নরসিংদীতে সূর্যমুখী চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের। ক্ষেতজুড়ে ফুটে উঠেছে সূর্যমুখীর হলুদ আভা। সকাল-সন্ধ্যা ফুলের বাগান দেখতে ভিড় করছেন প্রকৃতিপ্রেমীরাও। খরচ কম ও ভালো দাম পাওয়ায় অনেকেই অন্য ফসলের পাশাপাশি ঝুঁকছেন সূর্যমুখী চাষে।
নরসিংদী সদরের কামারগাঁওয়ের স্কুল শিক্ষক সাইদুর রহমান। কৃষি কাজের প্রতি আগ্রহ থেকেই এবার প্রায় ১০ বিঘাতে জমিতে করেছেন সূর্যমূখী চাষ। তেল ও গরুর খাবারের খৈল তৈরির উদ্দেশ্যেই এই ফুলের চাষ করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার গরুর প্রায় ৬০ শতাংশ খাবার আমি এই জমি থেকে উৎপাদন করে খাওয়াই। সে কারণেই মূলত সূর্যমুখী চাষ।
ক্ষেতজুড়ে এখন সূর্যমুখীর আভা। প্রতিদিন তা দেখতে ভিড় করছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। দর্শনার্থীরা বলেন, এত সুন্দর একটি পরিবেশ তো আমরা সচরাচর পাইনা। এখানে এসে অনেক ভালো লাগছে। কম খরচের পাশাপাশি প্রায় দ্বিগুণ লাভ হওয়ায় অনেকেই তার মতো ঝুঁকছেন সূর্যমুখী চাষে। জেলায় সূর্যমুখীর আবাদ বাড়াতে চাষ পদ্ধতির পাশাপাশি প্রযুক্তি সম্পর্কেও প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
নরসিংদীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শোভন কুমার ধর বলেন, আমাদের কর্মকর্তারা এ সম্পর্কিত নানা সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতে কাজ করছে। এই এলাকায় আবাদের জমি আরো কীভাবে বাড়ানো যায় সেদিকে নজর দিচ্ছি।
আরও পড়ুনঃ যশোরে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে কুল চাষ, স্বাবলম্বী হচ্ছেন চাষিরা
কৃষি প্রতিবেদন / আধুনিক কৃষি খামার