শান্ত ও নিরিহ প্রাণী খরগোশের খামারে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন হবিগঞ্জের সদর উপজেলার রিচি গ্রামের সৌখিন খামারি আব্দুল হান্নান। ১ হাজার ৬০০ টাকা মূল্যের ৫টি খরগোশ দিয়ে খামার শুরু করলেও আজ তার খামারে খরগোশের সংখ্যা ৭০ টি৷
জানা যায়, ষাড় মোটাতাজাকরণ, দুধের গাভী পালন, চিনাহাঁস ও কবুতর পালনের পাশাপাশি ৬ মাস পূর্বে শখের বসেই শুরু করেন খরগোশ পালন। অল্প সময়ে এই খরগোশ থেকেই তার খামার বড় আয়ের মুখ দেখেছে। প্রতি মাসে খরগোশ বিক্রি থেকে আয় আসে ৫ হাজার টাকা। এই টাকা দিয়ে তার ছেলের লেখাপড়ার খরচ চালান।
হান্নান বলেন, খরগোশের বয়স ৪ মাস হলেই বাচ্চা দেয়ার উপযোগী হয়। ৪০ দিনে বাচ্চা প্রসব করে। প্রসবের২/১দিন পরই আবারও খরগোশ গর্ভধারণ করে। ফলে বছরে ৬/৭ বার বাচ্চা দেখে একেকটি খরগোশ। একসাথে ৭/৬টি বাচ্চা প্রসাব করে।
তিনি আরও বলেন, ৩মাস বয়স হলেই খরগোশ খাওয়ার উপযোগী হয়। এক থেকে দেড় কেজি ওজনের হয় প্রতিটি খরগোশ। বড় খরগোশ বিক্রি হয় ১ থেকে দেড় হাজার টাকা পিস। ছোট বাচ্চা বিক্রি হয় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পিস।
এ প্রসঙ্গে হবিগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, খরগোশ পালন একটি লাভজনক পেশা। বর্তমানে অনেকেই খরগোশ পালন শুরু করছেন এছাড়াও আমিষের চাহিদা পূরণে খরগোশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অন্য প্রাণীর তুলনায় খরগোশ সহজেই পালন করা যায়। এটির খাদ্য এবং ব্যবস্থাপনা সহজ বিধায় বাড়ির মহিলা ও ছেলেমেয়েরা কাজের ফাঁকে ফাঁকে সহজেই খরগোশ পালন করতে পারেন।