যশোর জেলার কেশবপুরের হরিহর নদীর পানিতে ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। বদ্ধ জলাশয়ে ভাসমান পানিতে বিশেষ পদ্ধতিতে নানা জাতের সবজির চাষাবাদ করছেন স্থানীয় প্রান্তিক চাষিরা। পানির ওপরে মাচায় ঝুলে আছে নানা জাতের শীতের আগাম সবজি। নৌকায় নিয়ে বাগান থেকে সবজি তুলছেন তারা।
জানা যায়, ছোট ছোট বেড কচুরিপানা দিয়ে তৈরি করে সেখানে চাষ হচ্ছে ঢেঁড়স, বরবটি, লাউ, কুমড়া, লালশাক, ঝিঙা, পুঁইশাক, ডাটা শাক, পালং শাক, পেঁয়াজ, রসুন, বরবটিসহ বিভিন্ন ধরণের সবজি। সার কিংবা কীটনাশক ছাড়াই এ পদ্ধতিতে চাষ করা হচ্ছে। কচুরিপানার বেড জৈব সার হিসেবে অনান্য ফসলে ব্যবহার করা যায়। এতে ফলন বেশি হয় এবং বাজারে দামও পাওয়া যায় বেশি বলে জানিয়েছেন একাধিক চাষি।
চাষি কেশব বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে তারা ভাসমান এই পদ্ধতিতে সবজির চাষ করছেন। এর ফলে কম খরচে উৎপাদন বেশি হওয়ায় লাভও ভালো পাচ্ছেন চাষিরা। আনেকে এক মৌসুমে ৪০-৫০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করছেন।
রাজবংশী পাড়ার পারুল বিশ্বাস জানান, তিনি ওই নদীতে তিনটি ভাসমান বেড করেছেন। তাতে লাল শাক, সবুজ শাক, পুঁইশাক, ডাটা শাক এবং ভাসমান বেডের ওপর মাচা (বান) করে লাউ ও চাল কুমড়ার চাষ করেছেন। এতে তিনি সংসারের প্রয়োজন মিটিয়ে অতিরিক্ত সবজি বাজারে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার জানন, আবদ্ধ জলাশয় পরিতক্ত্য অবস্থায় ফেলে না রেখে এই ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে চাষিরা অনায়াসেই স্বাবলম্বী হতে পারছে। যাদের কৃষি জমি নেই তারা এ পদ্ধতিতে সবজি আবাদ করছেন এবং লাভবানও হচ্ছেন। সার ও কীটনাশক প্রয়োগ ছাড়াই এসব সবজি উৎপাদিত হচ্ছে ফলে এসবের চাহিদাও অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন তিনি।