মুন্সিগঞ্জে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ। অল্প জায়গায় অধিক পরিমাণে মাছের চাষ করে লাভবান হওয়ার কারণে দিন দিন এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। চাকুরি করার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকেই বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মাহবুব মোল্লা একটি কোম্পানিতে চাকরি করার পাশাপাশি বায়োফ্লকের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন বাড়িতেই মাছ চাষ করছেন। তার এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ দেখে এখন অনেকেই আগ্রহী হয়ে শুরু করেছেন মাছ চাষ। এ পদ্ধতিতে মাছ চাষের ব্যাপারে অনেকেই নিচ্ছেন বিভিন্ন পরামর্শ।
মাহবুব মোল্লা বলেন, বাড়ির উঠানে সামান্য জায়গায় ইট, বালি ও সিমেন্ট দিয়ে ৩০ হাজার লিটার পানি ধারণ ক্ষমতার ৫টি হাউজ ও একটি ১০ হাজার লিটার পানি ধারণ ক্ষমতার হাউজ তৈরি করি। হাউজে পানি সরবরাহের জন্য স্থাপন করা হয়েছে পাম্প। এছাড়া হাউজে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য ছয়টি মোটর এবং বিদ্যুৎ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে জেনারেটর রাখা হয়েছে। এ পদ্ধতিতে খুব কম জায়গায় অধিক পরিমাণ মাছ চাষ করা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা তৌহিদ খাঁন জানান, মাহবুব মোল্লার দেখাদেখি তিনি নতুন এ পদ্ধতিতে মাছের চাষ শুরু করেন। তার কাছ থেকে এ বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ নিচ্ছেন তিনি। এরই মধ্যে একটি প্রশিক্ষণও নিয়েছেন তিনি। এ পদ্ধতিতে মাছ চাষে লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জেলার মৎস্য কর্মকর্তারা বলেন, আমরা এখনও মাছ চাষের নতুন এ পদ্ধতির প্রশক্ষণের ব্যাবস্থা করিনি। এসব নিয়ে আমরা পরীক্ষা চালাচ্ছি। আর সফল হলেই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো। আর যারা এ পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেছেন আমরা তাদের সহযোগিতা করবো।