শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ১১:০৫ পূর্বাহ্ন

রুয়েটের উপাচার্যের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে হাজির হচ্ছেন সারা দেশের মানুষ

  • Update Time : রবিবার, ২০ মার্চ, ২০২২
রুয়েটের উপাচার্যের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে হাজির হচ্ছেন সারা দেশের মানুষ

 

আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করা আমাদের দেশের ঐতিহ্যের একটি অংশ। এ বন্ধন রক্ষা করার জন্য বাঙালী যুগে যুগে দেখিয়ে গেছে চরম পরাকাষ্ঠা। তবে এবার আত্মীয়তার সর্বোচ্চ নিদর্শন দেখালেন রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রফিকুল ইসলাম। জানা গেছে, শ্রদ্ধেয় রফিকুল ইসলাম তার শ্যালক সোহেল আহমেদকে নিয়োগ দিয়েছেন ‘পিএ টু ডিরেক্টর’ পদে। আপন দুই ভাই মো. মুকুল হোসেন ‘সেকশন অফিসার’ ও লেবারুল ইসলাম ‘জুনিয়র সেকশন অফিসার’ পদে নিয়োগ পেয়েছেন। বাদ যাননি গৃহকর্মী লাভলী আরাও। তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট কুক’ পদে নিয়োগ দিয়েছেন। এমন সংবাদে সারা দেশে এক মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় সূচনা হয়েছে বলেই জানিয়েছেন eআরকি’র অনুসন্ধান কমিটি। 

জানা গেছে, আজ ভোর ৪ টা ৩৫ মিনিট থেকে সারাদেশ থেকে দলে দলে লোক জমা হওয়া শুরু হয় উপচার্যের বাসভবনের সামনে। সকাল ১০ টার ভেতর পুরো রাজশাহী শহর অচল হয়ে পড়ে। লাইনে থাকা সবার হাতে বায়োডাটা, নিজের ছবি এবং একটি পুরনো ফাইল। জানা গেছে, তাদের সবাই-ই চাকুরিপ্রার্থী কিংবা অতীতে চাকুরিচ্যুত এবং সবারই উদ্দেশ্য এক, উপাচার্যের সাথে আত্মীয়তা করা। বহিরাগত মানুষের সাথে কীভাবে আত্মীয়তার বন্ধন স্থাপন করা যায় এমন প্রশ্ন করলে আসিফ মোহাম্মদ (২৯) নামের এক যুবকের উত্তরে পুরো ব্যাপারটি খোলাসা হয়। 

তিনি বলেন,‘আমরা এসেছি স্যারের সাথে আত্মীয়তার বন্ধন স্থাপন করতে। স্যারের বাসায় অবিবাহিত কেউ থাকলে তাকে বিয়ে করাই আমাদের উদ্দেশ্য, রাজকন্যাও পাওয়া যাবে, রাজ্যও পাওয়া যাবে৷ একইসাথে চাকরি এবং স্পাউস পাওয়ার লোভ সামলাতে না পেরেই এতো মানুষ এসেছেন।‘ 

এদিকে জমিরন (৪০) নামের এক মহিলা জানান, ‘আমি আইছি স্যারের বাসার টয়লেট পরিস্কার করতে। একদিন নিশ্চয়ই প্রমোশন পাইয়া রুয়েটে যাইতে পারমু। শুনছি ওইটা স্যারের ব্যক্তিগত ভার্সিটি৷ স্যারের বাসায় ইন্টার্নি, আর ওইখানে মেইন চাকরি’

 তবে শোনা যাচ্ছে, রফিকুল ইসলামের বাড়িতে এরকম কোনো কোটা আর খালি নেই। বর্তমানের মতো বহুল সমাগম না হলেও আগে থেকেই স্যারের বাসায় বেশ মানুষের যাওয়া আসা ছিলো। উপস্থিত জনতাকে মোটামুটি খালি হাতেই ফিরে যেতে হবে। এ খবরে বেশ কয়েকবার মূর্ছা যান বেশ কয়েকজন ভদ্রমহিলা। তারা জানান, রফিক সাহেবের দ্বিতীয়, তৃতীয়,চতুর্থ স্ত্রী হতেও তাদের আপত্তি নেই। শুধুমাত্র সামান্য একটু সম্পর্ক থাকলেই হবে। চাকরিটা ভীষণ দরকার। 

তবে এরা ছাড়াও বেশ কয়েকজন নব্য বিবাহিত দম্পতিকেও বাসভবনের আশেপাশে ঘুরঘুর করতে দেখা যায়। এদের মধ্যে দু’জন বিয়ের আসর থেকেই যেন উঠে এসেছেন৷ কেন এসেছেন প্রশ্ন করা হলে নতুন বউটি জানান, ‘এসেছি অনেক আশা নিয়ে। একটি বেকার ছেলেকে বিয়ে করেছি (স্বামীর দিকে আঙুল দিয়ে)। আমাদের বিয়েতে স্যার যদি উকিল বাপ হতে রাজী হন, আমাদের খাওয়া-পড়া নিশ্চিত হতো৷ নাহলে দু’দিন পরই রাস্তায় বসতে হবে..স্যার প্লিজ, আমাদের ফিরিয়ে দেবেন না।‘

 




Source by [সুন্দরবন]]

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Recent Posts

© 2023 sundarbon24.com|| All rights reserved.
Designer:Shimul Hossain
themesba-lates1749691102