লক্ষ্মীপুরে বরই চাষে সফল হয়েছেন আব্দুল করিম। ইউটিউবের একটি প্রতিবেদন দেখে বরই চাষে আগ্রহ জাগে তার। এর পরেই চারা সংগ্রহ করে শুরু করেন বরই চাষ। আবহাওয়া ও জমি চাষের উপযোগী হওয়ায় ফলন বেশ ভালো হয়েছে। এরই মধ্যে তিনি প্রায় ৫০ হাজার টাকার বরই বিক্রি করেছেন। তার দেখাদেখি এখন অনেকেই বরই চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
জানা যায়, উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের সূতার গোপটার ইজতেমা মাঠ এলাকা ৬৬ শতাংশ জমিতে তিনি বরই গাছের চারা রোপন করেছিলেন তিনি। খুলনা থেকে তিনি কুরিয়ারে চারাগাছগুলো ক্রয় করে আনেন তিনি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তাকে এই বরই চাষাবাদে সহযোগীতা করেছেন।
আবদুল করিম বলেন, বার্ষিক চুক্তিতে জমিটি লিজ নেওয়া হয়েছে। বাগানটিতে কাষ্মেরী ও বল সুন্দরী বরই উৎপাদন করা হয়েছে। গাছ থেকেই পাকা বরই সংগ্রহ করে বিক্রি করা হয়। এতে বরইগুলো স্বাদও বেশি হচ্ছে।
বরই কিনতে আসা হাসান আলী বলেন, এই ধরণের একক বরই বাগান আমাদের এখানে আর কোথাও নজরে পড়েনি। বরইগুলোও ক্ষেতে দারুণ মিষ্টি। ঝুঁকি নিয়েই আবদুল করিম বরই বাগানে সফলতা দেখছেন। তার মতো অন্যরাও বরই চাষ করলে এ অঞ্চল কৃষিক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যাবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানান, এ জেলায় কাষ্মেরি, বাউল ও বল সুন্দরী বরই উৎপাদন হয়। কিভাবে চারা উৎপাদন করে তা সম্প্রসারণ করতে হয় সে ব্যাপারে আমরা কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছি। আবদুল করিমের বাগানে পর্যাপ্ত বরই উৎপাদন হয়েছে। তিনি এ বাগান থেকে ৬-৭ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন আশা করছি।