গরুকে কৃমিমুক্ত রাখার কার্যকরী উপায় খামারিদের জেনে রাখতে হবে। আমাদের দেশে গবাদিপশু পালনে অন্যতম সমস্যা হল কৃমির আক্রমণ। গরুর শরীরে অতিরিক্ত কৃমির আক্রমণের ফলে স্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি করে থাকে। এর প্রভাবে গরু পালনকারীরা লোকসানেও পড়ে থাকেন। আজকে আমরা জেনে নিব গরুকে কৃমিমুক্ত রাখার কার্যকরী উপায় সম্পর্কে-
গরুকে কৃমিমুক্ত রাখার কার্যকরী উপায়ঃ
১। পালন করা গরুকে কৃমিমুক্ত রাখার জন্য খামার বা থাকার স্থানটি শুষ্ক ও উচু স্থানে হতে হবে। অবশ্যই নদী-নালা, খাল-বিল বা কোন ড্রেনের ধারে হওয়া যাবে না। এতে গরুর কৃমির আক্রমণের হার বেড়ে যেতে পারে।
২। বন্যা বা বৃষ্টির পানি যাতে কোনভাবেই গরুর থাকার স্থানে না আসতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এছাড়াও গরুর থাকার ঘরের চালে যাতে কোন ছিদ্র না থাকে সেটিও খেয়াল রাখতে হবে। যদি কোন ছিদ্র থাকে তাহলে তা ঠিক করতে হবে।
৩। গরুর থাকার স্থানে যাতে কোন প্রকার স্যাঁতস্যাঁতে ভাব না থাকে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। গরুর থাকার স্থানে পানি পড়লে তা দ্রুত শুকানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
৪। গরুর মলমূত্র ও আবর্জনা কিছু সময় পর পর পরিষ্কার করতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন ঘরে মলমূত্র ও আবর্জনা জমা না থাকে। এতেও গরুর কৃমির আক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পারে। সেজন্য খামার থেকে কিছুটা দূরে মলমূত্র ও আবর্জনা ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে।
৫। গরুর থাকার স্থান নিয়মিত পরিষ্কারের পাশাপাশি জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করে দিতে হবে। এতে গরুর থাকার স্থানে জীবাণু বিস্তার ঘটাতে পারবে না। ফলে গরুর শরীরে সহজেই কৃমি বা পরজীবীর আক্রমণ ঘটবে না।
৬। এছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রতি তিন মাস পর পর গরুকে বয়স অনুসারে কৃমির ওষুধ খাওয়াতে হবে। এতে পালন করা গরুর শরীরে কৃমি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
আরও পড়ুনঃ গরু পালনে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম ব্যবহারে যেসব সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে
ডেইরি প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার