টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: টিকটকে প্রচারিত বিভিন্নরকম ভিডিওর কনটেন্ট নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থায় ‘অস্বাস্থ্যকর খাওয়ার’ অভ্যাস তৈরি করে এমন বিতর্কিত কনটেন্ট সরিয়ে ফেলতে নিজেদের নির্দেশনাবলীতে পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে চীনের এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। এছাড়াও ভবিষ্যতে অতিরিক্ত ব্যায়াম এবং স্বল্পমেয়াদী ডায়েটে উৎসাহ দেয় এমন ভিডিও সরিয়ে ফেলবে টিকটক।
টিকটকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা এমন একটি সিস্টেম তৈরি করবে যার মাধ্যমে প্রাপ্ত বয়স্কদের নগ্নতা, অবৈধ কার্যকলাপ অথবা সংখ্যালঘুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ভিডিওগুলো শনাক্ত করে মুছে ফেলা যাবে। বিভিন্ন রাজনীতিবিদ এবং রেগুলেটরদের উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে এসব পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
তরুন ব্যবহারকারীদের আচরন ও নিরাপত্তার বিষয়ে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিগত মাসগুলোয় বেশ নজরদারির মধ্যে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলো। এর মধ্যে ‘অনলাইন সেফটি বিল’ নামে একটি নতুন আইন প্রনয়নের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাজ্য সরকার। ক্ষতিকর কনটেন্ট সরিয়ে ফেলতে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রহনে ব্যর্থ হবে এমন মিডিয়া প্লাটফর্মগুলোকে মোটা অঙ্কের জরিমানা গুনতে হবে এ আইনের ফলে।
এছাড়া নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে গত অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রশ্নের সম্মুখিন হয় টিকটক। মার্কিন সিনেটররা বলেন, প্লাটফর্মটিতে ‘বিশৃঙ্খলাপূর্ণ খাওয়ার’ কনটেন্ট প্রচার হয়।
গত সেপ্টেম্বরে টিকটকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিলো প্রতিমাসে প্রায় এক বিলিয়ন মানুষ তাদের এই অ্যাপটি ব্যবহার করে। ২০২১ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে ৯১ মিলিয়ন ভিডিও সরিয়ে ফেলেছে তারা; যার মধ্যে ৮৮ শতাংশই দর্শকরা দেখার আগেই মুছে ফেলা হয়েছে। লিঙ্গবৈষম্য, স্ত্রী-বিদ্বেষ এবং রূপান্তরে উৎসাহ দেয় এমন বিদ্বেষপূর্ণ কনটেন্টগুলো এরইমধ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিষয়টি পরিস্কার করতে তাদের কমিউনিটি গাইডলাইনগুলো আরো স্বচ্ছ করা হবে। ‘বিশৃঙ্খলাপূর্ণ খাওয়ার’ অভ্যাস তৈরি করে এমন ভিডিওগুলোর দিকে এখন নজর দেয়া হবে।
টিকটকের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছে, কিশোর-কিশোরিরা নির্দিষ্ট ধরনের কনটেন্ট দেখতে না পারে সেজন্য একটি সিস্টেম তৈরি করা হবে। এছাড়া ব্যবহারকারীরা যাতে নিজস্ব কনটেন্ট ট্যাগ করতে পারে এমন একটি ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে টিকটক। চলতি বছর ওয়াশিংটন, ডাবলিন এবং সিঙ্গাপুরে সাইবার-দূর্ঘটনা তদন্ত ও পর্যবেক্ষন সেন্টার স্থাপন করবে কোম্পানিটি। টিকটকের কনটেন্ট, অ্যাকাউন্ট , সিস্টেম ও তথ্যে অনুমোতিবিহীন প্রবেশ নিষিদ্ধের অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
বিবিসি/আরএপি