সার-বীজ সহ বিভিন্ন ধরনের সরকারি প্রণোদনার আওতায় আসছে তিস্তা চরের প্রান্তিক কৃষকরা। এর ফলে বিগত সময়ের লোকসান কাটিয়ে অধিক লাভবান হতে পারবে বল মনে করছেন স্থানীয় চরাঞ্চলের কৃষকরা। এছাড়াও গ্রামীণ অর্থনীতিতে এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।
রংপুর আঞ্চলিক কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলায় তিস্তা নদীর ১ হাজার ৩৭৬টি চরে ১ লাখ ৯১ হাজার হেক্টর জমি রয়েছে। এসব জমিতে চাষ করা হচ্ছে গম, ভুট্টা, চিনাবাদাম, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, স্কোয়াশ, মটরশুঁটি, পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন, কালোজিরা, সূর্যমুখী, সরিষা, কলা, আলু, তিল, মেথি, মসুর ডালসহ ২৮ প্রকার ফসল।
চরের কৃষকরা জানান, তারা জমির উপর থেকে বালুর স্তূপ সরিয়ে সেখানে চাষ করেছেন বিভিন্ন জাতের সবজি। নিজেদের ভাগ্য বদলের জন্য দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তারা। আর তাদের সহযোগিতা করছে পরিবারের সদস্যরা।
রংপুরের হারাগাছ পৌর এলাকার মিলনের চরের কৃষক আবু আলী জানান, এবার চরের দেড় একর জমিতে পেঁয়াজ, আলু, কুমড়া, মরিচ চাষ করেছেন। এতে খরচ কম ও বেশি লাভ হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত উপপরিচালক মাহবুবার রহমান জানান, চরের কৃষকদের নানাভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। তাদের প্রণোদনার আওতায় আনা হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে সার-বীজ। এছাড়া যখন যে সমস্যা দেখা দিচ্ছে- তাৎক্ষণিক তা সমাধান করা হচ্ছে।