা। শীতের বৃষ্টিতে অপ্রস্তুত থাকায় চরম বিড়ম্বনার পাশাপাশি শীত বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা। গত রাতে তাপমাত্রা বাড়লেও সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কমতে শুরু করে এবং গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির আকাশ মেঘাচ্ছন্ন আছে। বাড়ির বাইরে মানুষের উপস্থিতিও বেশ কম। জরুরি প্রয়োজনে ছাতা মাথায় অনেককে যাতায়াত করতে দেখা গেছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় এমন পরিস্থিতির খবর পাওয়া গেছে।
সাতক্ষীরা পৌর এলাকার কাটিয়া এলাকার ভ্যানচালক আবু মুছা বলেন, ‘সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার কারণে শীত বেড়েছে। ভ্যান নিয়ে বের হতে পারেনি, রোজগার করতে পারিনি।’
পৌরসভার রাজার বাগান এলাকার কৃষক আবুল হোসেন বলেন, ‘ডিসেম্বর মাসে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে বিগত বছরগুলোতে বর্ষাকালেও সে পরিমাণ বৃষ্টি হয় না। সে পানি আজও কমেনি। বিলের থেকে নদী উঁচু। সে কারণে পানি টানছে না। সূর্যের আলোয় যেটুকু কমছে, এ ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। বেতনা নদী না কাটা পর্যন্ত আমাদের কষ্ট লাঘব হবে না। রাজার বাগান বিল এবং সুডুর ডাঙ্গী বিলের ৮০০ বিঘা জমি জলাবদ্ধ হওয়ার কারণে ধান রোপণ করা যাচ্ছে না। ধান চাষের ওপর আমাদের সবকিছু।’
জলবায়ু পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী বলেন, ‘বিগত কয়েক বছর ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যে সময় বৃষ্টি দরকার সে সময় বৃষ্টি হচ্ছে না। অসময়ে বৃষ্টিপাত অবশ্যই জলবায়ু পরিবর্তন কারণে হচ্ছে। আজ বৃষ্টি কম হলেও শীতকালীন সবজিসহ বিভিন্ন ফলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। গত মাসের বৃষ্টির পানি অনেক এলাকা জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করেছে। আবার এই বৃষ্টিতে ধান চাষ ব্যাহত হচ্ছে।’
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি।।
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় ট্রাকে করে প্রতিদিনই পাচার হচ্ছে ডিজেল। স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রকাশ্যে ডিজেল কিনে পাচার করলেও কারো যেন মাথা ব্যথা নাই। তবে, বিষয়টি দেখার দায়িত্ব বন্দরের বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ৮০ টাকা ২৫ পয়সা। ভারতে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ৯৪ রুপি। বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে লিটারে ৩০ টাকা বেশি হওয়ায় সুযোগ বুঝে ভারতীয় ট্রাকচালক ডিজেল কিনে সেদেশে নিয়ে যান। প্রতিদিনই ৩০০-৪০০ ট্রাক পণ্য নিয়ে বেনাপোলে আসলেও তার বেশিরভাগ ট্রাকচালক ডিজেল কিনে নিয়ে যান।
তারা আরও জানান, বন্দরের প্রধান সড়কের ছোট আঁচড়ার মোড় ও বাইপাস সড়কের বিভিন্ন স্থানে ৫-৬ স্থানে ডিজেল পাচার চক্র অবস্থান করে। তারা আশপাশের পাম্প থেকে কন্টিনারে করে ডিজেল নিয়ে এসে লুকিয়ে রাখেন। সুযোগ বুঝে তারা এসব কন্টিনার ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকে তুলে দেন।
তেল নেওয়া ভারতীয় ট্রাকচালক বিশ্বাস তরফদার জানান, ট্রাকে তেল শেষ হয়ে গিয়েছিল তাই বাংলাদেশ থেকে ১৮ লিটার তেল কিনেছি। কেউ নিষেধ করেনি।
বাংলাদেশি একাধিক ট্রাকচালক জানান, বন্দরের নিরাপত্তাকর্মী বা প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই। এতে অবাধে ভারতীয় চালকেরা ডিজেল নিয়ে ভারতে যাচ্ছেন।
কামাল হোসেন নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, এক লিটার ডিজেল ভারতে নিতে পারলে ৩০ টাকা লাভ। এসব বন্ধে বন্দরের নজরদারি বাড়াতে হবে।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, তেলের ট্যাঙ্কিতে হাওয়া ঢুকেছিল তাই বেনাপোল থেকে ১৮ লিটার তেল নিয়েছে চালক নিজে স্বীকার করেছেন। কোথা থেকে কিভাবে তেল কিনলেন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান বলেন, বন্দর এলাকা থেকে তেল পাচার রোধে কাজ করার কথা বন্দর কর্তৃপক্ষের। এটি পুলিশের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।
ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
শীতে কাঁপছে ভারত সীমান্তঘেঁষা জেলা ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গার মানুষ। দুদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। সকাল কিংবা রাত সবসময় ঘন কুয়াশা। এতে যান চলাচলে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। এছাড়া রোববার (২৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে হিমেল হাওয়া বইছে। এতে দুই জেলায় শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষ।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) ঝিনাইদহের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। একই সঙ্গে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন রাস্তাঘাট, নদ-নদী, খাল-বিল ও ফসলি জমি। শীতবস্ত্রের অভাবে ঠান্ডায় কাঁপছে দরিদ্র মানুষ। জীবিকার সন্ধানে ঘর থেকে বের হওয়া দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ সাধ্য অনুযায়ী নিজেদের জড়িয়ে নিয়েছেন গরম কাপড়ে।
তবে গরম কাপড় না থাকায় অনেকে হালকা কাপড়েই বেরিয়ে পড়েছেন কাজের সন্ধানে। আবার অনেককে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে।
ঝিনাইদহ সদরের নবগঙ্গা নদীর তীরে বসবাসরত নুরুল ইসলাম বলেন, আমার নিজের জমি বলতে কিছুই নেই। নদীর পাড়ে স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করি। আমি অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে আছি। আমাদের কোনো শীতবস্ত্র নেই। শীতের কাপড়ের অভাবে খুব কষ্টে দিন পার করছি। কাজ না করলে পেটে ভাত যায় না। কিন্তু শীতের কাপড় না থাকায় ঠান্ডায় কাজকর্ম করে খেতে কষ্ট হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এই শীতে আর জীবন বাঁচে না। এখন পর্যন্ত একটা গরম কম্বল কেউ দিলো না।
জেলা শহরের ওয়াজির আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে পান দোকান দার শামিম আহম্মেদন বলেন, সকাল বেলা ঠাণ্ডার কারণে দোকানেই আসা যায় না। আবার আসলে দোকানে বসে থাকা যায় না। শীতের জন্য ক্রেতাশূন্য হয়ে থাকে।
সাবিব মিয়া নামের এক যুবক বলেন প্রচণ্ড শীতে সবাই কাবু হয়ে পড়েছে। রাস্তার পাশে দেখি খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। আমিও আগুনের কাছে এসে দাঁড়ালাম শরীরটা গরম করার জন্য।
এদিকে হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে রোগীর ভিড়ও বেড়েছে। এতে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. লিমন পারভেজ বলেন, ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে জেলার হাসপাতালগুলোতে রোগীর ভিড় বাড়ছে। তাদের মধ্যে শিশু আর বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি। অনেক ডায়রিয়ার রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
ঝিনাইদহ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. সালাহউদ্দীন বলেন, বর্তমানে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টি সীমা অনেকাংশে কমে আসছে। এর কারণে সামনের পথচারী ও বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় না। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। এ অবস্থায় বাসস্ট্যান্ডে অবস্থানরত ও মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহনের চালকদের কুয়াশাচ্ছন্ন রাস্তায় লাইট ব্যবহার ও গতিসীমা সীমিত রেখে বেশি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সকাল থেকে চুয়াডাঙ্গায়ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। একই সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে হালকা বাতাস। এসব কারণে মাঘের শীত জেঁকে বসেছে। গত দুদিন যাবত রোদের দেখা মেলেনি। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। এদিকে ছিন্নমূল মানুষের শীত নিবারণের জন্য জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংগঠন কম্বল বিতরণ করছেন।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. জামিনুর রহমান জাগো নিউজকে, রোববার চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল থেকেই জেলাজুড়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। আরও কয়েকদিন এ অবস্থা থাকতে পারে।
স্টাফ রিপোর্টার।।
খুলনা বিভাগে একদিনের ব্যবধানে ফের বেড়েছে শনাক্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের ১০ জেলায় ৪৮৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে, শনিবার ১৬৩ জনের করোনা শনাক্ত এবং দুইজনের মৃত্যু হয়েছিল। রোববার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী খুলনায় ১৫৩ জন, বাগেরহাটে ২০ জন, সাতক্ষীরা ১১ জন, যশোরে ১৯৪ জন, নড়াইলে চারজন, মাগুরায় ১০ জন, ঝিনাইদহে ৪৭ জন, কুষ্টিয়ায় ২৭ জন, চুয়াডাঙ্গায় ১৩ জন ও মেহেরপুরে আটজন আক্রান্ত হয়েছেন।
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় করোনাভাইরাসের টিকা নিতে গিয়ে অনেকেই পকেটমারের কবলে পড়ছেন। কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স টিকা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে।
যদুবয়রা ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের নুরজাহান বেগম রোববার দুপুরে টিকা নিতে আসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। টিকা নেওয়া শেষে দেখতে পান তার ভ্যানিটি ব্যাগে রাখা সবকিছু খোয়া গেছে।
এর আগে নুরজাহানের মতো আরও অনেকেই পকেটমারের কবলে পড়েছেন বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী নুরজাহান বেগম জানান, তিনি রোববার করোনার টিকা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকা নেন। পরে বাজারের ব্যাগের মধ্যে রাখা ভ্যানিটি ব্যাগ না পেয়ে পাগলের মতো খুঁজতে থাকেন।
তিনি জানান, তার ব্যাগে জাতীয় পরিচয়পত্র, নগদ টাকা এবং একটি মোবাইল ফোন ছিল। খোয়া যাওয়া ওই মোবাইলেই তার বিধবা ভাতার টাকার মেসেজ আসত।
নুরজাহান আরও জানান, তার ভ্যানিটি ব্যাগ হারানোর কথা শুনে আরও ২-৩ জন জানিয়েছেন, এর আগে একজনের ৬০ হাজার এবং আরেকজনের ১৫ হাজার টাকা হারিয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আকুল উদ্দিন জানান, পকেটমারের একটি চক্র বেশ কিছুদিন ধরে এমন অপকর্ম করছে। যেদিকে সিসি ক্যামেরা লাগানো নেই, সেদিকেই এ ঘটনা ঘটছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দ্রুতই টিকাগ্রহণের সব জায়গা ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।
যশোর অফিস
যশোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। রোববার বিকালে সদর উপজেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার কিফায়েতনগর গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ খানের ছেলে ইব্রাহিম হোসেন (৬০) ও পাঁচবাড়িয়া গ্রামের মৃত আজগর আলীর ছেলে মতিয়ার রহমান (৭০)।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ তাসমিম আলম বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত দুজনের লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে সুমন হোসেন জানান, তার বাবা বিকালে মোটরসাইকেলে বসুন্দিয়া বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে বিপরীত দিক দিয়ে আসা একটি অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অপর এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মতিয়ার রহমানের ভাইপো আওয়াল হোসেন জানান, বিকালে তার চাচা মতিয়ার রহমান সাইকেলে পাঁচবাড়িয়া বাজারে যাচ্ছিলেন। এ সময় পেছন থেকে একটি পিকআপ তাকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
বাগেরহাটের শরণখোলায় পানিতে ডুবে তাহসান নামের আড়াই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার জানেরপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাহসান ওই গ্রামের আবু হানিফ সাজ্জালের ছেলে।
শিশুটির চাচা মো. ইলিয়াস হোসেন জানান, তাহসানের মামার বাড়িতে বৌভাতের অনুষ্ঠান নিয়ে দুপুর থেকে সবাই ব্যস্ত ছিলেন। সবার অজান্তে তাহসান খেলতে খেলতে বাড়ির পাশের নালায় পড়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর নালা থেকে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শরণখোলা থানার ওসি মো. সাইদুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে খবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটে করোনা শনাক্তের হার ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থাৎ প্রতি ২ জনের পরীক্ষা করে ১ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ছে।
রোববার দুপুরে বাগেরহাটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. হাবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ৪০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ। জানুয়ারি মাসের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টার এই হার সর্বোচ্চ বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলায় ৬ জন, কচুয়ায় ১ জন, ফকিরহাটে ৫ জন, মোংলায় ১ জন এবং শরণখোলা উপজেলায় ৭ জন রয়েছেন।
এদিকে, বাগেরহাটে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় সংক্রমণ রোধে শিক্ষার্থীদের ভিড় বাড়ছে টিকাদান কেন্দ্রেগুলোতে। রোববার বাগেরহাট সদর হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকাদান কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। শিক্ষার্থীদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে টিকাদানের সাথে সংশ্লিষ্টদের। শিক্ষার্থীদের মতে, প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীক আলাদা আলাদা দিন ও সময় নির্ধারণ করে দিলে ভিড় এড়ানো সম্ভব হবে।
সরেজমিনে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, টিকাদান কেন্দ্রের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীসহ টিকা গ্রহণের জন্য অপেক্ষা করছে। বিভিন্ন এলাকা ও প্রতিষ্ঠান থেকে টিকা নিতে এসেছে তারা। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধির বালাই দেখা যায়নি তাদের মধ্যে।
বাগেরহাট সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়,বাগেরহাট জেলায় ৬ষ্ট শ্রেণি থেকে এইচ এসসি পর্যন্ত ( ১২ থেকে ১৭ বছর ) পর্যন্ত ১ লাখ ৫২ হাজার ৬৪৪ জন শিক্ষার্থী টিকা গ্রহণ করেছে। জেলায় শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণের হার শতভাগ বলে দাবি করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
অন্যদিকে ২২ জানুয়ারি বিকেল পর্যন্ত ৪০ হাজার ২৮৯ জন শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। যা ১ম ডোজ গ্রহণকারীদের শতকরা ২৯ দশমিক ৪৮ ভাগ। এছাড়া বাগেরহাট জেলায় প্রাপ্ত বয়স্ক ১০ লাখ ৯৬ হাজার ১১৭ জনকে প্রথম ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে । যা মোট জনসংখ্যার ৬২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৭ লাখ ২৩ হাজার ৮ ১৬ জন। বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ২০ হাজার ১১২জন।
বাগেরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ কুমার বখসি বলেন, কোভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাগেরহাট জেলা অনেক এগিয়ে রয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার প্রায় ৬৩ ভাগ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। আশা করি, এই সংখ্যাকে আমরা শতভাগে নিতে পারব। যারা টিকা নেননি তাদেরকে দ্রুত টিকা নিতে অনুরোধ করেন তিনি।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি।।
ঝিনাইদহের শৈলকুপার সারুটিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান মামুন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এ ইউপির নির্বাচনে তাঁর কাছে হেরেছেন তাঁরই দলের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কায়সার ওরফে টিপু। তিনি এ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি (সদ্য বহিষ্কৃত)। এই দুই নেতার কর্মী-সমর্থকেরা নির্বাচনের আগে থেকেই লিপ্ত মারামারি-কাটাকাটিতে। এর বলি হয়েছেন পাঁচজন। তা-ও মাত্র ২৩ দিনে। সর্বশেষ ব্যক্তি খুন হয়েছেন গত শুক্রবার রাতে।
নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা বলছেন, ওই পাঁচজনের কেউ সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করেন না।
শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতায় শুক্রবার রাতে খুন হন মেহেদী হাসান ওরফে স্বপন (২৫)। তাঁকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ। মেহেদী সারুটিয়া গ্রামের দবির উদ্দিন শেখের পুত্র। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হওয়ার পর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান মেহেদী।
মেহেদীর মা ইয়াসমিন বেগম বলেন, তাঁর ছেলে খারাপ কাজের মধ্যে থাকে না। ভোটের সময় একজনের পক্ষে ভোট করেছে। এটাই তার অপরাধ। বর্তমান চেয়ারম্যানের লোকজন তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তিনি এই হত্যার বিচার চান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেহেদীকে নিয়ে ৫ জানুয়ারির ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় ২৩ দিনে সারুটিয়া ইউনিয়নে যে পাঁচজন খুন হয়েছেন, তাঁদের তিনজন নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে বসে থাকা অবস্থায় প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন। অন্য দুজনকে পৃথক স্থানে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
এদিকে শৈলকুপার বগুড়া ইউনিয়নে ৮ জানুয়ারি খুন হয়েছেন কল্লোল হোসেন নামের আরেকজন। তিনিও নির্বাচনী সহিংসতার শিকার। অর্থাৎ এক উপজেলাতেই ইউপি নির্বাচনের আগে-পরে সহিংসতায় ছয়জন মারা গেলেন।
সারুটিয়া ইউনিয়নে নিহত মেহেদীর বোনজামাই মিলন হোসেনের ভাষ্যমতে, শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে প্রতিপক্ষের লোকজন মেহেদীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। মেহেদী ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জুলফিকার কায়সারের সমর্থক। বৃহস্পতিবার জুলফিকারের প্রতিপক্ষ ও বিজয়ী চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসানের সমাজে (সমর্থক দল) যোগ দেন মেহেদী। সমর্থকদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে শুক্রবার রাতে বাড়ির বাইরে যান মেহেদী। এরপর তালতলা ব্রিজ নামক স্থানে চেয়ারম্যানের সমর্থকেরাই তাঁকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। স্বজনেরা তাঁকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। চিকিৎসক তাঁকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেলে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে ফরিদপুরে নেওয়ার পথে রাত দুইটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
মেহেদীর মা ইয়াসমিন বেগম বলেন, তাঁর ছেলে খারাপ কাজের মধ্যে থাকে না। ভোটের সময় একজনের পক্ষে ভোট করেছে। এটাই তার অপরাধ। বর্তমান চেয়ারম্যানের লোকজন তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তিনি এই হত্যার বিচার চান।
অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, মেহেদী আগে যেটাই করুক, বৃহস্পতিবার থেকে সে তাঁর সমাজের লোকজনের সঙ্গে মিশে ছিল। যারাই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের উপযুক্ত বিচার হবে এটা তিনিও চান। অপরাধীদের যেন কোনো ছাড় দেওয়া না হয়।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ-সমর্থিত চেয়ারম্যান মাহমুদুল ও পরাজিত বিদ্রোহী প্রার্থী জুলফিকারের কর্মী-সমর্থকেরা নির্বাচনের আগে থেকে সহিংসতা আর হানাহানিতে লিপ্ত রয়েছেন। তাঁরা তফসিল ঘোষণার আগে থেকে মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে লবিং-গ্রুপিং করছিলেন। এরপর দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পর মাহমুদুল আবার নৌকা প্রতীক পান। আর জুলফিকার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন। আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি।
সারুটিয়া গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী এক বাসিন্দা বলেন, মাহমুদুল নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রথম যেদিন কাতলাগাড়ি বাজারে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে আসেন, সেদিনই প্রথম মারামারির ঘটনা ঘটে। এরপর ৩১ ডিসেম্বর কাতলাগাড়ি বাজারে নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালায় প্রতিপক্ষ। সেখানে বসে থাকা অবস্থায় পাঁচজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। শৈলকুপা হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান হারান আলী নামের একজন। তিনি কাতলাগাড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা ছিলেন। পরদিন ভাটবাড়িয়া গ্রামের জসিম উদ্দিনকে বাড়ির পাশে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। জসিমও ছিলেন নৌকার সমর্থক। ৫ জানুয়ারি ভোটের দিন ৩১ ডিসেম্বরের ঘটনায় আহত অখিল সরকার কুষ্টিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনিও আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা ছিলেন। ৭ জানুয়ারি রাজশাহীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবদুর রহিম। তিনিও ওই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন। সর্বশেষ মারা গেলেন মেহেদী।
নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা দাবি করেন, যাঁদের হত্যা করা হয়েছে, তাঁরা কেউ সক্রিয় রাজনীতি করতেন না। নির্বাচনের সময় ভোটের উৎসব দেখতে নির্বাচনী ক্যাম্পে যান। সেখানে বসে থাকা অবস্থায় বেশির ভাগ হামলার ঘটনা ঘটে।
নিহত আবদুর রহিমের ছেলে অহিদুল ইসলাম বলেন, তাঁর বাবা ছিলেন চেয়ারম্যান মাহমুদুলের সমর্থক। তিনি কোনো রাজনীতি না করলেও ভোটের সময় নৌকার অফিসে গিয়েছিলেন। প্রতিপক্ষ জুলফিকারের সমর্থকেরা হামলা চালিয়ে তাঁকে হত্যা করেছেন। তাঁরা অনেক চেষ্টা করেও বাবাকে বাঁচাতে পারেননি। তিনি এ হত্যার বিচার দাবি করেন।
নিহত হারান আলীর স্ত্রী সুফিয়া বেগম বলেন, তাঁর স্বামী খুবই দরিদ্র। তাঁর এক ছেলে প্রতিবন্ধী। এখন তিনি কীভাবে বেঁচে থাকবেন, ভেবে পাচ্ছেন না।
মেহেদী খুনের বিষয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনী সহিংসতায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে তাঁদের ধারণা। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা চলছে। সর্বশেষ খুনের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।
Post Views:
12