টেকশহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে মস্তিষ্ক বিকৃত ও অপরিসীম কষ্ট দিয়ে আটটি বানর মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ইলন মাস্কের নিউরো টেকনোলজি কোম্পানি নিউরালিংক করপোরেশনের বিরুদ্ধে। দ্য ফিজিশিয়ার কমিটি ফর রেসপনসিবল মেডিসিনের (পিসিআরএম) পক্ষ থেকে উত্থাপিত এ অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে কোম্পনিটি।
‘মস্তিষ্ক ইমপ্লান্ট’ করা নিয়ে বহুদিন ধরেই নিউরো টেকনোলজি একটি বিতর্কিত কোম্পানি। পিসিআরএমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোম্পানিটি জানিয়েছে যে, মস্তিষ্কে চিপ সংস্থাপনের পরীক্ষা নীরিক্ষার জন্য তারা আটটি বানরকে অজ্ঞান করেছিলো। তবে বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে কোন দুঃখবোধ কাজ করে নি। বরং অফিসিয়াল ব্লগ পোস্টে পাল্টা সমালোচনা করে বলা হয়েছে, ‘এটি খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে অভিযোগগুলো এমন সব লোকের পক্ষ থেকে আসছে যারা গবেষনায় প্রানীদের ব্যবহারের বিপক্ষে।’
নিউরালিংকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জৈবিক এবং যন্ত্র বুদ্ধিমত্তাকে একত্রিত করার একটি উপায় খোঁজে বের করতে ‘প্রাণীদের সঙ্গে যতটা সম্ভব মানবিক এবং নৈতিকতার সঙ্গে কাজ করা নিয়ে কোম্পানি প্রতিশ্রুতিব্ধ।’
কোম্পানিটি স্বীকার করেছে ব্রেইন চিপ টেকনোলজি সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তারা আটটি বানরকে ঘুম পারিয়েছিলো। তবে এই প্রানীদেও ‘অতিমাত্রায় কষ্ট’ দেয়া হয়েছে পিসিআরএমের এমন দাবি স্বীকার করে নি তারা। এ প্রসঙ্গে নিউরালিংক আরো জানিয়েছে, ‘গুরুত্বপূর্ণ হিস্টোলজিক্যল তথ্য সংগ্রহের জন্য’ পরীক্ষা-নিরীক্ষার শেষের দিকে দুটি প্রাণীকে অজ্ঞান করা হয়েছিলো। এছাড়া অন্য ছয়টি বানরকে ইউসি ডেভিসের ভেটারনারি কর্মকর্তাদের পরামর্শে অজ্ঞান করা করা হয়েছিলো।’
কোম্পানিটি আরো জোর দিয়ে বলেছে, তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পদ্ধতি শুধুমাত্র অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাক্টের নীতিমালা নয় কেয়ার অ্যান্ড ইউস অব লেবরাটেরি অ্যানিমেলসের নীতিমালাও মেনে চলে।
এদিকে পিসিআরএমের প্রতিবেদনটিকে বলা হয়েছে, ‘নিউরালিংক এবং ইউসি ডেভিসের কর্মচারীরা পর্যাপ্ত যত্মের অভাবে বানরগুলো মারা গিয়েছে। তারা ‘বায়োগ্লো’ নামে একটি অনুমোদনহীন পদার্থ ব্যবহার করেছিলো যা বানরদের মস্তিষ্কের একাংশ ধ্বংস করে তাদেরকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে।’ ইন্টারনেট/আরএপি