শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ১২:১৭ অপরাহ্ন

১৯ মিনিটের ভাষণে বাঙালি জাতির ২৩ বছরের শোষণ ও বঞ্চনার কথা তুলে ধরেছিলেন বঙ্গবন্ধু-পলক

  • Update Time : সোমবার, ৭ মার্চ, ২০২২
১৯ মিনিটের ভাষণে বাঙালি জাতির ২৩ বছরের শোষণ ও বঞ্চনার কথা তুলে ধরেছিলেন বঙ্গবন্ধু-পলক

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্বের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে , ১৯ মিনিটের এ ভাষণে বাঙালি জাতির ২৩ বছরের শোষণ ও বঞ্ছনার কথা তুলে ধরেছিলেন। যুদ্ধের প্রস্তুতি কিভাবে নিতে হবে এবং স্বাধীন বাংলাদেশের পথ চলা কেমন হবে সে নির্দেশনা, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক মুক্তির পথ-নকশা এ ভাষণে দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ কেবল আমাদের নয়, বিশ্বের স্বাধীনতা ও মুক্তিকামী মানুষের জন্য প্রেরণার এক চিরন্তন উৎস।

প্রতিমন্ত্রী সোমবার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষ্যে “বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ স্বাধীনতা ও মুক্তিকামী মানুষের প্রেরণার উৎস” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি’র মহাপরিচালক মো: খায়রুল আমীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক শফিকুল ইসলাম।

পলক বলেন, আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির যা কিছু আজ তার সব কিছুর ভিত্তি রচনা করে গেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু আন্দোলন, সংগ্রাম, ত্যাগ ও সাহসিকতা দিয়ে নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের জন্য তৈরি করেছিলেন। সদ্য-স্বাধীন, যুদ্ধ-বিধ্বস্ত, প্রযুক্তিনির্ভর, বিজ্ঞান মনস্ক প্রজন্ম উপহার দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু শিক্ষা নীতি প্রনয়ণ করে গেছেন।

Techshohor Youtube

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ২১ বছর মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ ও দর্শন, ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে দুটি প্রজন্মের কাছ থেকে দূরে সরে রেখেছিল। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা গবেষণা করছে, অমর কবিতা হিসেবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এ ভাষণকে বহন করে চলেছে। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক মুক্তি দিয়েছেন এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম সফল করেছেন। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল ও প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে।তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ড. আতিউর রহমান ০৭ মার্চের ভাষণের নান্দনিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ৭৪ শতাংশ তরুনের কাছে বঙ্গবন্ধু মানেই ৭ মার্চের ভাষণ। এই ভাষণের মাধ্যমে তিনি একটি জাতিকে শুধু চলার পথের দিশাই দেননি, পাশাপাশি তাঁর সারা জীবনের রাজনৈতিক সংগ্রামের দুঃখ, বঞ্চনা এবং ভবিষ্যতের রূপরেখাও তুলে ধরেছেন এক অবাক করা কাব্যিক মাধুর্য্যতায়। এ ভাষণেই তাঁর সুগভীর দার্শনিক চিন্তা ও গণমুখী নেতৃত্বের সর্বোচ্চ নান্দনিক প্রকাশ ঘটেছিলো। তাঁর এই সুকৌশল বার্তা বাংলার জনগন যথার্থই অনুধাবন করেছিলো, তাই তখন থেকেই তারা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিয়ে তিনি যার যা কিছু আছে তাই নিয়েই প্রস্তুত থাকার নির্দেশ প্রদান করেন।

আলোচনা সভায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহন করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক মো. খায়রুল আমীন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এর আগে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বিভাগের দপ্তর ও সংস্থা সমূহের কর্মকর্তাদের নিয়ে আইসিটি টাওয়ারে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য উন্মোচন করেন এবং তাতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।

সূত্র – প্রেস বিজ্ঞপ্তি

৭ মার্চ / ২০২২ / তাতা




Source by [author_name]

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Recent Posts

© 2023 sundarbon24.com|| All rights reserved.
Designer:Shimul Hossain
themesba-lates1749691102