টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : আসছে বাজেটে টেলিকম খাতের কর কাঠামোতে সংস্কার চায় মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন এমটব।
বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সভায় নতুন বাজেটে ৮ দফা দাবি দিয়েছে সংগঠনটি।
সভায় এমটব মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) এস এম ফরহাদ বলেন, বিগত বছরগুলোতে মোবাইল খাতের রাজস্ব দেশের জিডিপির ১ শতাংশের বেশি ছিল এবং এই খাতটির কর ও ফি প্রদানের পরিমাণ ছিল মোট সরকারি কর রাজস্বের সাড়ে ৪ শতাংশের মতো।
‘অর্থাৎ অর্থনীতিতে মোবাইল খাত সংশ্লিষ্ট করের অবদান এর আকারের ৪ গুণেরও বেশি। অপরদিকে সার্বিকভাবে অর্থনীতিতে এই খাতের অবদান জিডিপিতে আনুমানিক ৭ শতাংশ। মোবাইল কাভারেজের বিস্তৃতি সত্ত্বেও বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক এখনো মোবাইল নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হতে পারেনি। তাই ডিজিটাল অন্তর্ভূক্তির অন্যতম শর্ত হচ্ছে মোবাইল খাতে কর কাঠামোর সংস্কার’ বলছিলেন তিনি।
এমটবের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, অলাভজনক অপারেটরের উপর ন্যূনতম ২ শতাংশ টার্নওভার ট্যাক্স প্রত্যাহার বা যুক্তিসঙ্গত করা।
কর্পোরেট করের হারকে যৌক্তিক এবং সহনীয় পর্যায়ে হ্রাস করা । তালিকাভুক্ত (বর্তমান ৪০ শতাংশ ) ও অ-তালিকাভুক্ত (বর্তমান ৪৫ শতাংশ) অপারেটরদের কর ২৫ শতাংশ ও ৩২ শতাংশে এ নামিয়ে আনা।
দ্বৈত ট্যাক্সেশন এভয়ডেন্স এগ্রিমেন্ট র্কাযকর করা এবং ধারা ৫৬ এর অধীনে অনাবাসীদের যুক্তিসঙ্গত করা ।
কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি এর উদ্দেশ্যে করা অর্থপ্রদান অনুমোদনযোগ্য ব্যয় হিসাবে বিবেচিত করা।
মোবাইল এয়ারটাইমে ৩৩ দশমিক ২৫ শতাংশ শুল্ক প্রদান করতে হয়, যা প্রিপেইড প্রকৃতির। তাই, যে গ্রাহক প্রিপেইড এয়ারটাইম ব্যালেন্স ব্যবহার করে বিভিন্ন ডিজিটাল নন-টেলিকম পরিষেবা কেনেন, তাদের ১৬% অতিরিক্ত শুল্ক ( এসডি ১৫ শতাংশ এবং এসসি ১ শতাংশ) দিতে হয়। ভ্যাট আইন শুধুমাত্র ১৫ শতাংশ ভ্যাট সামঞ্জস্য করার অনুমতি দেয় । ভ্যাট আইনে প্রয়োজনীয় বিধান সন্নিবেশ করা ।
ফোরজির ক্ষেত্রে এই ভ্যাট ছাড়ের নির্দেশনা দেয়া ।
ডেটা পরিষেবায় সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং মূল্য সংযোজন কর ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আদর্শ কর হার বা ১৫ শতাংশ করা ৷
মোবাইল সিমের উপরে আরোপিত ২০০ টাকা কর বিলুপ্ত করা।
সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোতে ভ্যাট ছাড় ।