চুয়াডাঙ্গায় কুল চাষে লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। জেলায় বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে উচ্চ ফলনশীল জাতের কুলবাগান। কুল বাগানগুলো থোকায় থোকায় ভরে গেছে। বাজারে বলসুন্দরী, কাশ্মীরি, ভারতসুন্দরী ও টক-মিষ্টি কুলের ব্যাপক চাহিদা থাকায় ছোট-বড় বাগান গড়ে উঠেছে। অল্প সময়ে কুল চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা হওয়ায় কৃষক ও শিক্ষিত বেকার যুবকরা বাগান গড়ে তুলছেন।
জানা যায়, কুল উচ্চ ফলনশীল জাতের ফল হওয়ায় শীতকালে বাজারে চাহিদা থাকে ব্যাপক। চুয়াডাঙ্গার বাজারে কুলের চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, সাভার, গাজিপুর, খুলনা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী দেশের বিভিন্ন জেলায় যায়। কুলগাছ লাগানোর ৭ মাস পর থেকে গাছে ফুল আসতে শুরু হয়। কুলের কাঁচা-পাকায় গায়ের রং সবুজ, হলদে, গাড় খয়েরি ও ভেতরের রং সাদা।
কৃষক শাকিল বিশ্বাস বলেন, ভারত থেকে উচ্চ ফলনশীল জাতের কুলের চারা সংগ্রহ করে চাষ করছি। লাভজনক ব্যবসা, খরচ তুলনামূলক অনেক কম। এ চাষে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে প্রতি বছর। ভালো জাত নির্বাচন করে কুল চাষ করতে হবে।
আরেক কৃষক শিমুল হোসেন পোলক জানান, ঢাকায় চাকরি ছেড়ে চুয়াডাঙ্গায় ফিরে কৃষি নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করি। সেই চিন্তা থেকে ভারতসুন্দরী ও বলসুন্দরী জাতের কুল চাষ করছি ৬ বিঘা জমিতে। বাগানের বয়স ৯ মাস।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ভারত থেকে বিভিন্ন জাতের কুল গাছ আসছে। বাজারে কুলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতারা কাছে। কুল চুয়াডাঙ্গায় চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্য জেলায় যাচ্ছে।