টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ভিডিও অ্যানালেটিকের মাধ্যমে খামারে গবাদিপশু বিশেষ করে গরুর গতিবিধি পর্যবেক্ষন করে ‘ক্যাটলআই’। স্বাভাবিকভাবে সাধারন চোখে পশুর যে সমস্যা ধরা পরে না এই মেশিন তা বোঝতে পারে। ফলে পঙ্গুত্ব বা খোঁড়া হওয়ার মতো রোগগুলো খুব তারাতারি শনাক্ত করে চিকিৎসার পদক্ষেপ নেয়া যায়।
ক্যাটলআইয়ের প্রধান নির্বাহি এবং সহযোগি প্রতিষ্ঠাতা টেরি ক্যানিং বলেছেন, ‘সত্যিকার অর্থেই গরু যখন খায় অথবা ঘুমায় তখন তা সম্পূর্ণরূপে পর্যবেক্ষণ করতে চেয়েছি আমরা।’
তার প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তি গবাদিপশুর পঙ্গুত্বের প্রাথমিক লক্ষণ শনাক্ত করতে পারে। প্রযুক্তিটি এই মুহুর্তে গরুর থেকে দুধ নেয়ার শেডের মধ্যে সীমাবদ্ধ। কিন্তু অচিরেই তা বিভিন্ন দেশের দুগ্ধজাত খামারে চালু করা হবে; জানা গিয়েছে এসব খামারের বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে। বর্তমানে ২০ হাজার গরু এই প্রযুক্তির পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
গবাদিপশুর খামারগুলো নানাবিধ কারণে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা গ্রহন করছে। এসব কারণের মধ্যে শ্রমিক সংকট উল্লেখযোগ্য। এছাড়া নতুন প্রযুক্তিগুলোর কল্যাণে গবাদিপশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং দূষণও কমছে। টেরি ক্যানিং এর ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘আমরা হিসাব করে দেখেছি আপনি যদি পশুর পঙ্গুত্বের হার ১০ শতাংশ কমাতে সক্ষম হন তাহলে বছরে গরু প্রতি আধা টন কার্বন সাশ্রয় হবে।’
উল্লেখ্য, আঘাত অথবা কোন সংক্রমন থেকে পশু পঙ্গুত্ব বরন করে। পক্ষাঘাতগ্রস্ত গরু তুলনামূলক কম দুধ দেয় এবং সময়মত চিকিৎসা না করালে পশুটি মারাও যেতে পারে।
ইউনিভার্সিটি অব লিভারপুলের গবেষকরা তিনটি খামারে ক্যাটেলআইয়ের কার্যক্ষমতা নিয়ে গবেষণা করেছেন। তারা ৮৪টি গরুর পায়ের সমস্যা নিয়ে পরীক্ষা করেছেন, তারা দেখতে পেয়েছেন এ সমস্যা শনাক্তে মানুষের চেয়ে এআই প্রযুক্তি কিছুটা এগিয়ে।
বিবিসি/আরএপি