সুনামগঞ্জে মাছ চাষে সফল হয়েছেন সোহেল আহমেদ। জেলার দোয়ারা বাজারের সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের যুবক সোহেল আহমদ ভাগ্য বদলের জন্য মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন। সেখানে প্রায় এক দশক একটি কোম্পানিতে কাজ করেছেন তিনি। ২০১৬ সালে বিদেশের কাজ ছেড়ে দেশে এসে শুরু করেন মাছ চাষ।
জানা যায়, শুরুতেই বাড়ির পাশে ছোট একটি পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেছিলেন তিনি। বর্তমানে তার ৩০০ শতাংশ জমির একটি বিশাল পুকুরসহ ছোট-বড় মিলিয়ে তার আরও ৪ থেকে ৫টি পুকুর রয়েছে। এমন দৃষ্টান্ত দেখে নতুন করে অনেকেই মাছ চাষে ঝুঁকছেন। এছাড়া অনেক বেকার যুবক ও আশপাশের লোকজন তার পুকুরে শ্রমিক হিসেবে কাজ পেয়ে বেকারত্ব ঘুচিয়েছেন। এখন তিনি প্রতি বছর ৭-৮ লাখ টাকা আয় করছেন।
মাছ চাষি সোহেল আহমদ বলেন, দীর্ঘ সময় প্রবাসে ব্যয় করে যা আয় করেছি এখন তার চেয়ে বেশি উপার্জন করছি। বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করে এখন আমি বেশ লাভবান হয়েছি। আমার পরিকল্পনা আছে মাছ চাষের খামারকে আরও সম্প্রসারণ করা। চাকরির পিছনে না ছুটে কিংবা বিদেশগামী না হয়ে দেশের প্রতিটি এলাকার যুবকদের প্রত্যেকের নিজ এলাকায় আত্মকর্মসংস্থান তৈরি করা উচিত। অনেকেই মাছ চাষের পরামর্শ নেওয়ার জন্য আমার কাছে এলে আমি তাদের পরামর্শ দিয়ে থাকি।
মাছ ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম জানান, এখন বিদেশ ফেরত সোহেল আহমদের পুকুর থেকে মাছ কিনে নিয়ে দোয়ারা বাজার মাছ বাজারে গিয়ে বিক্রি করি। সোহেল আহমদ যেমন মাছ চাষে লাভবান হচ্ছেন ঠিক তেমনি আমরাও তার কাছ থেকে মাছ কিনে লাভে বিক্রি করতে পারছি।
দোয়ারাবাজার উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা তুষার কান্তি বর্মন বলেন, হাওরপাড়ে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষের পুকুরের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানকার আবহাওয়া ও মাটি মাছ চাষ করার জন্য খুবই উপযোগী। আমরা মাছ চাষে উৎসাহিত করতে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি।
আরো পড়ুনঃ মাছ চাষে গরুর গোবর ব্যবহারঃ ভালো নাকি
মৎস্য প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার