কুমিল্লায় গোমতীর নদীর তীরে চাষ হচ্ছে কাশ্মিরী আপেল কুল। জেলার সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের গোমতী নদীর তীরে ঝাকুনিপাড়া গ্রামের শাহজাহান। বিদেশ যাওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে শুরু করেন আপেল কুলের চাষ। তার পুরো বাগান জুড়েই বিভিন্ন ফুলের সাথে কাশ্মিরি আপেল কুলের সমাহার। তার এই কুলের বাগান দেখে এখন অনেকেই কুল চাষে আগ্রহী হয়েছেন।
জানা যায়, ২০১৯ সালে মাত্র ৩০ হাজার টাকা ধার নিয়ে শখের বশে শুরু করেছিলেন কাশ্মিরী কুল চাষ। গোমতীর চরে ৮০ শতাংশ জমিতে রোপণ করেছিলেন কাশ্মিরী কুলের ৩৫০টি চারা। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৬০০টিতে। আপেলের মতো সবুজ ও হালকা হলুদের ওপর লাল। স্বাদ হালকা মিষ্টি, অনেকটা বাউকুলের মত। আপেল কুল ও বাউকুলের থেকে আকারে বেশ বড় এ কাশ্মিরী আপেল কুল।
কৃষক শাহজাহান বলেন, প্রতিটি বছর গাছে প্রচুর পরিমাণে কুল ধরে। প্রথম ও ২য় বছর মিলে তিনি লাভ করেছি ৩ লক্ষ টাকা। এবার প্রতিটি গাছে ৩০-৪০ কেজি করে কুল ধরেছে। প্রতি কেজি কুল ২০০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সব মিলিয়ে এবার ৬ লাখ টাকার কুল বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি।
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, এ জেলাতে এখন কাশ্মীরি আপেল কুল চাষ হচ্ছে। এই জাতের কুল চাষে চাষিদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।