আগামী ১৫ তারিখ বসছে অমর একুশে বইমেলা ২০২২। বইমেলাকে সামনে রেখে অনেক লেখকই বাচ্চা জন্মদানের কাজ হাতে নিয়েছেন৷ অনেকে ইতোমধ্যে বাচ্চা প্রসব করে ফেললেও, অনেকের বাচ্চা আটকে আছে প্রেসে। অনেকে আবার এখনো প্রসব করতে পারেননি, প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছেন তারা৷
সব্যসাচী লেখক আদাত হাসান এবার একসাথে ৪টি বাচ্চা প্রসব করবেন৷ তার মধ্যে দু’টি ফেব্রুয়ারির এক তারিখে প্রসব হয়ে গেলেও, একটি পোস্ট প্রসব জটিলতায় আটকে আছে প্রেসে৷ বাকি একটির জন্য কাতরাতে হচ্ছে এই লেখক৷ তিনি বলেন, ‘প্রায় শেষের দিকে। ক্লাইমেক্স মিলিয়ে প্রায় ২০ পাতা এখনও বাকি৷ জাস্ট একটু জোরে একটা চিল্লানি দিতে পারলেই পুরোটা হয়ে যাবে৷ এরপর চারজনকে কোলে নিয়েই থাকবো ৪২০ নাম্বার স্টলে।’
প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছেন জারিফ অন্ধকার নামের অন্য এক লেখক। তিনিও প্রায়ই অর্ধেক বাচ্চা প্রসব করে ফেলেছেন৷ আটকে আছে বাকি অর্ধেক৷ অনেক চেষ্টা তদবির করেও বাকি অর্ধেক প্রসব করতে পারছেন না৷ লেখক এটাকে রাইটার্স ব্লক বললেও প্রকাশক বলছেন ভিন্ন কথা৷ জানুয়ারির ১৫ তারিখ ডেলিভারি ডেট থাকলেও পেছাতে পেছাতে সেটা ফেব্রুয়ারির ১৫তে আনা হয়েছে৷ কিন্তু পজিশন দেখে মনে হচ্ছে এপ্রিলেও ডেলিভারি হবে না। যদিও এতে প্রকাশক খুব একটা চিন্তিত না। তিনি বলেন, ‘১৫ তারিখের মধ্যে না আসলে ওনাকে সিজার করাইতে হবে৷ নতুন লেখক তো, সিজার ছাড়া ডেলিভারি মনে হয় হবে না।’
এদিকে বইমেলা ফেব্রুয়ারির এক তারিখ থেকে পিছিয়ে ১৫ তারিখে নেয়ায় বেশ খুশি অন্য এক লেখক নাজাদ। তিনি বলেন, ‘৪টা ডেলিভারি হয়েছে৷ ১৫ দিন বাড়তি সময় পাওয়ায় বেশ ভালো হয়েছে৷ দ্রুতই প্রেগন্যান্ট হয়ে নিয়েছিলাম। ১৫ তারিখের আগেই আমার এই বছরের পঞ্চম সন্তান ‘মিষ্টি প্রেমের গল্প’ প্রসব করবো। দোয়া করবেন।’