টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশের হস্তশিল্প বিশেষ করে মসলিন, খদ্দর, তাঁত, হাতের কাজ, মৃৎ ও কাসার শিল্প কিংবা জামদানি পৃথিবীতে বাঙালির সৃজনশীলতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের আবহমান সংস্কৃতিসহ সাধারণ মানুষের সৃজনশীলতা পৃথিবীর সামনে তুলে ধরতে হবে। এ ব্যাপারে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানে সরকার বদ্ধপরিকর।
মন্ত্রী রবিবার ঢাকায় শাহবাগে কারিকা বাংলাদেশ হস্তশিল্প সমবায় ফেডারেশন লিমিটেডের ‘হস্তশিল্প আর ডিজিটাল প্রযুক্তির সম্মিলনে শুরু হোক বিশ্ব যাত্রা‘ শীর্ষক কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিব বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ‘সৃজনশীল থাইল্যান্ড’ কর্মসূচির দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বলেন, আমরা চাই আমাদের হস্তশিল্প, মৃৎশিল্প, কারুশিল্পসহ লোক সংস্কৃতির মিশ্রনে উৎপাদিত পণ্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে।
মন্ত্রী ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে আমাদের ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প কিংবা হস্তশিল্পকে পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার যে সুযোগ এসেছে তা কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কারিকা বাংলাদেশের জাতীয় হস্তশিল্প প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন যা আমাদের হস্তশিল্প, মৃৎশিল্প, কারুশিল্পসহ লোক সংস্কৃতির বিকাশে তার অসীম পৃষ্ঠপোষকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিধন্য প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে নিতে হবে, একে ধ্বংস হতে দেয়া যাবেনা। কারিকার প্রসারে সম্ভাব্য সকল সহযোগিতার আশ্বাস দেন মন্ত্রী ।
এর আগে ফিতা কেটে মন্ত্রী কারিকা বাংলাদেশ হস্তশিল্প সমবায় ফেডারেশন লিমিটেডের ‘হস্তশিল্প আর ডিজিটাল প্রযুক্তির সম্মিলনে শুরু হোক বিশ্ব যাত্রা‘ শীর্ষক কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির উপদেষ্টা সাবেক অতিরিক্ত সচিব সাইফুল ইসলাম এবং চেয়ারম্যান জরিনা সাইদসহ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রী বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
সূত্র – প্রেস বিজ্ঞপ্তি