আল-আমীন দেওয়ান : কলড্রপের ক্ষতিপূরণ পেতে শুরু করেছেন সরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটকের গ্রাহকরা ।
কারিগরি সক্ষমতা না থাকার কারণে এতোদিন অপারেটরটির গ্রাহকরা কলড্রপের ক্ষতিপূরণ পেতেন না।
বিটিআরসি ২০২১ সালের শেষে দিকে টেলিযোগাযোগ খাতের সেবার মান ও কলড্রপ পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে দেখে যে, টেলিটক গ্রাহকদের কোনো কলড্রপের ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে না।
তখন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা টেলিটককে ৩ মাসের সময় দেয় যে, এরমধ্যে কলড্রপ হওয়া মিনিটের তথ্য সংগ্রহের কারিগরি সক্ষমতা অর্জনসহ কলড্রপের বিপরীতে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
টেলিটক কেনো সক্ষমতা অর্জন করেনি তারও ব্যাখ্যা ওই সময় চেয়েছিলো বিটিআরসি।
সম্প্রতি বেঁধে দেয়া ওই সময় ফুরিয়েছে।
টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন টেকশহর ডটকমকে জানান, বেঁধে দেয়া সময়ের আগেই তারা কলড্রপের ক্ষতিপূরণ দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে এবং গ্রাহকদের অন-নেট কলের ক্ষতিপূরণও দিচ্ছেন।
বিটিআরসির সর্বশেষ হিসাবে, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা ৬৬ লাখ ৭০ হাজার।
বিটিআরসির নির্দেশানা অনুয়ায়ী মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে প্রতি মিনিট কলড্রপের জন্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে গ্রাহককে ফ্রি টক-টাইম দেওয়ার কথা ।
তবে দেশে গ্রাহকরা এখন শুধু অন-নেট কলড্রপের ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন। এতোদিন এটা গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক দিচ্ছিল, যেখানে এখন টেলিটকও দিচ্ছে।
যদিও অফ-নেট কলড্রপের ক্ষতিপূরণ এখনও কোনো মোবাইল ফোন অপারেটর দেয় না। এতে কারগরি জটিলতার কথা বলছে অপারেটরগুলো।
যেখানে অরিজিনেটিং অপারেটর ( যে অপারেটরের নেটওয়ার্কে কল করা হয়) , আইসিএক্স ও টার্মিনেটিং অপারেটর (যে অপারেটরের নেটওয়ার্কে কল রিসিভ হয়)- এই তিন অপারেটরের মধ্যে কোন অপারেটরের কারণে কলড্রপ তা নির্ধারণে এই কারিগরি জটিলতা।
যিনি কল করেন এবং যিনি রিসিভ করেন দু’জনের নেটওয়ার্ক একই অপারেটরের হলে তা অন-নেট এবং এই নেটওয়ার্ক যদি দুটি আলাদা অপারেটরের হয় তাহলে সেটি অফ-নেট কল হিসেবে বিবেচিত হয়।
বিটিআরসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে অন-নেট ও অফ-নেট মিলিয়ে মোট ৫২ কোটি ৫৯ লাখ মিনিট কলড্রপ হযেছে।
যেখানে অপারেটররা শুধুমাত্র অন-নেট কলড্রপের জন্য গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছে।