আল-আমীন দেওয়ান : অ্যাপস্টোর তৈরি করেছে মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংক।
‘অ্যাপলিংক’ নামে এই স্টোরটিকে নিজেদের বিভিন্ন পণ্য ও সেবা বিক্রির পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটপ্লেস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে অপারেটরটি।
যেখানে দেশ-বিদেশে অ্যাপ এবং গেইমস ডেভেলপাররা তাদের ডেভেলপ করা পণ্য যেমন বিক্রি করতে পারবেন আবার প্রয়োজনে যে কেউ তা কিনতেও পারবেন।
বাংলালিংক বলছে, তারা দেশীয় অ্যাপ নির্মাতা, ডেভেলপার ও ডিজিটাল পণ্য বিক্রেতাদের এমন একটি প্লাটফর্ম করে দিতে চান যেখানে তারা সহজে তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারেন, আয় করতে পারেন।
বিটিআরসি বেশ কিছু শর্ত দিয়ে ‘সেলুলার মোবাইল ফোন অপারেটর-টেলিকম ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস প্রোভাইডার (সিএমপিও-টিভাস’ হিসেবে বাংলালিংককে এই অ্যাপস্টোর চালুর অনুমতি দিয়েছে।
অপারেটরটিকে এই অ্যাপস্টোর হতে আয়ের একটি অংশ বিটিআরসিকে দিতে হবে। এছাড়া পণ্য, সেবা বা অ্যাপের ক্ষেত্রে এর প্রকৃত নির্মাতা বা মেধাস্বত্বকারীর লিখিত অনুমতি নেয়া, রাষ্ট্রবিরোধী ও সামাজিক অবক্ষয় হয় এমন কিছু না রাখার নিয়শ্চতা, অ্যাপস্টোরের সেবার বিস্তারিত তিন মাস পরপর বিটিআরসিকে জানানো, বিদেশী প্রতিষ্ঠানে অর্থ পাঠানোর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমিত নেয়া ও তা বিটিআরসিতে দাখিল করা, গ্রাহকের অভিযোগ ৭ দিনের মধ্যে সমাধান করা, বিভিন্ন পণ্য ও সেবা বিনামূল্যে অথবা সিএমপিও-টিভাস’ এর জন্য বিটিআরসি অনুমোদিত ট্যারিফ ঠিক রাখাসহ বিভিন্ন শর্ত দেয়া হয়েছে।
বাংলালিংক কর্তৃপক্ষ বলছে, শিগগির তারা অ্যাপস্টোরটি চালু করতে চান।
দেশীয় অ্যাপস্টোর হতে বিকাশ-নগদ-রকেটের মতো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবাগুলো দিয়ে সহজেই চাহিদা অনুযায়ী অ্যাপ ও বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা কিনতে পারবেন যেকেউ। দেশীয় প্লাটফর্মে আনলিমিটেড মোবাইল মোবাইল ফোনের ব্যালেন্সও কাজে লাগানো যায়। এছাড়া অন্যান্য ডিজিটাল পেইমেন্ট পদ্ধতিও রয়েছে।
তবে বিভিন্ন বিদেশী অ্যাপস্টোরের ক্ষেত্রে দেশে মাসে ৬০০ টাকা পর্যন্ত মোবাইল ফোনের ব্যালেন্স ব্যবহার করে মোবাইল অ্যাপ, গেইমস বা যে কোনো ডিজিটাল সেবা কেনা যায়। যে সব গ্রাহকের হাতে ক্রেডিট কার্ড নেই তারা সহজেই এই পদ্ধতিতে অ্যাপ এবং গেইমস কেনার সুবিধা পেয়ে থাকে।